জাহমিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
Mahin Hossain (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
জা’দ ইবন দিরহাম (১১৮ হি) নামক একজন নতুন প্রজন্মের পারসিক মুসলিম মহান আল্লাহর গুণাবলি অস্বীকার করে তাঁকে ‘নির্গুণ’ বলে দাবি করতে থাকেন। তার ছাত্র জাহম ইবন সাফওয়ান সামারকান্দী (১২৮ হি)। তিনি এ মতটিকে জোরালোভাবে প্রচার করতে থাকেন এবং এর সাথে অনেক দর্শনভিত্তিক মতবাদ তিনি প্রচার করেন। জাহমের মতবাদ নিম্নরূপ:
 
(ক) বিশেষণের অস্বীকৃতি। তার মতে যে সকল বিশেষণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কখনো স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না। তবে যে বিশেষণগুলো আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, সেগুলি তাঁর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে, যেমন স্রষ্টা, জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা... ইত্যাদি। কাজেই এ কথা বলা যাবে না যে, মহান আল্লাহ দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, দয়া করেন, ক্রোধান্বিত হন, তিনি আরশের উপরে অধিষ্ঠিত, তাঁর [[হাত]], [[চোখ]] বা মুখমন্ডল বিদ্যমান, তাঁকে আখিরাতে দেখা যাবে....। কারণ এ সকল বিশেষণ আল্লাহর ক্ষেত্রে আরোপ করলে তাঁর অতুলনীয়ত্ব নষ্ট হয় এবং তাঁকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়।
 
(খ) [[কুরআন]] সৃষ্ট। উপরের যুক্তির ভিত্তিতেই তিনি আল্লাহর কথার অনাদিত্ব অস্বীকার করতেন। তার মতে,  আল্লাহর কালাম আল্লাহর সৃষ্টি। কাজেই কখনোই বলা যাবে না যে আল্লাহ কথা বলেছেন, বরং বলতে হবে যে, [[আল্লাহ]] কথা সৃষ্টি করেছেন।
১৭ নং লাইন:
এছাড়া তাদের মতে কুরআনে উল্লেখিত অধিকাংশ বিশেষণ আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করলে মহান আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। আর মহান আল্লাহ অতুলনীয়। এজন্য এ সকল বিশেষণের ব্যাখ্যা করা জরুরী। মহান আল্লাহকে জ্ঞান, ক্ষমতা, শ্রবণ, দর্শন ইত্যাদি কোনো বিশেষণে বিশেষিত করা যায় না। এ সকল বিশেষণ ব্যাখ্যা করতে হবে। বিভিন্নভাবে তারা ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ বলেছেন: আল্লাহ জ্ঞানী অর্থ তিনি মুর্খ নন। কেউ বলেছেন: আল্লাহ জ্ঞানী অর্থ তাঁর সত্তার নাম বা অংশ জ্ঞান...।
 
আমরা আগেই বলেছি, তাদের মতে আকীদার সত্য জানার জন্য ‘‘আকল’’ (জ্ঞান-বুদ্ধি)-ই একমাত্র সুনিশ্চিত পথ। আকলের  নির্দেশনা একীনী অর্থাৎ সুনিশ্চিত। পক্ষান্তরে ওহীর নির্দেশনা যান্নী, অর্থাৎ অস্পষ্ট’। ওহীর নির্দেশনা যদি আকল-সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণ করতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে তা ব্যাখ্যা করে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তাদের মতে আকল প্রমাণ করে যে, মহান আল্লাহ ‘জিসম’ বা দেহধারী নন। কাজেই কুরআন বা হাদীসে যে সকল বিশেষণ তাঁকে দেহবিশিষ্ট বলে মনে করায় সেগুলি ব্যাখ্যা করা বাধ্যতামূলক। যেমন মহান আল্লাহর হস্ত, চক্ষু, মুখমন্ডল, কথা বলা, ক্রোধ, ভালবাসা, আরশে সমাসীন হওয়া, আখিরাতে তাঁর দর্শন, ইত্যাদি বিশেষণ। তাদের মতে এগুলো বাহ্যিক অর্থে বিশ্বাস করা কুফর; কারণ এরূপ বিশ্বাসের অর্থই আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা এবং তাঁকে দেহ বিশিষ্ট বলে বিশ্বাস করা।[2]
 
বর্তমানে এই মতবাদের অস্তীত্ব নেই