নাফ নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
++
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৭৯ নং লাইন:
 
==প্রবাহ==
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] দক্ষিণ প্রান্তে [[বার্মা]] সীমান্তে অবস্থিত একটি নদী। এটি কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব কোনা দিয়ে প্রবাহিত। মূলত এটি কোন নদী নয়, বঙ্গোপসাগরের বর্ধিত অংশ। এর পানি তাই লবনাক্ত। এর পশ্চিম পাড়ে বাংলাদেশের [[টেকনাফ উপজেলা]] এবং পূর্ব পাড়ে বার্মার আরাকান প্রদেশের আকিয়াব অবস্থিত। এর প্রস্থ স্থান বিশেষে ১.৬১ কিমি হতে ৩.২২ কিমি হয়ে থাকে। নদীটির মোহনায় [[শাহপরীর দ্বীপ]] ও [[সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ]] অবস্থিত।
 
==ঘটনা==
নাফ নদীতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে, মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক জেলে ও [[শরণার্থী|শরণার্থীদের]] গুলিবর্ষণ, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি কর্তৃক বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো এবং সবশেষে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গার মায়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ। নিম্নে কিছু ইল্লেখযোগ্য ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে:
 
* ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ — বার্মার আধাসামরিক বাহিনী লুন টিনের সদস্যরা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে দিকে আসা ২০ জন শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা করে।<ref name="bangladesh-web.com">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.bangladesh-web.com/view.php?hidRecord=314350|title=Arakan: A Field of Muslim Genocide, News From Bangladesh|work=bangladesh-web.com}}</ref>
* ২৪ মার্চ ১৯৯৪ — মায়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের একটি দল নাফ নদীতে ছোট নৌকার মাধ্যমে মাছ শিকার করছিল, এসময় মায়ানমার সেনাবাহিনীর পশ্চিমের কমান্ডের সদস্যরা জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন কিন্তু জেলার টাকা না দিতে পারায় তাদের রশি দিয়ে বেঁধে মায়ানমারের মাংডু শহরের বালু খালি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।<ref>{{cite web|url=http://www.bangladesh-web.com/view.php?hidRecord=314350|title=Arakan: A Field of Muslim Genocide, News From Bangladesh|workname="bangladesh-web.com}}<"/ref> ৫ দিন ধরে ৮ জন রোহিঙ্গা জেলেকে নির্যাতনের পর তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।<ref name="burmalibrary.org"/>
* ২৭ অক্টোবর ২০০১ — নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বার্মার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী একজন বাংলাদেশিকে হত্যা করে, ২ জনকে আহত করে এবং ১৩ জনকে অপহরণ করে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.arabnews.com/node/215790|title=Burmese troops kill one, abduct 13, says Dhaka|work=arabnews.com}}</ref>
* ২২ জানুয়ারি ২০০৫ — নাফ নদী অতিক্রম করার সময় মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। অস্ত্র বিহীন এতোগুলো মানুষকে হত্যা করার পর মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়া জন্য বলা হয়েছিল, “লোকগুলো চাল পাচারের সাথে জড়িত বলে তাদের সন্দেহ”।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.burmalibrary.org/docs6/Yearbook2005/Burma%20Human%20Righ/Extra-judicial%20Killing.htm|title=2. Extra-judicial Killing, Summary or Arbitrary Execution|work=burmalibrary.org}}</ref>
* জুন ২০১২ — মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে যদিও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাদের বেশ কয়েক দলকে ফেরত পাঠিয়েছিল।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.geopoliticalmonitor.com/backgrounder-the-rohingya-of-myanmar-4728/|title=Backgrounder: the Rohingya of Myanmar - Geopoliticalmonitor.com|work=Geopoliticalmonitor.com}}</ref><ref>Burma: Mass Arrests, Raids on Rohingya Muslims, Human Rights Watch, July 5, 2012</ref><ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|title=Border guards push back 500|author=Dwaipayan Barua|journal=The Daily Star|date=12 June 2012|url=http://www.thedailystar.net/newDesign/print_news.php?nid=237990}}</ref><ref name=Guardian>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|url=https://www.theguardian.com/world/2012/aug/07/bangladesh-persecuted-burmese-tribe-muslim|title=Persecuted Burmese tribe finds no welcome in Bangladesh: Bangladesh turns away and bans aid to thousands of displaced Muslim Rohingya people trying to cross river to Teknaf|journal=The Guardian|date=7 August 2012|author=Syed Zain Al-Mahmood}}</ref> ২০১২ সালের ১১ই জুলাই মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি থেইন সেইন মায়ানমার থেকে সব রোহিঙ্গাকে বহিষ্কারের কথা বলেন অথবা জাতিসংঘে প্রস্তাব করেন ৩ লক্ষ রোহিঙ্গাকে অন্য কোথায় সড়িয়ে নিতে যদিও জাতিসংঘ প্রস্তাবটি সাথে সাথেই বাতিল করে দেয়।<ref name=Guardian/>
* আগস্ট ২০১৭ — বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের ঘুমডাম সীমান্ত চৌকির স্টেশন প্রধান বলেন, মায়নমারের সেনাবাহিনী শরণার্থী হিসেবে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উপর গুলিবর্ষণ করেছে। এএফপির এক প্রতিবেদকের তথ্য মতে, তিনি পলায়নরত রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও সীমান্তে মাইন পেতে রাখার ঘটনা দেখেছেন।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|title=Myanmar security forces 'fire on fleeing Rohingya' amid violence in Rakhine|url=http://www.sbs.com.au/news/article/2017/08/27/myanmar-security-forces-fire-fleeing-rohingya-amid-violence-rakhine|accessdate=27 August 2017|work=SBS|date=27 August 2017}}</ref>
 
== আরও দেখুন ==
৯৮ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
{{commonsকমন্স catবিষয়শ্রেণী|Naf River}}
 
{{বাংলাদেশের নদনদী}}