শ্রীমন্ত শঙ্করদেব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
Rahul amin roktim (আলোচনা | অবদান)
অগ্রহায়ন বানান ঠিক করা হল
১ নং লাইন:
{{Infobox Hindu leader
|name = শ্রীমন্ত শঙ্করদেব
|image = Sankaradeva.jpg
|image_size = 250px
|alt =
|caption = বিষ্ণু প্রসাদ রাভা কতৃককর্তৃক অঙ্কিত শ্রীমন্ত শংকরদেবেরশঙ্করদেবের চিত্র
|birth_date = ১৪৪৯
|birth_place = [[বরদোয়া]], [[নগাঁও]], [[অসম]], [[ভারত]]
|birth_name =<!-- name before becoming a religious teacher -->
|death_date = ১৫৬৮
|death_place = [[মধুপুর সত্র]], [[ভেলাদংগা]], [[কোচবিহার]], [[ভারত]]
|guru =
|disciple = [[মাধবদেব]]
|philosophy = [[বৈষ্ণব ধর্ম]]
|honors = ''মহাপুরুষ''
|founder = [[মহাপুরুষীয়া ধৰ্ম]]
|Literary works = [[কীর্তন ঘোষা]], [[বরগীত]], [[অংকীয়াঅঙ্কীয়া নাট]],
|quote =
|footnotes =
}}
'''শ্রীমন্ত শংকরদেবশঙ্করদেব''' ({{lang-en|Sankardev|}}; {{lang-as|শ্ৰীমন্ত শংকৰদেৱ}}) একাধারে ধর্মপ্ররাচক, কবি, নর্তক,সমাজ সংগঠক, সুগায়ক, অভিনেতা ও চিত্রকার ছিলেন। শ্রীমন্ত শংকরদেবশঙ্করদেব অসমীয়া জাতি-সাহিত্য ও সংস্কৃতির নির্মাতা। তিনি নববৈষ্ণব ধর্ম বা একশরন ধর্ম প্রচার করে<ref>http://www.atributetosankaradeva.org/Sankaradeva.htm</ref> সমগ্র অসমীয়া জাতিকে একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। অসমীয়া তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিস্ময়কর অবদান রাখার জন্য শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে মহাপুরুষ ও অবতারী পুরুষ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
==জন্ম==
খ্রীষ্টীয় ১৪ শতিকায় গৌড় রাজ্যের রাজা ধর্ম নারায়ন মিত্র কমতা রাজ্যের রাজা দুর্লভ নারায়নের দেশে সাতঘড় ব্রাহ্মন ও সাতঘড় কায়স্থ পাঠান। রাজা দুর্লভ নারায়ন তাঁদের অতি স্নেহে নিজের দেশে থাকার সুবিধা দেন। এই সাতঘর কায়স্থের মধ্যে চন্ডীবর নামক একজন বিজ্ঞ পন্ডিতপণ্ডিত ছিল। রাজা তাঁকে শিরোমনি ভূঞা উপাধি দিয়ে হাজোর নিকটবর্তিনিকটবর্তী মাগুরী নামক স্থানের শাসনভার দেন। কিছুদিন তিনি এই দ্বায়িত্ব সফলরুপে পালন করার পর নগাঁও জেলার বরদোয়া নামক স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা আরম্ভ করেন। তাঁর বংশে বর্তমান বরদোয়া থেকে প্রায় ৮কিঃমিঃ দূরত্বে আলি পুখুরী নামক স্থানে ১৩৭১শক(১৪৪৯ খ্রীষ্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) আশ্বিন-কার্ত্তিক মাসে শ্রীমন্ত শংকরদেবেরশঙ্করদেবের জন্ম হয়।তাঁর পিতার নাম কুসুম্বর ভূঞা ও মাতার সত্যাসন্ধা দেবী।
==বাল্যকাল ও শিক্ষা==
বাল্যকালে শংকরদেবেরশঙ্করদেবের মাতা ও পিতৃবিয়োগ হয়। তাঁর ঠাকুরমা খেরসুতি শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে লালন পালন করেন। ১২ বৎসর বয়সে শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে মহেন্দ্র কন্দলি অধ্যাপকের টোলে নামভর্তি করা হয়।<ref>http://www.atributetosankaradeva.org/bio.htm</ref> সেই বয়সে স্বরবর্নের ব্যবহার না করে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি বিষয়ক কবিতা করতল কমল রচনা করেন। তারপর অধ্যাপক মহেন্দ্র কন্দলি তাঁকে দেব উপাধি দেন ও শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে সেরা ছাত্রে পরিনতপরিণত করায়। তিনি মহেন্দ্র কন্দলির টোলে ৬বৎসর অধ্যয়ন করে চাঁরটি বেদ, চৌদ্দটি শাস্ত্র, অঠেরটি পুরান, নানান কাব্যগ্রন্থ, সংহিতা, ব্যাকরন, দর্শন ও বিভিন্ন শাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে উঠেন। টোলে থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম অনুবাদ স্বরুপস্বরূপ হরিশচন্দ্র উপাখ্যান কবিতা রচনা করেন। ধীর-স্থির ও জ্ঞানী-গুনী ব্যক্তি হয়ে তিনি নিজের পান্ডিত্যের পরিচয় দেন। ১৭ বৎসর বয়সে শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি নিজগৃহে ফিরে আসেন।
