ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
নতুন-১
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৮:২৯, ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ক্যান্ডি শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর। মধ্যপ্রদেশে এর অবস্থান। রাজধানী কলম্বোর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটি শ্রীলঙ্কার প্রাচীন রাজাদের সর্বশেষ রাজধানী ছিল। চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে এ শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক ও ধর্মীয় কারণে এ শহরের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ক্যান্ডি। বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত এ শহরে টুথ রেলিক (শ্রী দালাদা মালিগায়া) মন্দির রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করেছে এটি।

শহরটি বিভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে। কিছু গবেষক মনে করেন, বর্তমান ওতাপুলুয়ার কাছাকাছি কাতুবুলু নুয়ারা এ শহরের প্রকৃত নাম। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে সেনকাদাগালা বা সেনকাদাগালাপুরা যা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনকাদাগালা শ্রীবর্ধনা মহা নুয়ারা। এটি সংক্ষেপে মহা নুয়ারা নামে পরিচিত। লোকউপাখ্যানে কয়েকটি সম্ভাব্য উৎস থেকে এসেছে। গুহায় অবস্থানকারী সেনকান্দা নামীয় ব্রাহ্মণের নাম থেকে এ শহরের নাম উদ্ভূত। অন্য উৎসে জানা যায়, তৃতীয় বিক্রমাবাহু’র রাণী সেনকান্দা পাথরে রঙ করে সেনকাদাগালা রেখেছিলেন। ক্যান্ডি রাজ্যও অনেক নামে পরিচিতি পেয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলে সিংহলীজ কান্দা উদা রাতা বা কান্দা উদা পাস রাতা থেকে ইংরেজি নাম ক্যান্ডি হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় পর্বতের উপর ভূমি। পর্তুগীজরা সংক্ষেপে ক্যান্ডিয়া রেখেছিল যা রাজ্য ও এর রাজধানী উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতো। সিংহলী ভাষায় ক্যান্ডিকে মহা নুয়ারা নামে ডাকা হয় যার অর্থ মহান শহর বা রাজধানী। তা স্বত্ত্বেও প্রায়শই শহরটিকে নুয়ারা নামে ডাকা হয়।

ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৩৫৭-১৩৭৪ সিই সময়কালে বর্তমান শহরের উত্তরাংশে ওয়াতাপুলুয়ার কাছাকাছি গাম্পোলার রাজ্যের সম্রাট তৃতীয় বিক্রমাবাহু এ শহরের গোড়াপত্তন করেন। তিনি ঐ সময়ে এর নামকরণ করেছিলেন সেনকাদাগালাপুরা।