সুন্নি ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Belal02010 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Belal02010-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Kmmrf-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{রুক্ষ অনুবাদ|date=জানুয়ারি ২০১৬}}
{{তথ্যছক-ইসলাম}}
'''সুন্নি''' মুসলিমরা [[ইসলাম]] অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়সম্প্রদায়। সুন্নিরা আরো পরিচিত '''আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত''' (আরবি هل السنة والجماعة "[[মুহাম্মদ|হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর]] ঐতিহ্যের ও সম্প্রদায়ের লোক") বা সংক্ষেপে '''আহল আস-সুন্নাহ''' (আরবি أهل السنة‎)। সুন্নি শব্দের উৎপত্তি সুন্নাহ (আরবি سنة) শব্দ থেকে যাদ্বারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাণী ও কর্মকে বুঝায়। তারা ইসলামের সেই অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হওয়া খলিফা [[আবু বকর|আবু বকরকে (রা.)]] মেনে নিয়েছিল। তাই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ( খিলাফত) নির্বাচন বা ‘শুরা’ সুন্নি ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ সুন্নি আইনজ্ঞরা নিজেদের পরিচয় দিতে চান সেই মুসলিম হিসেবে যাদের মূল গ্রন্থিত আছে সুন্নি আইনের চারটি ঘরানার ([[হানাফি]], [[মালিকি]], [[শাফি]], [[হানবালি]]) যে কোনো একটিতে।
 
== জনসংখ্যা ==
[[চিত্র:Muslim distribution.jpg|thumbnail|left|330px|[[সুন্নী]] ও [[শিয়া]] সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দেখানো হয়েছে (গাঢ় অংশ শিয়া)]]
মুসলিম জনসংখ্যার কত অংশ কোন প্রধান ধারার সাথে যুক্ত আছে তা নির্ণয় করা পরিসংখ্যানবিদদের কাছে বেশ কষ্টকর ছিল। যেমন, শিয়া সুন্নি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অনেক দেশেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। যখন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না তখন দেশটিকে সুন্নি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবুও বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করে একজন মোটামুটি এই অনুমানে পৌঁছাতে পারে যে শিয়ারা মোট মুসলিম জনসংখ্যার ১০-১৫%। যদিও আরেকটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখা গেছে শিয়াদের মোট পরিমাণ ৭.৫%। <ref>{{cite web|url=http://islamicweb.com/?folder=beliefs/cults&file=shia_population | title="How Many Shia Are in the World?" | publisher=IslamicWeb.com | accessdate=2006-10-18}}</ref> প্রকৃতপক্ষে [[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা|এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার]] তথ্যমতে শিয়াদের পরিমাণ মোট মুসলিম জনসংখ্যার এক-দশমাংশেরও কম।
 
== সুন্নি মাযহাব ==
মুসলিম জনসংখ্যার কত অংশ কোন প্রধান ধারার সাথে যুক্ত আছে তা নির্ণয় করা পরিসংখ্যানবিদদের কাছে বেশ কষ্টকর ছিল। যখন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না তখন দেশটিকে তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। web|url=http://islamicweb.com/?folder=beliefs/cults&file=shia_population | title="How Many Shia Are in the World?" | publisher=IslamicWeb.com | accessdate=2006-10-18}}</ref> প্রকৃতপক্ষে [[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা|এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার]]
ইসলামী আইনকে [[শরিয়াত|শরিয়াহ]] বলা হয়। আর এই শরিয়া তৈরি হয় [[কুরআন]] ও [[সুন্নাহ|সুন্নাহর]] ভিত্তিতে। যারা এই আইনসমূহের ব্যাখ্যা দেন তাদের মধ্যে খুব কম বিষয়েই মতপার্থক্য আছে।
 