==কর্মজীবন==
শিক্ষা সমাপ্ত করে ঘরে আসার পর শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে সংসারের দায়িত্ব বহন করিতে হয়েছিল। পিতামহ জয়ন্ত দলৈ শিরোমনি ভূঞার দায়িত্ব শংকরদেবকেশঙ্করদেবকে অর্পন করেন। তিনি ছোট বয়সে শিরোমনি ভূঞার দায়িত্ব পাওয়ার জন্য তাঁকে ডেকাগিরি ডাকা হত। শংকরদেবশঙ্করদেব এই পদ গ্রহনগ্রহণ করার কিছুদিন পর কছাড়িরা আলি পুকুর অঞ্চলে বসবাসকারী ব্রাহ্মন ও কায়স্থদের উপর অত্যাচার করা আরম্ভ করেন ফলে শংকরদেবশঙ্করদেব তাঁর পরিবার সহ স্থানান্তর হয়ে বরদোয়াতে বসবাস করা আরম্ভ করেন। বরদোয়াতে ঘড় তৈরি করার সময় শংকরদেবেশঙ্করদেবে রামরাম গুরুর সঙ্গে উক্ত স্থানে মন্দির নির্মাননির্মাণ করার জন্য আলোচনা করেন। মন্দির নির্মানেরনির্মাণের সময় মাটি খোঁড়ে চতুর্ভূজ বিষ্ণুমূর্তি পা্য়। সাতখলপীয়া সিংহাসনের উপর তিনি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
 
==বৈবাহিক জীবন==
শংকরদেবশঙ্করদেব বংশগত হিসেবে পাওয়া শিরোমনি ভূঞার দায়িত্ব ছেড়ে একান্তমনে শাস্ত্রচর্চায় নিয়োজিত হওয়ার মনস্থ করেন। সংসারের প্রতি বিরাগ জন্মানের কথা উপলদ্ধিউপলব্ধি করে শংকদেবের পিতামহ সূর্যবতী ভূঞার সহিত বিবাহ করান। বিবাহের তিন বছর পর সূর্যবতীর গর্ভে শংকরদেবেরশঙ্করদেবের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কন্যাটির নাম রাখা হয় মনু। কন্যা সন্তান জন্মের ৯মাস পর সূর্যবতীর অকাল মৃত্যু হয়। পত্নিবিয়োগের পর তিনি কালিকা ভূঞার কন্যা কালিন্দিকে বিবাহ করেন।
==তীর্থ ভ্রমনভ্রমণ==
১৪০৩ সক ৩২ বৎসর বয়সে শংকরদেবশঙ্করদেব প্রথমবার তীর্থ ভ্রমনভ্রমণ করেন। তাঁর সাথে আরো ১৭জন তীর্থযাত্রী সঙ্গী হন। এদের মধ্যে অধ্যক্ষ মহেন্দ্র কন্দলি, রামরাম, সৰ্বজয়, পরমানদ, বলোভদ্ৰ, বলোরাম, গোবিন্দ, নারায়ণ, বরশ্ৰীরাম, গোপাল, চোট বলোরাম, মুকুণ্ড, মুরারি, হরিদাস, দামোদর, ও অন্য দুইজন এই দলের সদস্য ছিলেন। শঙ্করদেব অনুগামীদের সংঙ্গে গংগার গঙ্গার স্নান দৰ্শন থেকে আরম্ভ করে ত্রি জগন্নাথ-পুরী, সীতাকুণ্ড, উত্তর বাহিনী গংগাগঙ্গা, বরাহক্ষেত্ৰ, পুষ্করিণী তীৰ্থ, মথুরা, বৃন্দাবন, দ্বারকা, কাশী, বারানসী, প্ৰয়াগ, নেপাল, নিষধ, কৈকেয়, কোশল, অযোধ্যা, হস্তিনাপুর, পাঞ্চাল, শ্বেতদ্বীপ, কৰ্মনাশা কেশরী, কাবেরী, মাৰ্গকাশী, বিন্দুকাশী, কৈশিক তীৰ্থ, মুকুন্দ আশ্ৰম, পুষ্পভদ্ৰা, সোণারু, কপিল, গণ্ডকী নদী, উপদ্বারকা, অঙ্গদ নগর, রামেশ্বর সেতুখণ্ড, সুবাহু নগর, বিদিশা নগর, দণ্ডকা বন, চিত্ৰকুট পৰ্বত, গোদাবৰী, গোমতী, পঞ্চবটী আশ্ৰম, দা ঋষ্যমূক পৰ্বত, কিষ্কিন্ধ্যা, পুষ্করাবতী, ভরদ্বার, হরিদ্বার, জয়দ্বার, নৰ্মদা, মহানন্দা, কটক নগর, বদরিকাশ্ৰম ইত্যাদি তীৰ্থক্ষেত্ৰ ও ঐতিহাসিক স্থান ভ্ৰমণ করেন। ১৫৫০ শকের অগ্রহায়নঅগ্রহায়ণ মাসে শঙ্করদেব ৯৭ বছর বয়সে সংগীসঙ্গী ভক্তদের সঙ্গে পুনরায় তীৰ্থ ভ্রমন ভ্রমণ করেন।
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}