মুরারিচাঁদ কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আজাদ মিয়া
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ, সংস্কার
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক-বিশ্ববিদ্যালয়
|name = মুরারিচাঁদ কলেজ
|native_name = এমসি কলেজ
|latin_name =
|image = [[চিত্র:Murari Chand College logo.jpg]]
৩৪ নং লাইন:
|mascot =
|fightsong =
|nickname = এমসি কলেজ
|affiliations =
|footnotes =
৪৪ নং লাইন:
}}
 
'''মুরারিচাঁদ কলেজ''' (সংক্ষেপে: ''এমসি কলেজ'') [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি শীর্ষস্থানীয়উচ্চতর ও ঐতিহ্যবাহীশিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।প্রতিষ্ঠান। এটি [[সিলেট]] শহরের টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত এবং বৃহত্তর [[সিলেট|সিলেটের]] সবচাইতে পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।ও শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকালের দিক দিয়ে এটি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] প্রতিষ্ঠিত কলেজগুলোর মধ্যে ৭ম।৭ম; ঐতিহ্যবাহী কলেজটি ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
== প্রতিষ্ঠার পটভুমি ==
মুরারিচাঁদ কলেজ [[১৮৯২]] সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।হয় তৎকালীন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী [[রাজা গিরিশচন্দ্র রায়]]-এর এটি প্রতিষ্ঠা করেন।অনুদানে। কলেজটির নামকরণ করা হয় তাঁর প্রমাতামহ মুরারিচাঁদ এর নামে। পূর্বে কলেজটি সিলেটের বন্দর বাজারের নিকট [[রাজা জি. সি. উচ্চ বিদ্যালয়]] এর পাশে অবস্থিত ছিল। [[১৮৯১]] সালে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] কলেজটিতে এফ. এ. ক্লাশ খোলার অনুমতি দিলে ১৮৯২ সালের ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মুরারিচাঁদ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। সেসময় ছাত্রদের বেতন ছিল ৪ টাকা এবং ১ম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশকৃতদের জন্য বিনা খরচে পড়ার ব্যবস্থা ছিল।
 
১৮৯২ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত রাজা গিরিশচন্দ্র রায় নিজেই কলেজটির সকল খরচ বহন করেন। ১৯০৮ সালে রাজা মারা গেলে কলেজটি সরকারী সহায়তা চায়। তখন থেকে কলেজটি সরকারী সহায়তায় পরিচালিত হতে থাকে। এরপর ১৯১২ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি কলেজ রুপে আত্মপ্রকাশ করে। একই বছর তৎকালীন আসামের চিফ কমিশনার স্যার আর্চডেল আর্ল কলেজটিকে ২য় শ্রেণীর কলেজ থেকে ১ম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত করেন ।
১৮৯২ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত রাজা গিরিশচন্দ্র রায় নিজেই কলেজটির সকল খরচ বহন করেন। ১৯০৮ সালে রাজা মারা গেলে কলেজটি সরকারী সহায়তা চায়। তখন থেকে কলেজটি সরকারী সহায়তায় পরিচালিত হতে থাকে। এরপর ১৯১২ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি কলেজ রুপে আত্মপ্রকাশ করে। একই বছর তৎকালীন আসামের চিফ কমিশনার স্যার আর্চডেল আর্ল কলেজটিকে ২য় শ্রেণীর কলেজ থেকে ১ম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত করেন । ১৯১৩ সালে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ক্লাস চালু হয়। পরবর্তীতে জননেতা আব্দুল মজিদ (কাপ্তান মিয়া) সহ আরো অনেকে মিলে ১৮০০০ টাকা অনুদান দিলে কলেজটিতে স্নাতক শ্রেণী চালু হয়।
 
১ম বিশ্বযুদ্ধ ও অন্যান্য নানা সমস্যার কারনে কলেজের ক্যাম্পাস পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন কলেজ থেকে ৩ কি. মি. দুরে থ্যাকারে টিলায় ( বর্তমান টিলাগড়) ১২৪ একর ভুমি নিয়ে বিশাল ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। সে সময় কলেজের ছাত্র স্ংখা ছিল ৫৬৮ জন। ১৯২১ সালে তৎকালীন আসামের গভর্ণর স্যার উইলিয়াম মরিস কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯২৫ সালে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে তা উদ্ভোদনউদ্বোধন করেন তৎকালীন আসামের গভর্ণর স্যার উইলিয়াম রীড। <br />
 
