সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
বিশ্বকোষীয় তথ্যই কেবল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
৩ নং লাইন:
{{wikify|date=অক্টোবর ২০১২}}
{{Infobox Muslim scholar
| name = সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক (রহ.)
| image = [[চিত্র:Syed Muhammad Ishaq.jpg]]
| image_size = ৩৪০ × ৩৭০
২২ নং লাইন:
}}
 
মাওলানা '''সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক''' (রহ.)([[১৯১৫|১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ]] - [[১৯৭৭|১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ]]) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক, বিশিষ্ট আলেমে দীন,পীর প্রসিদ্ধ হক্কানীরাজনৈতিক পীর।ব্যক্তিত্ত্ব। তিনি [[পীর সাহেব চরমোনাই]] নামে পরিচিত এবং বর্তমানে বহুল পরিচিত চরমোনাইয়ের চিশতিয়া সাবিরিয়া ইমদাদিয়া রশিদিয়া তরিকার প্রবর্তক ও প্রথম পীর। এ তরিকার দ্বিতীয় পীর ও তাঁরই সন্তান [[ফজলুল করীম|মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম রহ.]]-এর মৃত্যুর পর তিনি অনুসারীদের মাঝে 'দাদা হুজুর' নামে অভিহিত হন।
 
== জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি ==
মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক ১৯১৫ সালে (রহ.) [[হিজরী]] ১৩৩৩; সালেবঙ্গাব্দ (১৩১২ বা./১৯১৫ খ্রি.) বরিশাল শহরের নিকটস্থ, [[কীর্তনখোলা নদী|কীর্তনখোলা নদীর]] পূর্বপাড়ে অবস্থিত পশুরীকাঠি গ্রামের সুবিখ্যাত সাইয়েদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="মাই">১. মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ১১ ও ২. </ref><ref>হাফেজ মাওলানা হাবীবুর রহমান, '''''আমরা যাদের উত্তরসূরী (তাযকেরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ)''''', আল-কাওসার প্রকাশনী, ঢাকা, বাংলাদেশ (সংশোধিত সংস্করণ: ২০০৬ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩৪.</ref> তার পিতার নাম সাইয়েদ আমজাদ আলী।<ref name="মাই" />
== বংশপরিচয় ==
পীর সাহেব (রহ.)-এর পিতার নাম মরহুম সাইয়েদ আমজাদ আলী, তাঁর পিতার নাম মরহুম সাইয়েদ ওমর আলী, তাঁর পিতার নাম মরহুম সাইয়েদ গোলাম আলী। তাঁর পিতার নাম মরহুম সাইয়েদ আলী আকবর।
 
== শিক্ষা জীবন ==
মরহুম সাইয়েদ আলী আকবর ও মরহুম সাইয়েদ আলী আসগর; তাঁরা দুই ভাই ছিলেন। কথিত আছে, তাঁরা দুই ভাই [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসীয় খিলাফতের]] শেষ দিকে [[বাগদাদ]] থেকে [[বাঘ|বাঘের]] পিঠে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশে [[ইসলাম]] প্রচারের জন্য এসেছিলেন। তাঁদের একজন [[বরিশাল]] শহরের পশ্চিমে লাখুটিয়া গ্রামে অপরজন পশুরীকাঠিতে সেই সময়ের বনের মধ্যে ফকির-দরবেশ হিসেবে বসবাস করতেন।
পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.) কুরআন-হাদীসের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তাঁরই চাচাত মামা মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবদুল জাব্বার ওরফে আহসানুল্লাহ (রহ.)-এর কাছে, যাঁর নামানুসারে চরমোনাইয়ের অপর নাম আহসানাবাদ রাখা হয়েছে। এরপর উজানীর সুবিখ্যাত বুযুর্গ আলেমে দীন [[কারী মুহাম্মদ ইবরাহীম]] (রহ.)-এর কাছে কিরাআত শাস্ত্রসহ কুরআন শরীফ শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর কাছে সাত কিরাআত সমাপ্ত করে তিনি ভোলা দারুল হাদীস আলিয়া মাদরাসা থেকে জামাআতে উলা পাশ করেন।<ref name="মাই" />
 