* [[হানাফি]] মাজহাব([[আবু হানিফা|ইমাম আবু হানিফা]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
ইমাম [[আবু হানিফা|''ইমাম আবু হানিফা'' (র.)]] (জন্ম ৬৯৯খ্রি.- মৃত্যু ৭৬৭ খ্রি.) হলেন হানাফি মাজহাবের প্রবক্তা। তিনি [[ইরাক|ইরাকে]] জন্মগ্রহণ করেন। অন্য মাজহাবগুলোর তুলনায় তার মাজহাবটিতে প্রজ্ঞা ও যুক্তির উপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। [[বাংলাদেশ]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত]], [[আফগানিস্তান]], মধ্য এশিয়া; দক্ষিণ [[রাশিয়া]], [[ককেশাস]], বলকান উপদ্বীপের কিছু অংশে, [[ইরাক]] এবং [[তুরস্ক|তুরস্কের]] মুসলমানগণ এই মাজহাব অনুসরণ করেন।
 
* [[মালিকি]] মাযহাব ([[মালিক ইবনে আনাস|ইমাম মালিক ইবনে আনাস (র.)]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
মালিক ইবনে আনাস (জন্ম : ৭১১ খ্রিষ্টাব্দ/ ৯৩ হিজরি - মৃত্যু : ৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দ/ ১৭৯ হিজরি)তার তত্ত্বগুলো সুসংগঠিত করেন মদিনাতে যেখানে তাঁর সাথে পরিচয় ঘটেছিলো হযরত [[মুহাম্মদ|হযরত মুহাম্মদ (সা.)]]-এর বেঁচে থাকা এক সহচারীর (সাহাবীর) সঙ্গে। সমগ্র [[আফ্রিকা]] ( [[মিশর]] ব্যতিত) ও পুর্ব উপকূল জুড়ে এই মাজহাবের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
 
* [[শাফি]] মাজহাব( [[মুহাম্মদ ইবনে ইদরিস আশ-শাফি (র.)]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
আল শাফি একজন মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি প্রথমে ইরাকে ও পরে মিশরে শিক্ষালাভ করেন। [[ইন্দোনেশিয়া]] ,মিশরের দক্ষিণ ভাগ, [[মালয়শিয়া]] এবং [[ইয়েমেন|ইয়েমেনে]] এই মাজহাবের অনুসারীদের দেখা মেলে।
 
* [[হানবালি]] মাজহাব ([[আহমদ বিন হাম্বল|আহমেদ ইবনে হানবালি (র.)]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
ইমাম আহমদ বিন হাম্বলী(৭৮০-৮৫৫ খ্রি./ ১৬৪-২৪১ হিজরি) আল-শাফির শিষ্য ছিলেন। তৎকালীন খলিফার সাথে কিছু মতভেদের কারণে তাঁর উপর অনেক নির্যাতন করা হয়। [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] আধুনিক [[ওয়াহাবি আন্দোলন|ওয়াহাবিরা]] এই মতের অনুসারী বলে দাবী করে থাকেন।
 
এই চারটি মাজহাবের মধ্যে অল্পবিস্তর পার্থক্য থাকলেও সুন্নিরা সব কয়টি পথকেই সঠিক মনে করেন। এই মাজহাবগুলো ছাড়াও আরো মাজহাব আছে যাদের অনুসারী সংখ্যা খুবই নগণ্য কিংবা এরা কেউ বেঁচে নেই।
 
শরিয়াকে ব্যাখ্যা করে বিশেষ আইন প্রণয়নকে ফিকহ বলে। মাজহাব হলো একটা বিশেষ উপায়ে ফিকহকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা। এই ঘরানাগুলো বিশেষ কিছু প্রমাণ (শাফি ও হানবালি) কিংবা বিশেষ কিছু সাধারণ নীতিমালা (হানাফী ও মালিকী) এর উপর গুরত্ব আরোপ করে। যেহেতু এই মাজহাবগুলো শরিয়া ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিগত ভিন্নতা নির্দেশ করে,তাই প্রতিটি ধারাতেই কিছু না কিছু পার্থক্য আছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন ফিকহ আইন তৈরি হয়। যেমন একসময় তামাক সেবনে অনুৎসাহিত করা হতো এর উৎকট‌ গন্ধের কারণে কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণায় এর খারাপ দিকগুলো উন্মোচিত হওয়ায় এটিকে এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধ সফটওয়ার ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোও এখন বর্তমান ফিকহ সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে আসছে। ফলাফল হলো শরিয়া অপরিবর্তিত থাকলেও ফিকহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে।