হিমবাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
১৩ নং লাইন:
==হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ==
{{reflist}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বরফ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভূগোল]]
 
♦ '''গ্রাবরেখা [Moraine]''':
৩৯ ⟶ ৩৬ নং লাইন:
♦ '''ইরাটিক [Erratics]''' :
[[Image:Bigrock.jpg|thumb|ইরাটিক]]
হিমবাহ উপর থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলাচূর্ণ একই সঙ্গে নিয়ে এসে এক জায়গায় জমা করে, এগুলিকে একত্রে অবক্ষেপ [Drift] বলে । হিমবাহ অবক্ষেপিত বৃহৎ শিলাখন্ডগুলির সঙ্গে আঞ্চলিক শিলাসমূহের আকৃতিগত ও প্রকৃতিগত কোনো সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় না, তাই ওই হিমবাহ অবক্ষেপিত বৃহৎ শিলাখন্ডগুলিকে আগামুক [Erratics] বলে। কাশ্মীরের পহেলগামের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের আগামুক [Erratics] দেখা যায় ।
 
♦ '''বোল্ডার ক্লে [Boulder Clay]''':
[[File:Boulder Clay Cliffs - geograph.org.uk - 250110.jpg|thumb|right|বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ]]
হিমবাহ গলে গেলে তার নিচে হিমবাহের সঙ্গে বয়ে আনা বালি ও কাদার সঙ্গে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি-পাথর অবক্ষেপ হিসাবে সঞ্চিত হলে তাদের একসঙ্গে বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ [Boulder Clay] বলা হয়।
 
♦ '''ড্রামলিন [Drumlin]''':
৫৩ ⟶ ৫০ নং লাইন:
একক ড্রামলিন সাধরণত দেখা যায় না, সাধারণত ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রামলিন দেখা যায় । বহু ড্রামলিন একসঙ্গে অবস্থান করলে তাদের মধ্যবর্তী অবনত অঞ্চলগুলোতে জল জমে জলাভূমি সৃষ্টি হয় । অনেক উঁচুজায়গা থেকে দেখলে ড্রামলিনগুলিকে ‘ডিম ভর্তি ঝুড়ির’মতো মনে হয় । ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে তাই ঝুড়ি ভর্তি ডিমের মতো ভূ-পকৃতি বলে ।
 
'''উদাহরণ''': মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল, উত্তর ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি স্থানে বহু ড্রামলিন দেখা যায়।
 
♦ '''এসকার [Esker]''' :
[[চিত্র:Esker.jpg|thumb|এসকার]]
হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, এসকার [Esker] হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশে হিমবাহের বহন করে আনা বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি, পাথর, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি জমা হয়ে এক একটি দীর্ঘ, আঁকাবাঁকা, নাতিউচ্চ ও সংকীর্ণ বাঁধের মতো শৈলশিরা বা উচ্চভূমি গঠন করে । এই ধরনের শৈলশিরা উচ্চ ভূমিকে এস্‌কার [Esker] বলে ।
 
♦ '''কেম [kame]''' :
[[Image:Erratics-Cascades-PB110028.JPG|thumb|কেম]]
হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম [Kame] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যাদি স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপের মতো ত্রিকোণাকার যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাকে কেম [Kame] বলে । এগুলি উপত্যকার পার্শ্বদেশের সঙ্গে মিশে ধাপ তৈরি করে । কেম হল হিমবাহ ও জলের মিলিত সঞ্চয়জাত ভূমিরূপের একটি প্রকৃষ্ট নিদর্শন।
 
♦ '''বহিঃধৌত সমভূমি[Out-Wash-Plain]''':
[[File:Skeiðarársandur, Iceland.jpg|thumb|right|260px|বহিঃধৌত সমভূমি]]
হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বহিঃধৌত সমভূমি বা আউট-ওয়াশ সমভূমি [Out-Wash-Plain] হল তাদের মধ্যে অন্যতম ভূমিরূপ । উচ্চ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ এসে পৌঁছালে তা গলে নদীর সৃষ্টি হয় এবং সেখানে হিমবাহ-বাহিত পাথরের টুকরো, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে বিস্তীর্ণ সমভূমি গঠন করে তাকে আউট-ওয়াশ প্লেন বা বহিঃধৌত সমভূমি [Out-Wash-Plain] বলে।
 
► '''হিমশৈল [Iceberg]''' :
[[File:Iceberg in the Arctic with its underside exposed.jpg|thumb|300px|হিমশৈল]]
মেরু উপকূলে হিমবাহ সাগর জলে নেমে এলে তরঙ্গের আঘাতে ভেঙ্গে বিশাল বরফের স্তূপ বিচ্ছিন্ন হয়ে সংলগ্ন মহাসাগরে ভেসে বেড়ায় । সমুদ্রে ভাসমান এইসব বিশাল বরফের স্তূপকে হিমশৈল [Iceberg] বলে । হিমশৈল মাত্র ১ / ৯ অংশ সমুদ্রে ভেসে থাকে। এই রকম একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক জাহাজ তার প্রথম যাত্রাতেই গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।
 
[[বিষয়শ্রেণী:বরফ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভূগোল]]