বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎আমার মা: নতুন অনুচ্ছেদ
১৭৯ নং লাইন:
========০====[উৎস সম্পাদনা]
বিঃদ্রঃ তথ্যাবলী পর্যবেক্ষণে হয়ত কিছু ভুল হতেও পারে, যদি আপনাদের সঠিক তথ্য জানা থাকে, আমাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেন, তাহলে ভুলগুলি সুদ্রে নেব, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষ মাত্র ভুল , ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মনিরুল ইসলাম সরকার ( আর্কিটেকচার এণ্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার )
 
== আমার মা ==
 
আমার “ মা ”
৭ই এপ্রিল ২০১৮ইং রোজ শনিবার ভোর ৪:৩০মিনিট, আমার জীবন থেকে চলে গেলো আমার আত্মা, আমার গর্ভধারিণী মা, যেই মা, আমাকে পৃথিবীর মূখ দেখালো আজ সেই মাই চলে গেলো।
মা’ মাগো, তুমি আমার মাঝে নেই ভাবতে বড় কষ্ট লাগে।
এ যেন ক্লান্তিময় এক দিনের সূচনা। মনের উদ্বেগকে কোনভাবেই মন থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না, বৃথা চেষ্টা মাত্র। চাপা কান্না আর শত কষ্টের ভারে বাতাস যেন ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। স্পষ্টতই উপলব্ধি করছি এ মুহূর্তে মাকে হারানোর ব্যাথা আর শূণ্যতা ছাড়া আর কিছুই আমার ভাবনায় নেই।
সন্তানের জীবনে মায়ের আসন হৃদয়ের সবটা জুড়েই। কেউবা তা প্রকাশ করতে পারেন খুব সহজে। আবার কোন কোন সন্তান তার প্রতিটি হৃদয় স্পন্দনে গভীর ভাবে তা উপলব্ধি করেন, কিন্তু প্রকাশ ক্ষমতায় তেমন পারদর্শী নন। আসলে বিশাল এক ছায়ার নাম ‘মা’। সন্তানের জীবনে মায়ের কোন বিকল্প নেই। মায়া, মমতা, আদর, স্নেহের এক অফুরন্ত ভান্ডার। জাগতিক জীবনে এক নিঃস্বার্থ ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
 
‘মা’ একটি ছোট্ট শব্দ। এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ আদর, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সব সুখের কথা। চাওয়া-পাওয়ার এই পৃথিবীতে মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে কোন কিছুর তুলনা চলে না। মায়ের তুলনা মা নিজেই। মায়ের মতো এমন মধুর শব্দ অভিধানে দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা আমি জানিনা। টাকা হলে আমি চাঁদের দেশে যেতে পারবো এবং চাইলে সাগরের তলদেশে যাওয়া যাবে কিন্তু মায়ের ভালোবাসার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব কখনো হবে না। ‘মা’ যেন সীমার মাঝে অসীম, যার কোন তুলনা নেই।
 
মা শব্দটি ছোট হলেও এর বিশালতা আকাশের চেয়েও বড়। মা সন্তানের সুখের জন্য হাসিমুখে সব কিছু বিলিয়ে দিতেও মা কার্পণ্য করেন না। এই পৃথিবীর হাজারো অভিধানের মধ্যে সবচেয়ে সুমধুর শব্দ হচ্ছে মা। মা বলতেই চোখের সামনে মায়ের সদা হাস্যময়ী চেহারা ভেসে ওঠে। শহরে কি গ্রামে বা বিদেশে সবখানেই মায়ের শাশ্বত রূপ সদাই যেন একই রকম। মাকে ঘিরেই সন্তানের শৈশব-কৈশোর আবর্তিত হয়ে থাকে।
আমি জানি না মায়ের কোন সংজ্ঞা আছে কিনা। আমার মতে মায়ের সংজ্ঞা মা নিজেই। মায়ের ক্ষেত্রে কোন সংজ্ঞা প্রযোজ্য বলে মনে হয় না। মা এমন একটি শব্দ যাকে ভাঙ্গা ও যায় না গড়াও যায় না।
 
মা’ তোমাকে কি তোমার যোগ্য মর্যাদা দিতে পেরেছি আমি? আমার মনে হয় আমি পারিনি মা।জানো মা’ তুমি বড্ড সরল মনের মানুষ ছিলে, আমি এখন বুজি মা তুমি কত ভালোবাসতে আময়।তুমি নিজে না খেয়ে আমার মুখে খানা তুলে দিয়েছ মা। মা’ আবেগের আকূলতায় তোমার মুখটি ভেসে ওঠে স্মৃতির মণিকোঠায়। কারণে-অকারণে কত না কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। কতবার মনের জিদ্দে তোমাকে গালিগালাজ করেছি, তারপরও তুমি আদর করে বুকে জড়িয়ে নিয়েছ। মা’ এখন আর কেউ আমাকে তোমার মত করে ডাকে না।
নিঃস্ব-নিঃসঙ্গ তোমাকে কখনোই শান্তি দিতে পারিনি, হয়তবা জীবনভর শুধু উৎকণ্ঠা আর সীমাহীন দুশ্চিন্তায় কেটেছে তোমার অনেকটা সময়। বলতে দ্বিধা নেই, তুমি ছিলে সৃজনশীল শৈল্পিক মনের একজন সরল-সাধারণ মানুষ। সেজন্য সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। জানো মা তোমাকে দেখতে বিষণ ইচ্ছা হয়, তোমার আদর পেতে মন চায় মা। মৃত্যুকালে তোমায় দেখতে পারিনি মা, তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও মা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। মা-মাগো আমি তোমার নিকট চলে আসতে চাই, আমাকে নিয়ে যাও মা।
 
মনিরুল ইসলাম মনির,
গ্রাম বাড্ডা সরকারবাড়ী,
ইউনিয়ন সলিমগঞ্জ,
উপজেলা নবীনগর,
জেলা ব্রাহ্মণবাড়য়া।