অতঃপর তিনি ভারতের বিখ্যাত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন।{{cn}}
পীর সাহেব (রহ.)-এর পিতা মরহুম সাইয়েদ আমজাদ আলী [[চরমোনাই]]-নিবাসী আরেক বিখ্যাত সাইয়েদ পরিবারের মরহুম সাইয়েদ ফরমান আলী মীরের এক কন্যা বিয়ে করেন। তাঁদের ঔরষে পীর সাহেব (রহ.) ও তাঁর তিন বোন জন্ম নেন।
পীর সাহেব (রহ.) তাঁর পিতা ও মাতা উভয় দিক দিয়ে সাইয়েদ পরিবারের লোক ছিলেন। এজন্য তাঁকে [[নজীবুত তরফাইন]] বলা হয়।<ref>মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ১১-১২.</ref>
== শিক্ষা ==
পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.) কুরআন-হাদীসের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তাঁরই চাচাত মামা মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবদুল জাব্বার ওরফে আহসানুল্লাহ (রহ.)-এর কাছে, যাঁর নামানুসারে চরমোনাইয়ের অপর নাম আহসানাবাদ রাখা হয়েছে। এরপর উজানীর সুবিখ্যাত বুযুর্গ আলেমে দীন [[কারী মুহাম্মদ ইবরাহীম]] (রহ.)-এর কাছে কিরাআত শাস্ত্রসহ কুরআন শরীফ শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর কাছে সাত কিরাআত সমাপ্ত করে তিনি ভোলা দারুল হাদীস আলিয়া মাদরাসা থেকে জামাআতে উলা পাশ করেন।<ref>মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ১২-১৩.</ref>
 
অতঃপর তিনি ভারতের বিখ্যাত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন।
 
== আধ্যাত্মিক দীক্ষা ও খিলাফত লাভ ==
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে পীর সাহেব (রহ.) সুবিখ্যাত [[কারী মুহাম্মদ ইবরাহীম]] (রহ.)-এর কাছে আধ্যাত্মিক শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, তিনি তাঁর কাছ থেকে তরিকার খিলাফত লাভ করেন।<ref>১. মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ১২-১৩3 ও ২. হাফেজ মাওলানা হাবীবুর রহমান, '''''আমরা যাদের উত্তরসূরী (তাযকেরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ)''''', আল-কাওসার প্রকাশনী, ঢাকা, বাংলাদেশ (সংশোধিত সংক্ষরণ: ২০০৬খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩৪.</ref>
 
== পারিবারিক জীবন ==
== বিবাহ ও সন্তানাদি ==
ইসহাকের তিন স্ত্রী ছিলো; তারা হলেন: সাইয়েদা রাবেয়া খাতুন (২ পুত্র ৩ কন্যা; [[ফজলুল করীম|মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম]] তাদের মধ্যে অন্যতম), সাইয়েদা (১ পুত্র ৩ কন্যা) এবং আমেনা বেগম ৩ পুত্র ১ কন্যা)<ref name="মাই" />
পীর সাহেব (রহ.)-এর তিন স্ত্রী ছিলেন।
==== সাইয়েদা রাবেয়া খাতুন ====
পীর সাহেব (রহ.) প্রথম [[বিয়ে]] করেন চরমোনাই-নিবাসী তাঁর মামা মাওলানা সাইয়েদ আবদুল জাব্বার (রহ.)-এর একমাত্র কন্যা সাইয়েদা রাবেয়া খাতুনকে। এই ঘরে পীর সাহেব (রহ.)-এর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। যথা-
 
১. '''কারী সাইয়েদ মুহাম্মদ মুবারক করীম''', তিনি চরমোনাই চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ থেকে জামায়াতে সুয়াম পাশ করেন। তিনি দেশ-বিদেশে ওয়ায-নসিহতে আত্মনিয়োজিত রয়েছেন।
 
২. [[ফজলুল করীম|'''মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম''']]। তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ থেকে জামায়াতে উলা, ঢাকা জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। পীর সাহেব (রহ.)-এর মৃত্যুর পর তিনি স্থলাভিষিক্ত হন এবং পীর সাহেব চরমোনাই নামে পরিচিত হন।
 
৩. '''সাইয়েদা আনোয়ারা বেগম''', স্বামী: চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ আলিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ ও পীর সাহেবের খলীফা মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল হক।
 
৪. '''সাইয়েদা নুরজাহান''', স্বামী: চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ আলিয়ার মুহাদ্দিস ও পীর সাহেবের খলীফা মাওলানা মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসাইন। মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন কলকতা আলিয়া থেকে কামেল পাশ করেছেন।
 
৫. '''সাইয়েদা মমতাজ বেগম ওরফে মুকুল''', স্বামী: মাওলানা মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসাইনের ছোট ভাই, ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবাসায়ী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাওলানা বেলায়ত হোসাইন। মাওলানা বেলায়ত হোসাইন [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এমএ পাশ করেন।
 
