বেশান্তর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Debjitpaul10 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Debjitpaul10 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৪৭ নং লাইন:
 
==সামাজিক প্রভাব ও সমস্যা==
ইতিহাসে বারবার পৌরুষের সাথে বীরত্ব এবং নারীত্বের সাথে কোমলতাকে জুড়ে দেওয়ায়, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে পুরুষের পোশাকে নারী এবং নারীর পোশাকে পুরুষের অবস্থান — দুটো ঘটনা সমাজে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আজ মহিলারা পুরুষদের পোশাক পরলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশান্তর ও স্বাভাবিক পোশাকের বিভাজনরেখা অতি ক্ষীণ, তাই নারীদের সেই অর্থে বেশান্তরকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় না।
 
কোনো ব্যক্তির জীবনে বেশান্তর শুরু হতে পারে শৈশবেই; তার বিপরীত লিঙ্গের ভাই-বোন, অভিভাবক বা বন্ধুর পোশাক পরে। কিছু অভিভাবক জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানকে ছোটোবেলায় বেশান্তর করতে দিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই, সে বড়ো হলে আপনিই ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বেশান্তর করেছেন, তাকে অভ্যাসটি ছাড়তে হয়েছে বিয়ের পর। বিবাহিত বেশান্তরকারীরা অনেক সময় অপরাধবোধ ও অবসাদের শিকার হন, কারণ তাঁর সঙ্গী (বা সঙ্গিনী) তাঁর এই আচরণটি পছন্দ না-ও করতে পারে। অনেক বেশান্তরকারী তাঁর সমস্ত পোশাক সাময়িকভাবে ফেলে দিয়েছেন, নতুন করে বেশান্তর শুরু করার জন্য।
 
ইতিহাসে বারবার পৌরুষের সাথে বীরত্ব এবং নারীত্বের সাথে কোমলতাকে জুড়ে দেওয়ায়, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে পুরুষের পোশাকে নারী এবং নারীর পোশাকে পুরুষের অবস্থান — দুটো ঘটনা সমাজে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আজ মহিলারা পুরুষদের পোশাক পরলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশান্তর ও স্বাভাবিক পোশাকের বিভাজনরেখা অতি ক্ষীণ, তাই নারীদের সেই অর্থে বেশান্তরকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় না।
সামাজিক উন্নয়ন মানুষকে পুরুষ ও নারীর লিঙ্গবৈষম্য ও নিষেধাজ্ঞা থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি দিয়েছে, যদিও অন্ধবিশ্বাসের কারণে তা এখনো সম্পূর্ণ মুছে যায়নি। রূপান্তরকামীদের স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে গ্রহণ করার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইভাবে বেশান্তর ও সমকামিতার সম্পর্কে অন্ধধারণারও দ্রুত অবসান ঘটছে কিছুকাল থেকে। রূপান্তরকামী ও সমকামীরা নিজেদের যৌন পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছেন বেশান্তরের মাধ্যমেই। আবার, লিঙ্গ-পরিবর্তনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার একটি পর্যায়ে বেশান্তর করতে হয়।
 
সমাজ সর্বদাই বেশান্তর সম্পর্কে মিশ্র ধারণা পোষণ করে। কোনো মহিলা তাঁর স্বামীর শার্ট পরলে তাঁকে আকর্ষণীয়া ও উত্তেজক বলা হয়, কিন্তু কোনো পুরুষ তাঁর স্ত্রীর শাড়ি পরলে তাঁকে রূপান্তরকামী ও হাস্যকর বলা হয়। এখনও বিশ্বের অধিকাংশ প্রান্তেই কোনো পুরুষ প্রথাগত মেয়েদের পোশাক পরতে চাইলে তাকে সমাজে মেনে নেওয়া হয় না। সমাজের কাছে বেশান্তরকারীদের একটা বড়ো অভিযোগ হল, মেয়েদেরকে ছেলেদের ব্যবহারের পোশাক সহজেই পরতে দেয়া হয়; কিন্তু ছেলেদেরকে শুধু পোশাকই নয়, মেয়েদের ব্যবহার্য যে-কোনো জিনিস থেকে দূরেই থাকতে হয়।
 
দৈনন্দিন জীবনে কোনো ছেলে মেয়ের সাজে প্রকাশ্যে আসলে তাকে সমাজ সম্পূর্ণ কোণঠাসা করে, সে হয়ে ওঠে সবার ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের পাত্র, এমনকি প্রশ্ন ওঠে তার যৌন-পরিচয় নিয়ে। মেয়েদের পোশাক পরা ছেলেদের জন্য চরম লজ্জার, হাস্যকর, এতে ‘পৌরুষহানি’ হয় — এমন চিন্তাধারাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ভারতীয় উপমহাদেশে (অর্থাৎ বাংলাতেও) এই সমস্যাটি ভীষণভাবে প্রকট। দৈনন্দিন ব্যবহারিক ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশান্তর এখানে প্রায় নিষিদ্ধ ও বিরলতম ঘটনা। এসবের কারণ সম্ভবত পুরুষদের বেঁধে-দেয়া জন্য লিঙ্গ-প্রকটতা; তাই সে তার প্রথাগত 'পৌরুষ’ থেকে সরে আসতে চাইলে সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। কোনো পুরুষ নারীবস্ত্র গ্রহণ করলে ধরা হয়, তার লিঙ্গ-পরিচয়ের অবনতি ঘটল, কিন্তু কোনো নারী পুরুষ-বস্ত্র গ্রহণ করলে তার লিঙ্গ-পরিচয়ে বিশেষ কোনো পরিবর্তন মনে হয় না। কারণ, নারীকে সমাজে সর্বদাই পুরুষের অধীন এবং নিম্নস্থানে রাখার চেষ্টা হয়েছে। তাই কোনো পুরুষ বেশান্তরিত অবস্থায় আপাত-নারীতে পরিণত হয়, এবং লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক প্রতিমূর্তি হয়ে পড়ে।
 
যদিও বর্তমানে সামাজিক উন্নয়ন মানুষকে পুরুষ ও নারীর লিঙ্গবৈষম্য ও নিষেধাজ্ঞা থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি দিয়েছে, যদিও অন্ধবিশ্বাসের কারণে তা এখনো সম্পূর্ণ মুছে যায়নি। রূপান্তরকামীদের স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে গ্রহণ করার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইভাবে বেশান্তর ও সমকামিতার সম্পর্কে অন্ধধারণারও দ্রুত অবসান ঘটছে কিছুকাল থেকে। রূপান্তরকামী ও সমকামীরা নিজেদের যৌন পরিচয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছেন বেশান্তরের মাধ্যমেই। আবার, লিঙ্গ-পরিবর্তনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার একটি পর্যায়ে বেশান্তর করতে হয়।
 
==আরও দেখুন==