রৌমারী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Raselly (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
১২ নং লাইন:
| literacy_rate = ৪৩%
| website = rowmari.kurigram.gov.bd
| website_caption = উপজেলা প্রশাসনেরতথ্য ওয়েবসাইটবাতায়ন
| footnotes =
}}
'''রৌমারী''' বাংলাদেশের [[কুড়িগ্রাম জেলা]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা]]।
 
'''রৌমারী উপজেলা''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[কুড়িগ্রাম জেলা|কুড়িগ্রাম জেলার]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা]]।প্রশাসনিক এলাকা।
== অবস্থান ==
 
বাংলাদেশের উত্তরে। কুড়িগ্রাম জেলার দক্ষিণে।
== অবস্থান ও আয়তন ==
নামকরণঃ প্রাচীনকালে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে রুই মাছ পাওয়া যেত, এ কারণে এ অঞ্চলের নাম রুইমারী থেকে কালক্রমে রৌমারী নামে রুপান্তরিত হয়।
এই [[উপজেলা|উপজেলাটি]] বাংলাদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১৯৭.৮০ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে [[উলিপুর উপজেলা]], দক্ষিণে [[চর রাজীবপুর উপজেলা]], পূর্বে ভারতের [[আসাম]] রাজ্য,এবং পশ্চিমে [[চর রাজীবপুর উপজেলা|চর রাজীবপুর]], [[চিলমারী উপজেলা|চিলমারী]] ও [[উলিপুর উপজেলা]]।
* আয়তন: ১৯৭.৮০ বর্গ কি. মি.
 
ভৌগোলিক অবস্থানঃ
== ইতিহাস ==
উত্তরে [[উলিপুর উপজেলা]], দক্ষিণে [[চর রাজীবপুর উপজেলা]], পূর্বে ভারতের [[আসাম]] রাজ্য, পশ্চিমে [[চর রাজীবপুর উপজেলা]], [[চিলমারী উপজেলা]] ও [[উলিপুর উপজেলা]]।
নামকরণঃ প্রাচীনকালে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে রুই মাছ পাওয়া যেত, এ কারণে এ অঞ্চলের নামঅঞ্চলটি 'রুইমারী' নামে পরিচিত ছিলো; থেকেযা কালক্রমে রৌমারী নামে রুপান্তরিত হয়।
 
== প্রশাসনিক এলাকা ও অন্যান্য ==
* সংসদীয় এলাকা: ১টি. ২৮-কুড়িগ্রাম- ৪ (রৌমারী, রাজীবপুর)
"স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একমাত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জনাব জাকির হোসেন "।
* উপজেলা: ১টি
* মৌজাঃ ২৯টি
* পৌরসভা: নাই
৪২ ⟶ ৩৯ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের প্রাক্কালে আসামের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গোয়ালপাড়া জেলা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রৌমারী সীমান্তের নিকট বড়াইবাড়ি নামক স্থানে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও মানকাচরের আবদুল কাশেম মিয়া পাকিস্তান কেল্লা প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্থানীয় যুবকদের সংঘবদ্ধ করে একটি মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেন। এই স্থানে একটি বিশাল মঞ্চ স্থাপন করে সাত দিন ধরে ঐ উঁচু মঞ্চে উঠে মওলানা ভাসানী লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সেক্টর কামান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের, উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান এবং আরও অনেকে পর্যায়ক্রমে এখান থেকে ১১নং সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধ সংগঠন ও পরিচালনা করেন। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং এখান থেকে চিলমারী, উলিপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হতো। রৌমারী হানাদার মুক্ত এলাকা।
 
রৌমারী মুক্তাঞ্চল আজ একটি বিস্মৃতপ্রায় নাম। অথচ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রৌমারী রণাঙ্গন ছিল একটি অনন্য নাম, ছিল প্রেরণার উৎস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এবং আমযারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাদের কাছে একটি অবিস্মরণীয নাম। ৭১’ এর সেই রক্তঝরা দিনগুলিতে রৌমারী মূল চড়, রাজীবপুর চড় এবং ব্রহ্মপুত্রের বুকে ছোট বড় অসংখ্য চড় ও দ্বীপমালা নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেদিন যুদ্ধাবস্থা বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ও বিশাল মুক্তাঞ্চল। শুধু পুরাতন রৌমারী থানার অন্তর্ভুক্ত মূল রৌমারীর মুক্ত্ঞ্চলের আয়তন ছিল ১২০ বর্গমাইলেরও বেশী। এই এলাকা আক্রমণকারী পাক বাহিনী দ্বারা অধিকৃত হয়নি  কোনদিন- গাঢ় সবুজের জমিনে আঁকা বাংলাদেশের সোনালী মানচিত্র ও রক্তলাল সূর্যখচিত বাংলাদেশের পতাকা সব সময় গর্বভরে আকাশে উড্ডীন ছিল মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়ে। এর কৃতিত্ব রৌমারীর সাধারণ মানুষের, আর অদম্য সাহসী মুক্তিসেনাদের, যারা রৌমরীর প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল –  জীবনকে বাজী রেখে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক রৌমারীর স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত হতে দেন নি।
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
*মোট জনসংখ্যা: মোটঃজনসংখ্যা ২,০০,২৯৯; পুরুষ- ৫০.৬২%, মহিলা- ৪৯.৩৮%
* ভোটার সংখ্যা: মোট: ১০১৩৫৯ জন, পুরুষ-৫০১৯৫ জন, মহিলা-৫১১৬৪ জন
* ঘনত্বঃ ১০১৩ জন
 
== শিক্ষা ==
* শিক্ষার হার: ৩২.১০%
৬৪ ⟶ ৬০ নং লাইন:
* কাঁচা রাস্তা: ৩৮৫.৩৭ কি. মি.
 
== উল্লেখযোগ্য স্থান বা দর্শনীয় স্থান ==
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে ঢুকে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় বিডিআর ও গ্রামবাসীদের মিলিত প্রতিরোধে পর্যুদস্থ হয় আগ্রাসনকারী বিএসএফ।দীর্ঘ ৪২ ঘণ্টা চলে এ যুদ্ধ। গুলি পাল্টা গুলির পর ২০ এপ্রিল যুদ্ধ থামে। শহীদ হয়েছিল ৩৩-রাইফেলস ব্যাটালীয়নের ল্যান্স নায়েক ওহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬-রাইফেলস ব্যাটালীয়নের সিপাহী আব্দুল কাদের। ভারতীয় পক্ষের নিহত হয় ১৬ জন বিএসএফ সদস্য। এ কারণে এই দিনটি রৌমারীবাসী পালন করে ‘‘বড়াইবাড়ী দিবস’’ হিসাবে। আর বড়াইবাড়ী পরিচিত হয় সারাবিশ্বে।
 
== বিবিধ ==
৮৩ ⟶ ৭৮ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের উপজেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:কুড়িগ্রাম জেলা]]