অ্যাডা লাভলেস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যা?
শেষ পরিদর্শন থেকে হালনাগাতকৃত
১৯ নং লাইন:
পুরো নাম তাঁর অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অফ লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস নামে। তাঁর জন্ম হয় লন্ডনের সম্ভ্রান্ত পরিবারে কবি [[লর্ড বায়রন|লর্ড বায়রনের]] কন্যা এবং একমাত্র সন্তান হিসেবে। অ্যাডা মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়, জরায়ুর ক্যান্সার এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
 
[[চার্লস ব্যাবেজ|স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ]] যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা [http://en.wikipedia.org/wiki/Analytical_engine [এনালিটিক্যাল এঞ্জিন]] নামক কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত, তখন অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন এই কম্পিউটারগুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিং এর অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে । সে চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তাঁর [http://www.fullbooks.com/Decline-of-Science-in-England.html ''Decline of Science in England]'' এই বইয়ে। আর এমন একটা সময়ে এই অসামান্যা নারী চার্লস ব্যাবেজকে যেসব সম্ভাবনার কথা জানান তা তার কাজকে আরো বেগবান করেছিল। অ্যাডা অগাস্টা’কে এখন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার ধরা হয়।
 
বায়রনের সৎ-বোন [http://en.wikipedia.org/wiki/Augusta_Leigh [অগাস্টা লেই]] এর নামে মেয়ের নাম রাখা হয়, আর বায়রন তাকে অ্যাডা নাম দেন। মাত্র একমাস যখন অ্যাডা’র বয়স তখন থেকে তার মা অ্যানাবেলা তাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান।
 
ছোট থেকেই অ্যাডা কিছুটা অসুস্থ্তায় ভূগছিলেন, প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতো এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা হতো। ১৮২৪ সালে তাঁর বাবা মারা যান, যদিও তিনি তার দায় বহন করতেন না। ১৮২৯ থেকে তিনি হাম এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ততায় ভূগছিলেন। কিন্তু ক্র্যাচে ভর দিয়ে হলেও শিক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন। ১৮৩২ এ যখন তাঁর বয়স ১৭ তখন তার বিশেষ গাণিতিক প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। তাঁর ছেলেবেলা থেকেই মা তাঁকে গণিতে দক্ষ করে তুলতে চাইতেন বাবার প্রভাব যাতে কোনোভাবেই মেয়ের মধ্যে প্রতিফলিত না হয় এই ভেবে। ১৮৪১ সালের অ্যাডা জানতেনই না লর্ড বায়রন তাঁর বাবা। বাসায় গৃহশিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিতেন তাঁকে। গণিতজ্ঞ ও যুক্তিবিদ ডি-মরগ্যান তাঁর শিক্ষক ছিলেন!। স্যার চার্লস ডিকেন্স, স্যার চার্লস হুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানি মাইকেল ফ্যারাডে’র সাথেও তাঁর জানাশোনা ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তাঁর সাথে পরিচয় হয় বিশ্ববিখ্যাত স্যার চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে।
 
চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ এবং রোম্যান্টিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ব্যাবেজ অ্যাডার অসাধারণ ধীশক্তি, সাবলিল লেখনী এবং প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। ব্যাবেজ অ্যাডা সম্পর্কে নিজের লেখায় অ্যাডাকে [http://en.wikipedia.org/wiki/Ada_Lovelace#cite_note-17 The Enchantress of Numbers] অাখ্যা দিয়েছেন।
 
চার্লস ব্যাবেজ, যিনি তাঁর সময়ের লোকদের কাছে অনেকটা পাগল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন, তাঁর নতুন ধ্যান ধারণাকে মাত্র গুটিকয়েক যে ক’জন বুঝতে পেরেছিলেন তন্মধ্যে অ্যাডা অগ্রগণ্য। যদিও ইতিহাসবেত্তাদের গলদঘর্ম হতে হয়, অ্যাডা কতোটা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন ব্যাবেজের উদ্ভাবনী কাজে তা খুঁজে পেতে। কেননা, ব্যাবেজ কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা সচেতনভাবে স্বীকার করেননি। লেডি অ্যানি ব্লান্ট ছিলেন, তাঁর কন্যা যিনি মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন এবং সেখানে উন্নত প্রজাতির ঘোড়ার সংকর ঘটান। তাঁকে মর্যাদা দিতে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রণিত প্রোগ্রামিং ভাষার নামও রাখা হয় [http://en.wikipedia.org/wiki/Ada_%28programming_language%29অ্যাডা। Ada]
 
[http://en.wikipedia.org/wiki/Conceiving_Adaকনসিভিং Conceiving Ada]অ্যাডা নামে তাঁকেতাকেঁ নিয়ে একটি মুভিওচলচিত্র নির্মিত আছে।হয়েছে। মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট অথেনটিসিটি হলোগ্রামে তাঁর ছবিও আছে।
 
কম্পিউটিং এবং প্রোগ্রামিং এ বিশেষ অবদানের কারণে ২৪ মার্চকে [http://findingada.com''অ্যাডা Adaলাভলেস Lovelace Day]দিবস'' হিসেবে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে।
 
{{অসম্পূর্ণ}}