বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রাজীব (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
|conventional_long_name = বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি
|common_name = বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি
|subdivision = [[ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি|প্রেসিডেন্সি ]]
|nation= [[ব্রিটিশ ভারত]]
|era = নতুন সাম্রাজ্যবাদ
২৯ নং লাইন:
|stat_year1 =
|stat_pop1 =
|today ={{flagপতাকা|ভারত}}, {{flagপতাকা|বাংলাদেশ}}, {{flagপতাকা|বার্মা}}, {{flagপতাকা|মালয়েশিয়া}} এবং {{flagপতাকা|সিঙ্গাপুর}}
}}
[[চিত্র:Bengalpresidency 1858.jpg|thumb|250px|ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ১৮৫৭ সালের মানচিত্র]]
৩৫ নং লাইন:
 
== নামকরণ ==
''বাংলা'' বা ''বেঙ্গল'' শব্দগুলির আদি উৎস অজ্ঞাত, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় যে শব্দটি ''বং'' অথবা ''বাং'' নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ''বং'' জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.loc.gov/collections/country-studies/about-this-collection/|titleশিরোনাম=Early History, 1000 B. C.-A. D. 1202|lastশেষাংশ=জেমস হাইট্‌স্‌ম্যান ও|firstপ্রথমাংশ=রবার্ট এল. ওয়ার্ডেন|dateতারিখ=১৯৮৯|workকর্ম=Bangladesh: A country study (ইংরেজি ভাষায়)। লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস।|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=|viaমাধ্যম=}}</ref>
 
বঙ্গ ও আল এ দু’টি শব্দ সমন্বয়ে বাংলা শব্দটির উদ্ভব। ১৩৫২ সালে সুলতান ইল্‌ইয়াস শাহ্‌ প্রথম বাংলা নামের প্রচলন করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=সিয়ার-উল-মুতাখ্‌খীরিন, ৩য় খন্ড|lastশেষাংশ=|firstপ্রথমাংশ=|publisherপ্রকাশক=ক্যামব্রের পুনঃমুদ্রণ|yearবছর=|isbnআইএসবিএন=|locationঅবস্থান=|pagesপাতাসমূহ=৩৮৬}}</ref> বাংলা থেকেই মুলত বেঙ্গল শব্দটি আসে। ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজের বর্ণনা অনুসারে পূর্বে চট্টগ্রাম থেকে পশ্চিমে উড়িষ্যার [[পয়েন্ট পামিরাস]] পর্যন্ত গঙ্গাবিধৌত ও পারচাসের মতে ৬০০ মাইল তটরেখাবিশিষ্ট দেশটি ‘বেঙ্গল’ নামে অভিহিত। বিহার ও উড়িষ্যার কিছু অংশ সহ মুসলমানি প্রদেশ সুবা বাঙ্গালা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মহাফেজখানায় পুরনো নাবিকদের এই অল্পবিদ্যাপ্রসূত ধারণাই প্রচলিত হয়ে যায়। উড়িষ্যা উপকূলের [[বালেশ্বর]] থেকে অবিভক্ত [[বিহার|বিহারের]] কেন্দ্রে [[পটনা]] পর্যন্ত কোম্পানির সকল কুঠি ‘[[বেঙ্গল এসট্যাবলিশমেন্ট]]’ বা বঙ্গীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ক্রমে ক্রমে ব্রিটিশরা গঙ্গার যত উজানে যেতে লাগলেন, ততই সমগ্র উত্তর ভারত এই নামে অভিহিত হতে থাকল।
 
== ইতিহাস ==
৪৯ নং লাইন:
 
