১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই [[ফ্রান্স]] রাজ্যের [[প্যারিস]] কুখ্যাত [[বাস্তিলের বিক্ষোভ|'''বাস্তিলে বিক্ষোভ]]''' ([[ফরাসি ভাষা|ফরাসি]]: ''Prise de la Bastille'' [pʁiz də la bastij]) হয়। এই বাস্তিল দূর্গের পতনের মধ্য দিয়ে [[ফরাসি বিপ্লব]] সংঘটিত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|url=https://books.google.co.in/books?id=mz3vM4-F788C&dq=Jump+up+%5E+Simon+Schama,+pp.+419%E2%80%9320+Citizens:+A+Chronicle+of+the+French+Revolution&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjKoqmA8unYAhUT4o8KHVijAcMQ6AEIKzAA|title=Citizens: A Chronicle of The French Revolution|last=Schama|first=Simon|date=2004-08-05|publisher=Penguin Books Limited|isbn=9780141017273|language=en}}</ref> এই বিপ্লব ছিল তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির্যাতিত ও বঞ্চিত "থার্ড স্টেট" বা সাধারন মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই বিপ্লবের আগে সমগ্র ফ্রান্সের ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিল মাত্র ৫ ভাগ মানুষ। অথচ সেই ৫ ভাগ মানুষই কোন আয়কর দিত না। যারা আয়কর দিত তারা তেমন কোন সুবিধা ভোগ করতে পারত না। এবং এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করত তাদেরকে এই বাস্তিল দূর্গে বন্দী করে নির্যাতন করা হত। বাস্তিল দূর্গ ছিল স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন ও জুলুমের প্রতীক। একবার কোন বন্দী সেখানে প্রবেশ করলে জীবন নিয়ে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকত না । কারাগারের ভিতরেই মেরে ফেলা হত অসংখ্য বন্দীদের। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই নির্বাচিত প্রতিনিধি, রক্ষী বাহিনির সদস্য এবং বাস্তিল দূর্গের আশেপাশের বিক্ষুব্ধ মানুষ বাস্তিল দূর্গ অভিমুখে রওনা হয়। রক্তক্ষয় এড়াতে প্রতিনিধিরা দূর্গের প্রধান দ্য লোনের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ছিল বাস্তিলে ৭ জন রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া। দ্য লোন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢেউ বাস্তিল দূর্গে ঝাঁপিয়ে পরে। দূর্গের সৈন্যরাও ভিতর থেকে কামান দাগাতে থাকে। প্রায় দুইশো বিপ্লবী মানুষ হতাহত হয় । এরপর চারিদিক থেকে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিল দুর্গ ধ্বংস করে। জয় হয় সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার।
এই ঘটনাটি [[ফ্রান্সের জাতীয় উৎসব]] বলে পালন করা হয়।