ইয়াসির আরাফাত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
সম্প্রসারণ, ট্যাগ যোগ করা হয়েছে
১০ নং লাইন:
| birth_date = [[আগস্ট ৪]] অথবা [[আগস্ট ২৪]], [[১৯২৯]]
| birth_place = [[কায়রো]]<ref name = Birth>Not certain; Disputed; Most sources including [[Andrew Walker]], [[Alan Hart]] and [[Said K. Aburish]] indicate Cairo as Arafat's place of birth, but others list his birthplace as Jerusalem as well as Gaza. See [http://nobelprize.org/nobel_prizes/peace/laureates/1994/arafat-bio.html here] and [http://news.bbc.co.uk/2/hi/middle_east/890161.stm here] for more information. Some also believe that the Jerusalem birthplace might have been a rumor created by the KGB [http://www.jewishvirtuallibrary.org/jsource/biography/arafat.html].</ref>
| dead = মৃত
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2004|11|11|1929|8|24|mf=y}}<br />
| death_place = [[প্যারিস]]
*| awards = [[চিত্র:Nobel Prize.png|20px]] [[নোবেল শান্তি পুরস্কার]] (১৯৯৪)
| spouse = [[সুহা আরাফাত]]
| party = [[ফাতাহ]]
}}
'''মুহাম্মদ আবদেল রহমান আব্দেল রউফ আরাফাত আল-কুদওয়া আল-হুসেইনী''' ({{lang|ar|محمد عبد الرحمن عبد الرؤوف عرفات القدوة الحسيني}}; জন্ম: [[আগস্ট ২৪]], [[১৯২৯]] – মৃত্যু: [[নভেম্বর ১১]], [[২০০৪]]), প্রচলিত নাম '''ইয়াসির আরাফাত''', ছিলেন একজন ফিলিস্তিনী নেতা।

==জন্ম ও শিক্ষাজীবন==
আরাফাত মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন।

== রাজনৈতিক জীবন ==
[[প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন]] বা '''পিএলও'''র চেয়ারম্যান হিসাবে আরাফাত ইসরায়েলী দখলদারির বিরুদ্ধে সারাজীবন সংগ্রাম করেন। তিনি প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় আরাফাত ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ দলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৮-১৯৬০ সালের মধ্যে তিনি এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে [[ইসরায়েল|ইসরায়েলের]] অস্তিত্বের সম্পূর্ণ বিরোধী থাকলেও পরে আরাফাত ১৯৮৮ সালে [[জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ|জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত ২৪২]] মেনে নিয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন।
 
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে আরাফাতের ফাতাহ দল [[জর্ডান|জর্ডানের]] সাথে মতপার্থক্যজনিত কারণে [[গৃহযুদ্ধ|গৃহযুদ্ধে]] জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আরাফাত বিতর্কিত হয়ে পড়েন। জর্ডান থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি [[লেবানন|লেবাননে]] অবস্থান নেন, যেখানে তিনি ও তাঁর ফাতাহ দল ইসরাইলের ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের আগ্রাসন ও আক্রমণের শিকার হন। দল-মত-নির্বিশেষে ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ আরাফাতকে বীর [[মুক্তিযোদ্ধা]] এবং ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে সম্মান করে থাকে। তবে অনেক ইসরাইলী তাঁকে [[সন্ত্রাস|সন্ত্রাসবাদী]] হিসাবে অভিহিত করে থাকে।<ref name="Washington">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |title=A Dreamer Who Forced His Cause Onto World Stage |url=http://www.washingtonpost.com/wp-dyn/articles/A41509-2004Nov10.html |first=Lee |last=Hockstader |work=Washington Post Foreign Service |publisher=The Washington Post Company |date=[[2004-11-11]] |accessdate=2007-10-31 }}</ref>
২২ ⟶ ২৮ নং লাইন:
জীবনের শেষভাগে আরাফাত ইসরাইলী সরকারের সাথে কয়েক দফায় [[শান্তি]] আলোচনা শুরু করেন। [[১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলন]], [[১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি]] এবং [[২০০০ সালের ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলন]] এর মাধ্যমে আরাফাত ইসরাইলীদের সাথে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রয়াস নেন। ইসরাইলীদের সাথে এই সমঝোতা স্থাপনের জন্য আরাফাতের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁর নতজানু নীতির তীব্র নিন্দা করে। ১৯৯৪ সালে আরাফাত [[ইজহাক রাবিন]] ও [[শিমন পেরেজ]] এর সাথে অসলো শান্তি চুক্তির জন্য একত্রে [[নোবেল শান্তি পুরস্কার]] লাভ করেন। কিন্তু একই সময়ে [[হামাস]] ও অন্যান্য জঙ্গীবাদী সংগঠনের উত্থান ঘটে, যারা ফাতাহ ও আরাফাতের ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল করে দিয়ে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে নেয়।
 