=== বঙ্গভঙ্গ ১৯০৫ ===
{{mainমূল নিবন্ধ|বঙ্গভঙ্গ}}
[[লর্ড কার্জন|লর্ড কার্জনের]] নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলার সুবৃহৎ প্রদেশটি দ্বিখণ্ডিত করা হয় [[১৯০৫]] সালের অক্টোবর মাসে। [[চট্টগ্রাম বিভাগ]], [[ঢাকা বিভাগ]] ও [[রাজশাহী বিভাগ]] সহ [[মালদহ জেলা]], পার্বত্য ত্রিপুরা, [[সিলেট]] ও [[কুমিল্লা]] বঙ্গপ্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নবগঠিত [[পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ|পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশে]]। [[ছোটনাগপুর]] অঞ্চলের পাঁচটি হিন্দিভাষী রাজ্য চং ভাকর, কোরিয়া, সিরগুজা, উদয়পুর ও যশপুর বঙ্গপ্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে মধ্যপ্রদেশে যুক্ত করা হয়। আবার সম্বলপুর ও পাঁচ ওড়িয়া রাজ্য বামরা, রাইরাখোল, সোনপুর, পাটনা ও কালাহান্ডি মধ্যপ্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বঙ্গপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। বঙ্গপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় ৩৩টি জেলা। এগুলি হল – [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান]], [[বীরভূম জেলা|বীরভূম]], [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া]], [[অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা]], [[হুগলি জেলা|হুগলি]], [[হাওড়া জেলা|হাওড়া]], [[অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলা]], [[কলকাতা]], [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]], [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ]], অবিভক্ত [[যশোর জেলা]], অবিভক্ত [[খুলনা জেলা]]; বিহারের পটনা, [[গয়া]], [[সাহাবাদ]], [[সরন]], [[চম্পারণ]], [[মজঃফরপুর]], [[দারভাঙ্গা]], [[মুঙ্গের]], [[ভাগলপুর]], [[পুর্ণিয়া]], [[সাঁওতাল পরগনা]], পান, [[হাজারিবাগ]], [[রাঁচি]], [[পালামৌ]], [[মানভূম]], [[সিংভূম]]; উড়িষ্যার [[কটক]], [[বালেশ্বর]], অঙ্গুল, সম্বলপুর ও কন্ধমল জেলাসমূহ। এছাড়া দেশীয় রাজ্য [[সিক্কিম]] এবং উড়িষ্যা ও [[ছোটনাগপুর|ছোটনাগপুরের]] সহরাজ্যগুলিও বঙ্গপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৫৮ নং লাইন:
==বাংলার পুনর্গঠন, ১৯১২ সাল==
[[File:Bengal Province 1931.png|thumb|200px|পুনরায় সংগঠনের পর বাংলা প্রদেশের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ]]
দিল্লি দরবারে ১২ ই ডিসেম্বর, ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে রাজা জর্জ পঞ্চম ভারত সরকারের সদরদপ্তর তথা ভারতের রাজধানী [[কলকাতা]] থেকে [[ দিল্লি]]তে স্থানান্তরের কথা ঘোষণা করেন। এছাড়া একজন গভর্নরের অধীনে মূলত পাঁচটি বাঙালি ভাষাভাষী বিভাগ একত্রীত করে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বা প্রদেশ) এর পুনর্গঠন, একজন লেফটেন্যান্ট-গভর্নর অধীন একটি নতুন প্রদেশ [[বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ]] সৃষ্টি এবং আসাম প্রদেশের একটি প্রধান কমিশনারের অধীনে পুনর্গঠন করার কথা ঘোষণা করা হয়। ২১ শে মার্চ, ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে থমাস গিবসন-কারমাইকে বাংলার গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়; সেই তারিখের পূর্বে ভারতের গভর্নর-জেনারেল ''বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির''ও গভর্নর ছিলেন। ওই বছর ২২ মার্চ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা ও আসাম প্রদেশের গঠিত হয়।<ref>Ilbert, Sir Courtenay Peregrine (1922). ''The Government of India'', Third Edition, revised and updated. Clarendon Press. pp. 117-118.</ref>
 