১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত কলেজটি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধিভুক্ত ছিল। দেশ বিভাগের পর এটি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধীনে আসে। পরবর্তীতে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৬৮ সালে কলেজটি [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধিভুক্ত হয়, এবং সর্বশেষ ১৯৯২ সালে [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠার পর দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর মত মুরারিচাঁদ কলেজটিকেও [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়]] এর অধিভুক্ত করা হয় এবং অধ্যাবধি রয়েছে।
 
৯১ ⟶ ৯৩ নং লাইন:
 
== কলেজের সুযোগ সুবিধা ==
 
=== হোস্টেল ===
বর্তমানে কলেজে ২টি হোস্টেল রয়েছে। একটি ছাত্রদের ও অপরটি ছাত্রীদের জন্য। ছাত্রদের হোস্টেলটি ৬ টি ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে ১টি ব্লক হিন্দু ছাত্রদের জন্য এবং বাকি ৫টি ব্লক মুসলমান ছাত্রদের জন্য। এছাড়াও ছাত্রীদের জন্যও একটি হোস্টেল রয়েছে।
 
=== খেলার মাঠ ===
১০২ ⟶ ১০৩ নং লাইন:
 
=== পোস্ট অফিস ===
কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে রয়েছে [[বাংলাদেশ ডাক বিভাগ]] -এর একটি পোস্ট অফিস।
 
== সহশিক্ষা কার্যক্রম ==
১১৮ ⟶ ১১৯ নং লাইন:
== সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ==
প্রতিবছর মুরারিচাঁদ কলেজে [[বাংলা নববর্ষ]] এর অনুষ্ঠান বেশ জাকজমকভাবে উদযাপিত হয়। সকল পেশার,সকল শ্রেণীর মানুষ এই অনুষ্ঠানে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে, যা এই অনুষ্ঠানকে এতদঞ্চলের সবচাইতে জাঁকজমকপুর্ণ আয়োজনে পরিনত করেছে।
এম.সি কলেজে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে "থিয়েটার মুরারিচাঁদ" এবং "মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন" নামে দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।
মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতেক বছর পুরো ক্যাম্পাসে 'বসন্তবরণ' উৎসব করে থাকে। যা বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সর্বোপরি ভূমিকা পালন করে মোহনা।
স্লোগান - হৃদয়ের টানে।
বর্তমান মোহনার সভাপতির দায়িত্বে আছেন এনাম উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদ মিয়া ওরফে আচুদা।
 
== প্রখ্যাত ছাত্র-ছাত্রী ==
১২৭ ⟶ ১২৪ নং লাইন:
* [[মোহাম্মদ আতাউল করিম]], বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী
* [[আবু তাহের]] , বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও বামপন্থি রাজনীতিবিদ
* [[ডাক্তার আব্দুস শহীদ খান]],
* [[নুরুল ইসলাম নাহিদ]] , [[বাংলাদেশ সরকার]] এর বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী
* [[এম এ রশীদ]] , [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়]] এর প্রথম উপাচার্য<ref>[http://www.buet.ac.bd/rashidhall/about_dr_m_a_rashid.html বুয়েট ডট এসি ডট বিডি]</ref><ref>[http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/R_0133.HTM বাংলাপিডিয়া]</ref>
১৩৮ ⟶ ১৩৪ নং লাইন:
* [http://banglapedia.search.com.bd/HT/M_0001.htm বাংলাপিডিয়া]
* [http://svr87.edns1.com/~starnet/starinsight/2007/05/02/behind.htm প্রতিষ্ঠান তৈরীর পিছনে]. Star Insight. 26 May 2007.
* [http://www.thedailystar.net/2006/03/25/d60325070379.htm সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা]. The Daily Star. 25 March 2006.
* [http://sylhetinfo.com/education/m-c-college/ সিলেট ইনফো.কম : এমসি কলেজ]
 
{{বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ সমূহ}}