গ্যাস-তেলের অনুসন্ধান একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানো হয়ে থাকে। যেমন:- (ক) ভূ-তাত্ত্বিক (geological), (খ) ভূ-পদার্থিক (geophysical) ও (গ) ভূ-রাসায়নিক (geochemical) পদ্ধতি। এর মধ্যে ভূ-পদার্থিক পদ্ধতির একটি প্রচলিত ব্যবস্থা হচ্ছে ভূ-কম্পনের (sismicseismic) সাহায্যে গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান লাভ করা। যে এলাকাতে ভূ-কম্পন জরিপ করতে হবে, সে এলাকাব্যাপি প্রায় ২০০ মিটার অন্তর আড়াআড়িভাবে অনেকগুলো লাইন টানা হয়। অতপর বিস্ফোরক এবং জিও ফোন (geo phone) সাড়িবদ্ধভাবে রাখা হয়। সাধারণত ২৫ ফুট দূরত্বে প্রতিটি বিস্ফোরক চার্জ এবং ২টি চার্জের মধ্যবর্তী স্থানে ডাটা গ্রাহক হিসেবে একটি জিওফোন রাখা হয়। সাড়িবদ্ধভাবে চার্জগুলোকে মাটির ১৫ ফুট গভীরে রাখা হয়। রিমোট কন্ট্রোল সুইচ এর মাধ্যমে চার্জগুলিকে বিস্ফোরিত করা হয়। এর ফলে সৃষ্ট কম্পন তরঙ্গ সমূহ (wave propagation) তরং্গাকারে মাটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্তর ভেদ করে পুনরায় গ্রাহক জিওফোন-এ ফেরত আসে। sismiseismic এর গ্রাহক জিও ফোন এর মাধ্যমে সংগ্রহকৃত উপাত্ত লেখচিত্র আকারে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতপর রেকর্ডকৃত লেখচিত্রের পরিশোধন, পরিমার্জন এবং বিশ্লেষণ করেই ভূগর্ভে গ্যাস ও তেলের অস্তিত্ব এবং simulation এর মাধ্যমে reserve estimate করা হয়।
==কূপ খনন==
কূপ খননের জন্য প্রয়োজন প্রধান খনন যন্ত্র (RIG) ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।