==অসুস্থতা ও মৃত্যু==
[[File:Mausoleo Arafat (Muqata, Ramallah) 02.JPG|thumb|right|আরাফাতের স্মৃতিসৌধ]]
২০০২ হতে ২০০৪ সালের শেষভাগ পর্যন্ত আরাফাত [[ইসরাইলী সেনাবাহিনী]]র হাতে তাঁর রামাল্লার দপ্তরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকেন। ২০০৪ এর শেষদিকে আরাফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং কোমায় চলে যান। আরাফাতের অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি; কিন্তু [[চিকিৎসক|চিকিৎসকদের]] মতে ,তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা এবং সিরোসিসে ভুগছিলেন। তিনি [[২০০৪]] সালের [[নভেম্বর ১১]] তারিখে প্যারিসে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
 
তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু হতে পারে, বলছে সুইস গবেষকরা। সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা বলছেন তারা ইয়াসের আরাফাতের দেহাবশেষ গবেষণার পর তার হাড়ে বিষাক্ত পোলোনিয়ামের সন্ধান পেয়েছেন।প্যারিসের একটি হাসপাতালে ২০০৪ সালের ১১ই নভেম্বর মারা যান ইয়াসের আরাফাত। তখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন বিতর্ক বেশ কিছুদিন যাবত চলে আসছিল। বিষপ্রয়োগে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এমন সন্দেহ ওঠায় মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর ইয়াসের আরাফাতের দেহাবশেষ কবর থেকে গত বছর 2012 তোলা হয়েছে। এক বছর তাতে গবেষণার পর সুইস বিজ্ঞানী বলছেন তার হাড়ে যে পরিমাণ পোলিনিয়াম নামে একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া গেছে তা মানবদেহের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১৮ গুন বেশ। এখন নতুন করে তাই আবার বিতর্কের সূত্রপাত।
স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১৮ গুন বেশ। এখন নতুন করে তাই আবার বিতর্কের সূত্রপাত।
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
[[File:Flickr - Government Press Office (GPO) - THE NOBEL PEACE PRIZE LAUREATES FOR 1994 IN OSLO..jpg|thumb|right| ইয়াসির আরাফাত, [[আইজাক রবিন]] ও [[শিমন পেরেজ]] যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ]]
* [[নোবেল শান্তি পুরস্কার]]
১৯৯৪ সালে ঐতিহাসিক অসলো চুক্তি স্বাক্ষরের পর [[আইজাক রবিন]], [[শিমন পেরেজ]] ও ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত যৌথভাবে [[শান্তিতে নোবেল পুরস্কার]] লাভ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://nobelprize.org/nobel_prizes/peace/laureates/1994/rabin-bio.html |title=Yitzhak Rabin - Biographical|publisher=Nobelprize.org |accessdate=31 August 2011}}</ref><ref>[http://nobelprize.org/nobel_prizes/peace/laureates/1994/ Nobel Prize.org] 1994 Nobel Prize Laureates</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==