জেড ফোর্স (বাংলাদেশ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎খাশীপুর এর যুদ্ধ: বানান সংশোধন
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
বানান, replaced: কারন → কারণ (2)
১৮ নং লাইন:
৮, থিয়েটার রোড, [[কলকাতা]]<nowiki/>য় অনুষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডার' সভায়&nbsp; [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] প্রথম ব্রিগেড অব গঠন করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] এর সময় মেজর [[জিয়াউর রহমান]] পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন<ref>Document for showing The Bangladesh Gazette announcing the promotion of Ziaur Rahman to Lieutenant General in the book [//en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh:_A_Legacy_of_Blood Bangladesh: A Legacy of Blood] by Anthony Mascarenhas</ref> এবং তৎকালীন সময়ে উপস্থিত সদস্যের মধ্যে তিনি সবচাইতে সিনিয়র হওয়ায় ব্রিগেডটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
 
যদিও বৈঠক শেষে&nbsp; সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্রিগেড গঠন করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হয়েছিল। [[বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী]] প্রধান [[এমএজি ওসমানী]] ১৩ই জুন ১৯৭১ মেজর মঈনুল হোসেনকে সিদ্ধান্ত অবহিত করেন।<ref name=rokomari_a>{{বই উদ্ধৃতি|author1=মে. জে. মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.)|title=এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য স্বাধীনতার প্রথম দশক (১৯৭১-১৯৮১)|date=2013-03-01|publisher=মাওলা ব্রাদার্স|isbn=984-410-175-1|accessdate=15 জানুয়ারি 2017}}</ref> কিন্তু বাংলাদেশ সরকার গেজেট এর জন্য, ফোর্সটি ৭ জুলাই ১৯৭১ গঠিত হিসাবে পরিচিত হয়।
 
ব্রিগেডটির সদর দপ্তর ছিল [[তুরা]] এর তেলহালা ভারত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://archive.thedailystar.net/campus/2008/03/04/feature_sectors.htm|title=সেক্টর এন্ড আর্মড ফোর্সেস অব লিবারেশন ওয়ার ১৯৭১|last=মাহমুদ উর রাসিদ|date=23 March 2008|work=স্টার ক্যাম্পাস|publisher=দ্যা ডেইলি স্টার|access-date=2016-12-15}}</ref>
৯০ নং লাইন:
===কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ ===
{{main|কমলপুর যুদ্ধ}}
পুরাতন [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদের]] তীরে এবং [[জামালপুর সদর উপজেলা|জামালপুর]] হয়ে [[ময়মনসিংহ (শহর)|ময়মনসিংহ]] সড়ক সংযোগে [[কমলপুর|কমলপুর]] ছিল অন্যতম শক্ত সীমান্ত ফাঁড়ি। সেখানে ছিল গোলা-নিরোধী ছাদ বিশিষ্ট কংক্রিট বাংকার/পরিখা যেগুলি প্রতিটি গভীর নালার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও সাহায্য বিনিময়ে সক্ষম, নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসাবে ছিল স্ব-নিয়ন্ত্রিত ফাঁদ ও ভূমিবিস্ফোরক এবং অন্ধকারের সময় পাকিস্তানের সৈন্যরা একেবারে ভিতরের নিরাপদ স্তরে ঢুকে যেত। <ref name="ডেইলি স্টার_০২">{{cite web|author=|url=http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=115138 |title=সিগনিফিকেন্স অব আর্মড ফোর্সেস ডে|publisher=ডেইলিস্টার আর্কাইভ|date=2009-11-23 |accessdate=2013-05-19}}</ref>
 
১৯৭১ সালের ৩১শে জুলাই দিবাগত রাত্রে (১লা অগাস্ট রাত) [[জিয়াউর রহমান]] এর নির্দেশ মোতাবেক মেজর মইনুল হোসেন এর নেতৃত্বে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ডেল্টা এবং ব্রাভো শত্রুপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেজর মইন এতোদ্রুত এমন মিশনে রাজী ছিলেননা, তার মতে কামালপুরের মত যথেষ্ট শক্তিশালী পাকিস্তানী ঘাটিতে সেটপিস যুদ্ধের মাধ্যমে আক্রমন করার সক্ষমতা জেড ফোর্সের বা তার ব্যাটালিয়নের নেই।মেজর মইনের প্ল্যান ছিলো হিট অ্যান্ড রান গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তান ফোর্সকে দুর্বল এবং নাজেহাল করা। কিন্তু জিয়া সিদ্ধান্ত পাল্টালেন না যার মূল কারনকারণ ছিল হাইকমান্ডের নির্দেশ এবং ঘাঁটিটির স্ট্রাটেজিক গুরুত্ব।<ref name="ব্লগস্পট">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=১৯৭১, জেড ফোর্সের মুক্তিযুদ্ধ : জিয়া-শাফায়াত-মইন-আমিনুলদের যুদ্ধ দিনের গল্প জানুন ছবি আর বর্ননায়|url=http://muktijuddhergolpo.blogspot.com/2012/09/blog-post_1723.html|website=গুগল ব্লগস্পট|accessdate=14 জানুয়ারি 2017}}</ref>
 
