হোসাইন ইবনে আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Th12977 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৪৮ নং লাইন:
 
=== হোসেইন এবং খোলাফায়ে রাশিদীন ===
হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ)
ইয়াজিদের বেয়াদবীপূর্ণ
প্রস্তাব অস্বীকার করে যখন ওর দরবার
থেকে আপনজনদের কাছে ফিরে
আসলেন এবং সবাইকে একত্রিত করে
বললেন, আমার প্রিয়জনেরা! যদি
আমি পবিত্র মদীনা শহরে অবস্থান
করি, এরা আমাকে ইয়াযীদের
বাইয়াত করার জন্য বাধ্য করবে, কিন্তু
আমি কখনও বাইয়াত গ্রহণ করতে
পারবো না। তারা বাধ্য করলে
নিশ্চয়ই যুদ্ধ হবে, ফাসাদ হবে; কিন্তু
আমি চাইনা আমার কারণে মদীনা
শরীফে লড়াই বা ফাসাদ হোক।
আমার মতে, এটাই সমীচীন হবে যে,
এখান থেকে হিজরত করে মক্কা
শরীফে চলে যাওয়া। নিজের
আপনজনেরা বললেন, ‘আপনি
আমাদের অভিভাবক; আমাদেরকে
যা হুকুম করবেন তাই মেনে নেব।’
অতঃপর তিনি মদীনা শরীফ থেকে
হিজরত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আহ!
অবস্থা কেমন সঙ্গীন হয়ে গিয়েছিল
যে, ইমাম (রাঃ)কে সেই মদীনা
শরীফ ত্যাগ করতে হচ্ছিল, যে মদীনা
শরীফে তার(রাঃ) নানাজান
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের রওযা শরীফ অবস্থিত।
তাঁর নানাজান ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওযা
মুবারক যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে
হাজার হাজার টাকা পয়সা ব্যয়
করে, আপনজনদের বিরহ-বেদনা সহ্য
করে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দূর-
দূরান্ত থেকে লোকেরা আসে এই
মদীনায়। কিন্তু আফসুস, আজ সেই
মদীনা তিনি(রাঃ) ত্যাগ করছেন,
যেই মদীনা শরীফ তারই(রাঃ) ছিল।
নবীজী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)এর নয়নের তারা ছিলেন
তিনি(রাঃ)। ক্রন্দনরত অবস্থায়
তিনি(রাঃ) নানাজান
(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)এর রওযা পাকে উপস্থিত
হয়ে বিদায়ী সালাম পেশ করলেন
এবং অশ্রুসজল নয়নে নানাজান
(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)এর অনুমতি নিয়ে আত্মীয়-
পরিজন সহকারে মদীনা শরীফ
থেকে হিজরত করে মক্কা শরীফে
চলে গেলেন। মক্কা শরীফ তিনি
(রাঃ) কেন গিয়েছিলেন? আল্লাহ্
তা’আলা ইরশাদ ফরমান-
ﻭﻣﻦ ﺩﺧﻠﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻣﻨﺎ অর্থ: ‘যে হেরেম
শরীফে প্রবেশ করলো, সে নিরাপদ
আশ্রয়ে এসে গেল।’
— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৯৭
কেননা হেরেম শরীফের অভ্যন্তরে
ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবী
নাজায়িয ও হারাম। এমনকি হেরেম
শরীফের সীমানায় উঁকুন মারা পর্যন্ত
নিষেধ। তবে সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি
মারতে পারে। কিন্তু যে সব পশু-
পাখি মানুষের কোন ক্ষতি করে না
সেগুলো মারা জায়িয নেই।
মু’মিনদের ইজ্জত-সম্মান তাঁদের শান-
মান এটাতো অনেক উচ্চ হয়ে থাকে।
তাই ইমাম হুসাইন (রাঃ) চিন্তা
করলেন যে, হেরেম শরীফের
সীমানায় অবস্থান করে আল্লাহ
তা’য়ালার ইবাদত বন্দেগীতে
বাকী জীবন কাটিয়ে দিবেন- এ
মনোভাব নিয়ে তিনি মদীনা
শরীফ থেকে মক্কা শরীফে চলে
আসলেন।
 
== মুয়াবিয়ার সময় ==