==== সাইয়েদা ... ====
পীর সাহেব (রহ.) দ্বিতীয় বিয়ে হয় বরিশাল শহরের পশ্চিমে হরিণাফুলিয়া-নিবাসী সাইয়েদ আলী দরবেশের কন্যার সাথে। এই ঘর পীর সাহেব (রহ.)-এর এক ছেলে ও তিন মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। যথা-
 
১. '''সাইয়েদ হোসাইন আহমদ''', তিনি ১৫/১৬ বছর বয়সে মারা যান।
 
২. '''সাইয়েদা হুরুন্নিসা''', স্বামী: কুমিল্লার মাওলানা মমতাজুল করীম। মাওলানা মমতাজুল করীম পাকিস্থানের জামিয়া ইদরীসিয়া লাহোর থেকে দাওরা হাদীস পাস করেন। তিনি বর্তমানে বিখ্যাত কওমী মাদরাসা [[জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী]]-এ মুহাদ্দিস হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
 
৩. '''সাইয়েদা নুরুন্নিসা''', স্বামী: বরিশালের নলছিটি-নিবাসী মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান। মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান শর্ষিণা আলিয়া থেকে কামেল পাশ করেন। কর্মজীবনে তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদের শিক্ষক ছিলেন।
 
৪. '''...'''।
 
==== আমেনা বেগম ====
পীর সাহেব (রহ.) তৃতীয় বিয়ে করেন নোয়াখালী-নিবাসী মুহাম্মদ ইউনুস দরবেশের কন্যা আমেনা বেগমকে। সেই ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। যথা-।
 
১. '''সাইয়েদ রশীদ আহমদ ফেরদাউস''',
 
২. '''সাইয়েদ নাসির আহমদ কওসার''',
 
৩. '''সাইয়েদ খোরশেদ আহদ রেদওয়ান''',
 
৪. '''সাইয়েদা তসলিমা'''।<ref>মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ৩৮-৪১.</ref>
 
== খলীফাবৃন্দ ==
পীর সাহেব (রহ.) বাংলাদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদানের মধ্যে তিন শ্রেণীর মুরিদকে নিজের খলীফা বলে আখ্যা দিয়েছেন। যথা-
==== প্রথম শ্রেণী ====
যারা হক্কানী আলেম, কিতাম মতে যারা পীর হওয়ার উপযুক্ত, যারা তাঁর নিকট মুরিদ হয়ে রীতিমত সবক আদায় করে মুশাহাদার সবক শেষ করেছেন তিনি তাঁদেরকে খিলাফত দিয়ে নিজের নামে মুরিদ করা ইজাযত দিয়েছেন এবং খলীফা বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই শ্রেণীর খলীফা সম্পর্কে পীর সাহেব (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বাংলাদেশে তাঁর ১৮ জন খলীফার নাম উল্লেখ করেন। যথা-
 
১. মাওলানা মুহাম্মদ দলীলুর রহমান, কলাগাছিয়া,
 
২. মাওলানা মুহাম্মদ আকরম আলী, আলীমাবাদ,
 
৩. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম, সাহেবজাদা ও পীর সাহেব চরমোনাই,
 
৪. মাওলানা মুহাম্মদ আবুল বাশার, পীর সাহেব শাহতলী,
 
৫. মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল হক, বড় জামাতা,
 
৬. মাওলানা মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসাইন, মেজ জামাতা,
 
৭. মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, ছোট জামাতা,
 
৮. মাওলানা মুহাম্মদ দেলওয়ার হোসাইন, পীর সাহেব টেকের হাট, সরমঙ্গল,
 
৯. মাওলানা মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকী, পীর সাহেব মানিকগঞ্জ,
 
১০. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গনী, কুকুয়া,
 
১১. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, কেওরাবুনিয়া,
 
১২. হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আলীম, নোয়াখালী,
 
১৩. মাওলানা মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান,
 
১৪. মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, ফরিদপুর,
 
১৫. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হাই, ফরিদপুর,
 
১৬. মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুর রহমান, বরগুনা,
 
১৭. মাওলানা মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান, সুবিদপুর,
 
১৯. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আজীজ, শ্রীপুর, রংপুর।
 
==== দ্বিতীয় শ্রেণী ====
দ্বিতীয় শ্রেণীর খলীফা হলেন যেসব মুরিদান যারা সবক শেষ করেছেন, কিন্তু কিতাব মতে তাঁদের মধ্যে পীর হওয়ার উপযুক্ততা নেই এবং পীর সাহেব (রহ.)ও তাঁদেরকে নিজ নামে মুরিদ করতে আদেশ দেননি। তাঁর প্রতি নির্দেশ ছিল: তাঁরা পীর সাহেব (রহ.)-এর জীবদ্দশয়াই কেবল তাঁর নামেই মুরিদ করবেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে সবক নির্দেশনা দেবেন; এই ইজাযত ছিল। এ প্রকারের খলীফা কতজন তাঁদের নাম পীর সাহেব (রহ.) বলে যাননি। তবে এঁদের কয়েকজনের নাম হল:
 
