দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
 
== শিক্ষা ও কর্মজীবন ==
দেবেন্দ্রনাথ ১৮২৩-২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা করেন। [[১৮২৭]] সালে তিনি [[রাজা রামমোহন রায়]] প্রতিষ্ঠিত [[অ্যাংলো হিন্দু কলেজে]] ভর্তি হন। সেখানে কিছুকাল পড়াশোনার পর তিনি পিতার বিষয়সম্পত্তি ও ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি দর্শন ও ধর্মচর্চা শুরু করেন। [[১৮৩৮]] সালে পিতামহীর মৃত্যুকালে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি ধর্মবিষয়ে আগ্রহী হয়ে [[মহাভারত]], [[উপনিষদ]] ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন শুরু করেন। এর ফলে পার্থিব বিষয়ের প্রতি তাঁর বীতস্কৃহা জন্মে এবং তাঁর মধ্যে ঈশ্বরলাভের আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়। তত্ত্বালোচনার উদ্দেশ্যে তিনি ‘[[তত্ত্বরঞ্জনী সভা]]’ (১৮৩৯) স্থাপন করেন, পরে যার নাম হয় [[তত্ত্ববোধিনী সভা]] । এ সময় তিনি কঠোপনিষদের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন (১৮৪০)।
 
[[১৮৪২]] সালে দেবেন্দ্রনাথ [[তত্ত্ববোধিনী সভা]] ও [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্মসমাজের]] দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরের বছর তাঁরই অর্থে এবং [[অক্ষয়কুমার দত্ত|অক্ষয়কুমার দত্তের]] সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় [[তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা]]। এই পত্রিকায় দেবেন্দ্রনাথকৃত বৃত্তি ও বঙ্গানুবাদসহ উপনিষদ প্রকাশিত হতে থাকে। দেবেন্দ্রনাথের প্রচেষ্টায় প্রকাশ্য সভায় বেদপাঠও শুরু হয়। [[১৮৪৪]] সালে দেবেন্দ্রনাথ প্রথম ব্রহ্মোপাসনা পদ্ধতি প্রণয়ন করেন এবং পরের বছর থেকে তা ব্রাহ্মসমাজে ব্যবহূত হতে থাকে। দীর্ঘ শাস্ত্রচর্চার ফলে তিনি উপলব্ধি করেন যে, শুধু উপনিষদের ওপর ব্রাহ্মধর্মের ভিত্তি স্থাপন সম্ভব নয়। তাই [[১৯৪৮|১]][[১৮৫৩|৮]]<nowiki/>৪৮ সাল থেকে তিনি ক্রমাম্বয়ে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ঋগ্‌বেদের অনুবাদ প্রকাশ করতে শুরু করেন, যা [[ব্রাহ্মধর্ম]] (১৮৬৯) নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। [[১৮৫০]] সালে তাঁর অপর গ্রন্থ আত্মতত্ত্ববিদ্যা প্রকাশিত হয়। [[১৮৫৩]] সালে তিনি তত্ত্ববোধিনী সভার সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং [[১৮৫৯]] সালে [[ব্রাহ্মবিদ্যালয়]] স্থাপন করেন।