সতীনাথ ভাদুড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ShahadatHossain (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
চিত্র যোগ
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
| name = সতীনাথ ভাদুড়ী
| image = Replaceসতীনাথ this image male bnভাদুড়ী.svgjpeg
| birth_date = [[২৭ সেপ্টেম্বর]] [[১৯০৬]]
| birth_place = ভাট্টাবাজার, [[পূর্ণিয়া]], [[বিহার]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
২৫ নং লাইন:
 
==কর্ম ও সাহিত্য জীবন==
১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। এই সময় নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বলিপ্রথা ও মদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলন। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সময়েই। বাড়ি বাড়ি বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া গ্রন্থাগার স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পিতা ইন্দুভূষণের নামে গ্রন্থাগারটির নাম হয় [['ইন্দুভূষণ সাধারণ পাঠাগার']]। বলা যায় প্রায় তাঁর একক উদ্যমে বাংলা ম্যাগাজিন ক্লাব গঠন, [[সাহিত্যপাঠ]], স্মরণশক্তি প্রতিযোগিতা, সাহিত্য আড্ডা প্রভৃতির প্রচলন হয়। এই কাজের সূত্রেই তিনি সনামধন্য সাহিত্যিক [[কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়|কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] স্নেহ সান্নিধ্য লাভ করেন। পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক জীবনেরও সূচনা ঘটে। গান্ধীজীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং গান্ধিবাদী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথমবারের জন্য কারারুদ্ধ হন।<ref>SATINATH BHADURI RACHANABALI VOL-1 ,I S B N :ISBN 978-93-5020-049-0, juneজুন-2014২০১৪</ref> ১৯৪২ সালে ভারতছাড়ো আন্দোললের সময় তিনি দ্বিতীয়বার কারাবাসকালে জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন ; এর ফলে তাঁকে [[ভাগলপুর]] সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। এই কারাবাসকালীন সময়ই তাঁর [['জাগরী']] উপন্যাস রচনার প্রস্তুতিকাল। ১৯৪৪ সালে তিনি তৃতীয়বার কারাবরণ করেন। এই কারাবাসের সময় তাঁর সঙ্গেএ ছিলেন [[অনাথবন্ধু বসু]] [[ফণীগোপাল সেন]],[[জয়প্রকাশ নারায়ণ]], [[শ্রীকৃষ্ণ সিংহ]], [[অনুগ্রহনারায়ণ সিংহ]] প্রমুখ। ১৯০৪৫ সালে তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস 'জাগরী' প্রকাশিত হয়। 'চিত্রগুপ্ত' এই সাহিত্যিক ছদ্মনামে তিনি পরিচিত ছিলেন।
 
==কংগ্রেসপার্টি ত্যাগ==
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি কংগ্রেসের একজন সক্রিয়কর্মী ছিলেন এবং পূর্ণিয়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন ; কিন্তু দলের আভ্যন্তরীন কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন।<ref>^ Amaresh Datta (1987). Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo. Sahitya(ইংরেজি Akademi.ভাষায়) সাহিত্য একাডেমি। pp. 419–420. ISBN 978-81-260-1803-1.</ref> পার্টির দুর্নীতি আর দলাদলি তাঁর অসহ্য বোধ হয়। জনৈক্য পুরনো গ্রামীন কর্মী তাঁর কাছে [[কংগ্রেস]] ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি অকপটে জানিয়েছিলেন যে কংগ্রেসের কাজ ছিলো স্বাধীনতা লাভ করা। সে কাজ হাসিল হয়ে গেছে। এখন 'রাজকাজ' ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই।
 
==সম্মান ও শেষজীবন==
৫০ নং লাইন:
* দিকভ্রান্ত ১৯৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত ।
 
==উপন্যাসসমূহ==
==উপন্যাসসমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি==
 
===জাগরী===
 
''মূল নিবন্ধ'' - [[জাগরী]]
 
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম সাড়া জাগানো উপন্যাস। প্রকাশকাল ১৯৪৫ ; গ্রন্থটি সতীনাথ ভাদুড়ীর প্রথম প্রকাশিত হলেও কোথাও প্রথম প্রচেষ্টার সামান্যতম জড়তার চিহ্নমাত্র নেই। একেবারে ওস্তাদ লিখিয়ের মত সর্বত্র পরিণতির ছাপ। উপন্যাসের বিষয়বস্তু পূর্ণিয়া প্রবাসী একটি বাঙালি পরিবার কেন্দ্রিক; বাবা,মা, দুই ছেলে-ডাকনাম বিলু ও নীলু। বাবা ছিলেন ওখানকারই একটি স্কুলের হেডমাস্টার,বিদ্যা ও ব্যক্তিত্বের জোরে সকলের কাছেই সম্মানিত - সকলের মাস্টারসাহেব। গান্ধিবাদী আন্দোলনের প্রতি প্রবল আস্থাতে চাকুরি ছেড়ে সেখানেই আশ্রম খুললেন। আশ্রমই হলো কংগ্রেসের অফিস। খাওয়া-দাওয়া, কাজ-কর্ম,সবই চলতে থাকলো মহাত্মার আশ্রমের অনুকরণে। মা আশ্রমের গৃহস্থালীর দায়িত্ব সামলাতে থাকলেন। বিলু, নীলু আশ্রমেই বড়ো হলো। বড়ো ছেলে বিলু ম্যাট্রিক পাশ করলো কিন্তু আশ্রমের আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাকে আর কলেজে পড়ানো চলল না। কাশী বিদ্যাপীঠে পড়ে সে শাস্ত্রী উপাধি পেল। ছোটো ছেলে নীলু কলেজে পড়েই পাশ করলো।
৬৮ ⟶ ৬৬ নং লাইন:
 
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
<references/>
 
== বহিঃসংযোগ ==
 
{{অসম্পূর্ণ}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০৬-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক]]