১. কারী মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ মুবারক করীম, বড় সাহেবজাদা,
 
২. সুফী মুহাম্মদ মনসুর, বলতলা, কৈখালী,
 
৩. মুহাম্মদ আবদুল খালেক দরবেশ, মালোয়ার,
 
৪. মওলভী আমির আলী, খুলনা,
 
৫. মুহাম্মদ আমিন উদ্দীন, ঢাকা,
 
৬. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ দরবেশ, নোয়াখালী,
 
৭. মুহাম্মদ ইউসুফ দরবেশ, নোয়াখালী,
 
৮. মওলভী মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, পিরোজপুর,
 
৯. কারী মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, নোয়াখালী,
 
১০. কারী মুহাম্মদ আবদুল বারী, জাগুয়া,
 
১১. মওলভী মুহাম্মদ হিশামুদ্দীন খান, ঢাকা,
 
১২. মওলভী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, খুলনা,
 
১৩. কারী মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ, নোয়াখালী,
 
১৪. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, চালনা,
 
১৫. মাওলানা মুহাম্মদ গোলজারী, নোয়াখালী,
 
১৬. ডা. মুহাম্মদ ময়জুদ্দীন সরকার, নাটোর,
 
১৭. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গনী, পটুয়াখালী।
 
== অনুসারীবৃন্দ ==
==== তৃতীয় শ্রেণী ====
তার অসংখ্য ানুসারী রয়েছে; তাদের মধ্যে: সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম, মুহাম্মদ আবুল বাশার (শাহতলীর পীর), মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকী (মানিকগঞ্জের পীর) প্রমুখ প্রধান।<ref name="মাই" />
পীর সাহেব (রহ.)-এর তৃতীয় শ্রেণীর খলীফারা হলেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও হালকায়ে যিকরের ইমাম সাহেবগণ। তাঁরা পীর সাহেব (রহ.)-এর প্রতিনিধি হিসেবে নিজ নিজ হালকায়ে যিকরের লোকদেরকে যিকরের তালীম ও মাসআলা-মাসায়িল শিক্ষা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। তাঁরা পীর সাহেব (রহ.)-এর লিখিত কিতাবসমূহ পড়ে সকলকে শোনাবেন এবং বছরে দু’বার চরমোনাইয়ের মাহফিলে নিয়ে যাবেন, পীর সাহেব (রহ.)-এর সামনে মুজাহিদ কমিটির হাজিরা ও রিপোর্ট পেশ করবেন।।<ref>মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ৪২-৪৫.</ref>
 
== রচনাবলি ==
সাইয়েদ ইসহাক বিভিন্ন বিষয়ে ২৭টি পুস্তক রচনা করেছেন; এগুলো হলোঃ
মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক (রহ.) ইসলামি আধ্যাত্মিকতা (তাসাওফ ও সুফিতত্ত্ব) বিষয়ে একজন গবেষক ও তাত্ত্বিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ২৭টি পুস্তক রচনা করেছেন। তাঁর বইগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর কিতাবসমূহ হচ্ছে:
 
* আমপারার তাফসির
১৮৮ ⟶ ৭০ নং লাইন:
* জুমার নামাজ
* জিকরে জলি বা ওয়াজ হালের অকাট্য দলিল
* যুক্তিপূর্ণ ওয়াজ বা মাওলাপাকের অনুসন্ধান।<ref>বিস্তারিত দেখুন: পীর সাহেবের প্রতিটি কিতাবের পরিশিষ্টে তাঁরই লিখিত কিতাবের তালিকা, '''''ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রহ.-এর রচনাবলী''''' (৩ খণ্ড), আল-এছহাক পাবলিকেশন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ (প্রকাশকাল: ২০০৭ খ্রি.)</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
১৯৬ ⟶ ৭৮ নং লাইন:
 
== মৃত্যু ==
১৯৭৭ সালে (১৩৮০ বঙ্গাব্দ; ১৩৯৬ হিজরী) ৭০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন এবং চরমোনাই এলাকাতে তাকে দাফন করা হয়।<ref name="মাই" />
পীর সাহেব (রহ.) ২৯ভাদ্র ১৩৮০ বা. (১৩৯৬ হি./১৯৭৭ খ্রি.) রোববার বেলা ৪ ঘটিকার সময় নিজ বাড়ি চরমোনাইতে ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।<ref>মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ৪৭.</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==