আক্রমণ থেকে প্রত্যক্ষভাবে জয় না পেলেও এই আক্রমণে ২০০ এর অধিক পাকিস্থানি সৈন্য নিহত হয় এবং তাদের মনোবলের উপর ছিল বড় ধরনের ধাক্কা একই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ছিল উৎসাহের প্রতীক।
১০৬ নং লাইন:
 
===নকশি সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ===
[[শেরপুর জেলা|শেরপুর জেলার]] ঝিনাইগাতী থানার '''নকশি সীমান্ত ফাঁড়ি''' ছিল পাকিস্থানের একটি শক্ত ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানগত কারনেকারণে এটি জেড ফোর্স এর আক্রমণ তালিকায় নেওয়া হয়।
আক্রমণে ছিল ক্যাপ্টেন আমিন আহমেদের আলফা কোম্পানি আর লেঃ মোদাসেরের ডেল্টা কোম্পানি। সুবেদার হাকিমের ইপিআর কোম্পানিটি ছিল কাট অফ পার্টি হিসেবে। ফায়ারিং কভার দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর আমিনুল হক। আর ফাঁড়ির পাশে শালবনে ফরোওয়ার্ড এরিয়া অ্যাসেম্বলী থেকে জিয়া ওয়ারলেস যোগাযোগের মাধ্যমে যুদ্ধ কোঅর্ডিনেট করছিলেন।<br />
 
'''৩রা আগস্ট ভোর ৩টা ৪৫''' আলফা কোম্পানীর প্রধান ক্যাপ্টেন আমিন আহমেদ চৌধুরী ও চার্লি প্রধান লেফটেন্যান্ট মোদাসসের হোসেন সাহসী দুই কোম্পানী নিয়ে দ্রুততার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুর উপর। অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের যথেষ্ট অভাব থাকলেও অসামান্য দৃঢ়তার সাথে ঘাঁটির ৫০ গজের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং পাকিস্তানি হানাদারদের প্রচণ্ড মর্টার আক্রমণের মাঝেও ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং আশ্রয়ের জন্যে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পালিয়ে যায় (পরবর্তীতে যদিও তারা পালানোর সময় সাথে নিয়ে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাইন দ্বারা [[মুক্তিবাহিনী]] ও জেড ফোর্স এর দখল এর উপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিল)।
১১৫ নং লাইন:
===ঘাসিপুর এর যুদ্ধ ===
১০ই সেপ্টেম্বর, ঘাসিপুরে [[ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট]] এর ১ম ব্যাটিলিয়ন ডেল্টা ফোর্স শক্ত অবস্থানে আসে যা ছিল কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির খুবই নিকটবর্তী একটি সংবেদনশীল অবস্থান।
খাদ্য, যোগাযোগ ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধার জন্যে ঘাসিপুর ছিল পাকিস্থান সেনাবাহিনীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেজন্যে জেড ফোর্স এর ঘাসিপুরের শক্ত অবস্থান কমলপুর ঘাঁটির জন্যে দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল। <br />
 
কমলপুর ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখার জন্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] তথা জেড ফোর্স এর প্রতিরক্ষার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। অসামান্য দৃঢ়তার ও সাহসিকতার মুখে পাকিস্থানের এ আক্রমণ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় এবং যথেষ্ট ক্ষতি স্বীকার করে নিয়ে তারা পিছু হতে যায়।<br />
 
এ যুদ্ধে রেজিমেন্ট এর '''লান্সনায়ক ইউসুফ''' এবং '''সুবেদার মোজাম্মেল''' শহিদ হন।
১২৬ নং লাইন:
===রৌমারীর প্রশাসন প্রতিষ্ঠা ===
[[কুড়িগ্রাম জেলা|কুড়িগ্রামের]] [[রৌমারী উপজেলা|রৌমারি]] স্বাধীন হয় আগষ্টের শেষের দিকে। জেড ফোর্সের দখলের পর [[জিয়াউর রহমান]] ৩য় [[ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট]] এর লেফটেনান্ট এস আই বি নুরুন্নাবি খানকে [[১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার]] এর পক্ষে প্রশাসনিক ভাবে সাজানোর দায়িত্ব
দেয়। [[শাফায়াত জামিল]] দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের যেন ভবিষ্যতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যেকোন আক্রমণ রুখেদিতে পারে।<br />
 
লেফটেনান্ট নবী দায়িত্ব পাবার সাথেসাথে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্যে প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ২৭ আগষ্ট, ১৯৭১ তিনি বেশ কিছু কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে (একটি হসপিটালও ছিল এর মধ্যে) এবং এর মাধ্যমে [[জিয়াউর রহমান]] স্বাধীন বাংলাদেশের কোন স্বাধীনকৃত স্থানে প্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা।<ref name="Jamil">{{cite book |author=কর্নেল শাফায়াত জামিল|year=1998 |title= একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগষ্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর |publisher=সাহিত্য প্রকাশ}}</ref>