জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sheikh Nafia Majlish (আলোচনা | অবদান)
→‎সূর্যাস্ত আইন: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Sheikh Nafia Majlish-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 2405:205:630F:8643:CC66:CA27:47F2:D244-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬৪ নং লাইন:
 
== সূর্যাস্ত আইন ==
জমিদারদের জন্য চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বিধিবিধানগুলির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মকমারাত্যক দিক ছিল রাজস্ব বিক্রয় আইন, যাকে তারা মোলায়েম ভাষায় বলতেন সূর্যাস্ত আইন। এই আইনের শর্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বারোটি কিস্তিতে জেলা কালেক্টরেটে পরিশোধ করতে হতো। কোন জমিদারের প্রদেয় কিস্তি বকেয়া পড়লে পরবর্তী মাসে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ঐ জমিদারের জমি থেকে বকেয়া কিস্তির সমমূল্যের জমি বিক্রয় করে সেই টাকা উসুল করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার একেবারে শুরু থেকে রাজস্ব বিক্রয় আইনের (সাধারণ্যে সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত) অধীনে শত শত জমিদারি সম্পত্তি বিক্রয় হয়ে যায়। সেকালের লোকেরা এই আইনকে সূর্যাস্ত আইন বলত এই অর্থে যে, এর ফলে একটি শাসক পরিবারে অন্ধকার নেমে আসত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার দশ বছরের মধ্যে বাংলার জমিদারি সম্পত্তির প্রায় অর্ধেকের মালিকানা বদল হয়।
 
নয়া জমিদার খোদ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কার্যপদ্ধতির মধ্যে পুরানো জমিদারদের স্থলে এক নতুন জমিদার শ্রেণীর উদ্ভবের সুযোগ নিহিত ছিল। এই ব্যবস্থার প্রণেতারা সচেতন ছিলেন যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার পর ভূমির একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে এবং তার ফলে দুর্বল ও অদক্ষ জমিদাররা ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন, ভূমির মালিকানার ক্ষেত্রে নতুন রক্তের সঞ্চালন ঘটবে। আগেই ধারণা করা হয়েছিল যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে ভূমিনিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে টাকাওয়ালা ও উদ্যমী এক শ্রেণীর লোকের প্রবেশ ঘটবে, যারা কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তনে পালন করবে সহায়ক ভূমিকা।