ইজতিহাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
KhanSaheb (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''ইজতিহাদ''' ({{lang-ar|اجتهاد}} ''{{transl|ar|ijtihād}}'') একটি ইসলামি পরিভাষা। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে [[উলামা|উলামাদের]] গবেষণাকে ইজতিহাদ বলা হয়। ইসলামি আইনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইজতিহাদের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইজতিহাদে সক্ষম ব্যক্তিকে মুজতাহিদ বলা হয়। মুজতাহিদ ব্যতিত অন্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে [[তাকলিদ]] করা বিধান। [[কুরআন]], [[হাদিস]] ও অন্যান্য গবেষণালব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে মুজতাহিদ তার মতামত দিয়ে থাকেন। কুরআন ও হাদিসে সরাসরি উল্লেখ নেই এমন বহু আইন ইজতিহাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে।
 
==ইজতিহাদের শর্ত==
শাইখ মুহাম্মদ বিন উছাইমীন (রহ.) বলেন:<ref>[http://maktabatussunnah.blogspot.com/2018/06/blog-post_45.html ফিক্বহের মূলনীতি]</ref>
 
ইজতিহাদের কিছু শর্ত আছে। যেমন:
# ইজতিহাদ করার জন্য যে দলিলগুলো জানা প্রয়োজন সেগুলো জানা থাকা। যেমন- আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো ও হাদিসগুলো।
# হাদিস সহিহ ও দুর্বল হওয়া সংক্রান্ত জ্ঞান জানা থাকা। যেমন- হাদিসের সনদ ও রাবীদের পরিচয় ইত্যাদি।
# নাসেখ (রহিতকারী), মানসুখ (রহিত) ও ইজমা (ঐক্যমত) সংঘটিত হওয়া বিষয়গুলো জানা থাকা। যাতে করে, কোনো কিছুকে মানসুখ বলে হুকুম না দেয় কিংবা ইজমা বিরোধী কোনো হুকুম না দেয়।
# যে দলিলগুলোর কারণে হুকুম পাল্টে যেতে পারে যেমন- তাখসিস (সীমাবদ্ধকরণ), তাকয়িদ (শর্তযুক্ত করণ) ইত্যাদি দলিলগুলো জানা থাকা। যাতে করে এগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক কোনো হুকুম না দেয়।
# শব্দের অর্থ নির্ণয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আরবী ভাষা ও উসুলুল ফিকহ এর যে জ্ঞানগুলো রয়েছে সেগুলো জানা থাকা। যেমন- আম (সাধারণ), খাস (বিশেষ), মুতলাক্ব (শর্তহীন), মুকায়্যাদ (শর্তযুক্ত), মুজমাল (অ-ব্যাখ্যাত), মুবায়্যান (ব্যাখ্যাত) ইত্যাদি। যাতে করে শব্দের অর্থগত নির্দেশনার দাবী মোতাবেক হুকুম দিতে পারেন।
# এমন যোগ্যতা থাকা যে যোগ্যতা দিয়ে তিনি দলিল থেকে হুকুম নির্ণয় করতে পারেন।”
 
==আরও দেখুন==
{{প্রবেশদ্বার|ইসলাম}}
*[[হাদিস দ্বারা প্রমান]]
ইজতেহাদের বৈধতা প্রমাণ
 
==তথ্যসূত্র==
২২ ⟶ ৩০ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:আরবি শব্দ এবং শব্দসমষ্টি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামী পরিভাষা]]
(