সৈয়দ শামসুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

| citizenship = {{flagপতাকা|বাংলাদেশ}}

সৈয়দ হক তার বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[মাটির পাহাড়]] চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে ''তোমার আমার'', ''শীত বিকেল'', [[কাঁচ কাটা হীরে]], [[ক খ গ ঘ ঙ]], [[বড় ভাল লোক ছিল]], [[পুরস্কার (চলচ্চিত্র)|পুরস্কার]]সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। [[বড় ভাল লোক ছিল]] ও [[পুরস্কার (চলচ্চিত্র)|পুরস্কার]] এই দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.banglanews24.com/national/news/520837/%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8B |title=সৈয়দ শামসুল হক ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ |newspaper=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |author=জনি হক |date=২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |accessdate=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬}}</ref> ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকুরী গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের]] খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.bbc.com/bengali/news-37487087 |title=সে এক দারুণ সময় ছিল আমার জন্যে: সৈয়দ শামসুল হক |newspaper=বিবিসি বাংলা |date=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |accessdate=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬}}</ref> তাঁর দৃঢ়কণ্ঠ সাবললি উচ্চারণের জন্য তিনি জনসাধারণ্যে পরিচিতি লাভ করেন।

সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর রচিত প্রথম পদ তিনি লিখেছিলেন এগারো-বারো বছর বয়সে। টাইফয়েডে শয্যাশায়ী কবি তাঁর বাড়ির রান্নাঘরের পাশে সজনে গাছে একটি লাল টুকটুকে পাখি দেখে দু’লাইনের একটি পদ "আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে" রচনা করেন। এরপর [[১৯৪৯]]-[[১৯৫০|৫০]] খ্রিষ্টাব্দের দিকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত খাতায় ২০০টির মতো কবিতা রচনা করেন।

২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে পরীক্ষায় তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.bhorerkagoj.net/online/2016/09/26/286514.php |title=আইসিইউতে সৈয়দ শামসুল হক |newspaper=[[দৈনিক ভোরের কাগজ]] |date=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |accessdate=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬}}</ref> চার মাস চিকিৎসার পর ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/987721/সৈয়দ-শামসুল-হক-আর-নেই |title=সৈয়দ শামসুল হক আর নেই |newspaper=দৈনিক প্রথম আলো |date=২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |accessdate=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬}}</ref> পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) চ্যানেল আই টেলিভিশনের তেজগাঁও চত্বরে সকাল ১০টায় প্রথম দফা জানাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় দফা জানাজা এবং অপরাহ্নে কুড়িগ্রামে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে তার মরদেহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পাশে দাফন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://bangla.samakal.net/2016/09/28/239656 |title=কুড়িগ্রামে চিরনিদ্রায় সৈয়দ শামসুল হক |newspaper=দৈনিক সমকাল |date=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |accessdate=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬}}</ref>

[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী]]