শাহ আলম সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৯ নং লাইন:
শাহ আলম সরকার গ্রাম-গঞ্জ শহর নির্বিশেষে বাউল শিল্পী হিসেবে একজন জীবন্ত কিংবদন্তী।
==প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষাজীবন==
শাহ আলম সরকারের জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৬৫ ইং, বিক্রমপুরের লৌহজং থানারকুড়িহাঁও গ্রামের এক সম্ভান্ত ও ঐতিহ্যবাহী সলগীত পরিবারে। নানবাড়ী হলদিয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর পূর্বে জীবন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন পারিবারিক প্রয়োজনে। ঢাকার সদরঘাটে ফুটপাতে গার্মেন্টস এক্সসরিজের ব্যবসা। ইসবেঙ্গল স্কুলে নাইট শিফটে ভর্তি হওয়া শর্তেও জীবন যুদ্ধের অনিবার্য কারণে লেখাপড়া আর হয়ে উঠেনি।
==সঙ্গীত জীবন==
তাঁর দাদা গোলাম আলী বেপারী দরবারি সংগীতের সাথে খ্যাতিমান হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন, বড় কাকা গোলাম মহিউদ্দিন বেপারী, অসংখ্য গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে প্রশংসিত। আরেক কাকা প্রখ্যাত বাউল সাধক মরমী কবি আব্দুস সাত্তার মহন্ত যার হাতে তার সংগীত জীবনের হাতে খড়ি। ফুফাজান করিম মুন্সী ও দরবারী সংগীতের শিল্পী হিসেবে সনামধন্য। শাহ্ আলম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে গানের দীক্ষা নেন বিখ্যাত পালাগান শিল্পী আবুল সরকারের কাছে। তিনি প্রায় আড়াই হাজার গানের রচয়িতা ও সুরকার।সুরকার।তাঁর প্রকাশিত গানের ক্যাসেট ও সিডির সংখ্যা সাড়ে পাঁচশত এর অধিক। তিনি বাংলাদেশ বেতার টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী। প্রায় শতাধিক চলচিত্রে তিনি গীতিকার হিসেবে কাজ করেছেন। তার কিছু উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে
* ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায়
* মায়ের কান্দন যাবত জীবন
* আকাশটা কাঁপছিল ক্যান
* বান্ধিলাম পিরিতের ঘর
* খর কুটার এক বাসা বাঁধলাম
* হায়াতের তেল নিয়ে এসেছি এই দুনিয়াই, ইত্যাদি।
তাঁর ‘আকাশটা কাঁপছিল ক্যান’ গানটি ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ ছবিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।
==সংসার==
ব্যক্তিগত জীবনে শাহ আলম সরকার জীবনে বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।
 
==সম্মাননা==