১৯১৯ সালের ভারত সরকার আইন (দি গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট১৯১৯) পরিষদের মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৫০ থেকে ১২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল এবং ভোটাধিকার সম্প্রসারণ করা হয়েছিল।<ref>Ilbert, Sir Courtenay Peregrine (1922). ''The Government of India'', Third Edition, revised and updated. Clarendon Press. p. 129.</ref>
৬৪ নং লাইন:
বিহার ও উড়িষ্যা ১৯৩৬ সালে আলাদা প্রদেশ হয়ে যায়। বাংলা ১৯১২ সালে পর থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত আবিভক্ত ছিল, তবে স্বাধীনতা লাভের পরে আবার ভারত ও পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার মধ্যে বিভাজিত হয় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি তথা বাংলা।
==দ্বৈত শাসন (১৯২০-৩৭)==
ব্রিটিশ ভারতের ১৯১৯ সালের মন্টাগু-চেমসফোর্ড রিফর্মস ১৯২১ সালে গঠিত হয়, যা বঙ্গীয় আইন পরিষদে ১৪০ জন সদস্য নির্বাচিত করে এবং আরও নির্বাচিত ভারতীয় সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে। সংস্কারগুলিও দ্বৈত শাসন চালু করে, যার ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার হিসাবে নির্দিষ্ট দায়িত্বগুলি নির্বাচিত মন্ত্রীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে, অর্থ, পুলিশ ও সেচ মত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সঙ্গে গভর্নরের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদ পদ সংরক্ষিত ছিল। কিছু বিশিষ্ট মন্ত্রীরা যেমন- [[সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]] (স্থানীয় স্বশাসিত ও গণস্বাস্থ্য ১৯২১-১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ), স্যার প্রভাশ চন্দ্র মিত্র (শিক্ষা ১৯২১-১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ, স্থানীয় স্বশাসন, জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও গণপূর্তক ১৯২৭-১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ), নবাব সাইয়িদ নওয়াব আলী চৌধুরী (কৃষি ও গণপূর্ত) এবং এ কে ফজলুল হক (শিক্ষা ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ), ভুপেন্দ্রনাথ বসু এবং সভার আব্দুর রহিম গভর্নর কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য ছিলেন।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=The Working Of Dyarchy In India 1919 1928|publisherপ্রকাশক=D.B.Taraporevala Sons And Company.|urlইউআরএল=https://archive.org/details/workingofdyarchy029425mbp}}</ref>
==প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন==
''১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন'' বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে একটি প্রদেশে পরিণত করে, নির্বাচিত প্রাদেশিক আইনসভার বর্ধিত করে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি প্রাদেশিক স্বশাসন প্রতিষ্ঠিতা করে। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সর্বাধিক ৫৪ টি আসন লাভ করে, কিন্তু সরকার গঠন করতে অস্বীকার করে। এ কে ফজলুল হকের [[কৃষক প্রজা পার্টি]] (36 টি আসন সহ), [[সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ]] সহ একটি জোট সরকার গঠন করতে সমর্থ হয।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Jalal |firstপ্রথমাংশ=Ayesha |authorlinkলেখক-সংযোগ=Ayesha Jalal |dateতারিখ=1994 |titleশিরোনাম=The Sole Spokesman: Jinnah, the Muslim League and the Demand for Pakistan |urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=D63KMRN1SJ8C&pg=PA26 |publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press |pagesপাতাসমূহ=26–27 |isbnআইএসবিএন=978-0-521-45850-4}}</ref><ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=Sanaullah|first1প্রথমাংশ১=Muhammad|titleশিরোনাম=A.K. Fazlul Huq: Portrait of a Leader|dateতারিখ=1995|publisherপ্রকাশক=Homeland Press and Publications|pageপাতা=104|urlইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=6jVuAAAAMAAJ|isbnআইএসবিএন=9789848171004}}</ref>
{| class="wikitable sortable"
! মন্ত্রী
৯৮ নং লাইন:
| সমবায়, আমানত এবং গ্রামীণ ঋণ
|-
| নওয়াব [[মোশাররফ হোসেন (নওয়াব) | মোশাররফ হোসেন]]
|বিচার বিভাগীয় এবং বিধানসভা
|-
১০৫ নং লাইন:
|}
 
১৯৪৩ সালে হক সরকারের পতন ঘটে এবং স্যার খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগ সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুসলিম লীগ ২৫০ টির মধ্যে ১১৩ টি আসনে জয়লাভ করে এবং [[হুসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]]র অধীনে সরকার গঠিত হয়। [10]<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Nalanda Year-book & Who's who in India|urlইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=zja2AAAAIAAJ|yearবছর=1946}}</ref>
 
{| class="wikitable sortable"
১৩৮ নং লাইন:
| সেচ এবং জলপথ
|-
| [[ফজলুর রহমান (রাজনীতিবিদ) | ফজলুর রহমান]]
|ভূমি, ভূমি রাজস্ব এবং কারাগার
|-
১৫৭ নং লাইন:
==বহিঃসংযোগ==
* [http://coinindia.com/galleries-bengalpresidency.html Coins of the Bengal Presidency]
{{Commonsকমন্স categoryবিষয়শ্রেণী|position=left|বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি}}
 
{{ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশ}}