সতীনাথ ভাদুড়ী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সন্দীপ সরকার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
২২ নং লাইন:
}}
 
'''সতীনাথ ভাদুড়ী''' (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯০৬ - ৩০ মার্চ ১৯৬৫) ছিলেন একজন প্রথিতযশা সাহিত্যিক। তিনি তৎকালীন [[বিহার|বিহারের]] [[পূর্র্ণিয়া|পূর্ণিয়ার]] ভাট্টাবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ইন্দুভূষণের আদিবাড়ি নদীয়ার [[কৃষ্ণনগর|কৃষ্ণনগরে]]। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে জীবিকাসূত্রে পিতা ইন্দুভূষণ পূর্ণিয়ায় চলে আসেন। সঙ্গত কারণে সতীনাথের স্কুলজীবন শুরু হয় [[পূর্ণিয়া জেলা স্কুল]] হতে। ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন্। এরপর [[পাটনা]] সায়েন্স কলেজ থেকে আই এসসি পাস করে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। ঐ বছরেই মাতা রাজবালা দেবীর মৃত্যু ঘটে। এসত্ত্বেও ১৯৩০ সালে [[অর্থনীতি|অর্থনীতিতে]] এম এ পাশ করেন এবং পরের বছরেই [[পাটনা আইন কলেজ]] থেকে বি এল পাশ করেন।
 
==কর্ম ও সাহিত্য জীবন==
১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। এই সময় নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বলিপ্রথা ও মদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলন। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সময়েই। বাড়ি বাড়ি বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া গ্রন্থাগার স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পিতা ইন্দুভূষণের নামে গ্রন্থাগারটির নাম হয় [['ইন্দুভূষণ সাধারণ পাঠাগার']]। বলা যায় প্রায় তাঁর একক উদ্যমে বাংলা ম্যাগাজিন ক্লাব গঠন, [[সাহিত্যপাঠ]], স্মরণশক্তি প্রতিযোগিতা, সাহিত্য আড্ডা প্রভৃতির প্রচলন হয়। এই কাজের সূত্রেই তিনি সনামধন্য সাহিত্যিক [[কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়|কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] স্নেহ সান্নিধ্য লাভ করেন। পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক জীবনেরও সূচনা ঘটে। গান্ধীজীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং গান্ধিবাদী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে [[সতীনাথ ভাদুড়ী]] প্রথমবারের জন্য কারারুদ্ধ হন।<ref>SATINATH BHADURI RACHANABALI VOL-1 ,I S B N : 978-93-5020-049-0, june-2014 </ref> ১৯৪২ সালে ভারতছাড়ো আন্দোললের সময় তিনি দ্বিতীয়বার কারাবাসকালে জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন ; এর ফলে তাঁকে [[ভাগলপুর]] সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। এই কারাবাসকালীন সময়ই তাঁর [['জাগরী']] উপন্যাস রচনার প্রস্তুতিকাল। ১৯৪৪ সালে তিনি তৃতীয়বার কারাবরণ করেন। এই কারাবাসের সময় তাঁর সঙ্গেএ ছিলেন [[অনাথবন্ধু বসু]] [[ফণীগোপাল সেন]],[[জয়প্রকাশ নারায়ণ]], [[শ্রীকৃষ্ণ সিংহ]], [[অনুগ্রহনারায়ণ সিংহ]] প্রমুখ। ১৯০৪৫ সালে তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস 'জাগরী' প্রকাশিত হয়। 'চিত্রগুপ্ত' এই সাহিত্যিক ছদ্মনামে তিনি পরিচিত ছিলেন।
 
==কংগ্রেসপার্টি ত্যাগ==
৩১ নং লাইন:
 
==সম্মান ও শেষজীবন==
কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সতীনাথ পূর্ণিয়ার কিশোর আর তরুণদের জন্য ব্যায়ামাগার গঠন ও শনিবারের সাহিত্যবাসর পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৪৯ সালে তিনি বিদেশ যাত্রা করেন। বিদেশে থাকাকালীন সময়েই তিনি তাঁর গ্রন্থ 'জাগরী'র জন্য বাংলাভাষায় প্রথম [[রবীন্দ্রপুরস্কার]] প্রাপ্তির সংবাদ পান। ১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ সতীনাথ ভাদুড়ীর প্রয়াণ ঘটে। মাত্র আটান্ন বছর বয়সে কোশীর শাখানদীর শ্মশানঘাটে তাঁর মরদেহ ভস্মীভূত হয়ে মিশে গেল পূর্ণিয়ার মাটিতে।
 
 
==গ্রন্থাবলী==