অনুশীলন সমিতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র প্রদান ও পরিবর্ধন করা হলো
২০ নং লাইন:
== ঢাকা অনুশীলন সমিতি ==
বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ১৯০৫ সালে ঢাকায় [[বিপিনচন্দ্র পাল|বিপিনচন্দ্র পালের]] জ্বালাময়ী বক্তৃতার পরেই ১৯০৬ সালে ঢাকা সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা 'ন্যাশনাল স্কুল' এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক [[পুলিন বিহারী দাশ|পুলিনবিহারী দাসের]] নেতৃত্বে ৮০ জন্য হিন্দু যুবক গঠন করে [[ঢাকা অনুশীলন সমিতি]]। অনুশীলন সমিতির প্রতিটি শাখা সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল, তবে অনুশীলন সমিতির সাথে ঢাকার শাখার প্রতিষ্ঠাতা পুলিনবিহারী দাসের সরাসরি সংযোগ ছিল। ভারতবর্ষের প্রখ্যাত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকারী যশোরের শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ঢাকা অনুশীলন সমিতির পরিদর্শক ছিলেন।
 
== ময়মনসিংহ অনুশীলন সমিতি ==
ময়মনসিংহ অনুশীলন সমিতি গঠন করেন [[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]]। এই সমিতির সভ্য যারা দশ বছরের অধিক ব্রিটিশ সরকারের কারাগারে ছিলেন [[জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র মজুমদার]], রমেশচন্দ্র চৌধুরী, [[অমূল্যচন্দ্র অধিকারী]], প্রভাতচন্দ্র চক্রবর্তী, যোগেন্দ্রকিশোর ভট্টাচার্য, সতীশচন্দ্র রায়, নরেশচন্দ্র সোম, চন্দ্রকুমার ঘোষ, [[অমৃতলাল সরকার]], দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, [[চারুচন্দ্র অধিকারী]], ব্রজেন্দ্র রায়, [[প্রতুলচন্দ্র ভট্টাচার্য]]। এছাড়াও যারা আরো অনেকে এই সমিতির সভ্য হয়েছিলেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন এমন কয়েকজন হচ্ছেন [[পূর্ণ চক্রবর্তী]] পরেশচন্দ্র রায়, বিনয়েন্দ্র মোহন চৌধুরী, সুরাংশু অধিকারী, নরেন্দ্র ভট্টাচার্য, নরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, কুমুদ চক্রবর্তী, মনীন্দ্র ভট্টাচার্য, অমিয়শঙ্কর মজুমদার প্রমুখ।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৪, ২১২-২১৩।</ref>
 
==প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকাল==
{{See also|কাকোরি বিপ্লব|Hindustan Republican Association}}
১৯২৬ সানে কাকোরি বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং এটির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে। এই মামলায় পণ্ডিত [[রামপ্রসাদ বিসমিল]], [[রাজেন্দ্র লাহিড়ী]], ঠাকুর রৌশন সিং, [[আসফাকউল্লা খান|আসফাকউল্লা খানের]] ফাঁসি হয়। শচীন্দ্রনাথ সান্যালের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়। মন্মথ গুপ্তের ১৩ বছর এবং যোগেশচন্দ্র চ্যাটার্জি, [[গোবিন্দচরণ কর]], শচীন্দ্রনাথ বক্সি, মুকিন্দীলাল, রাজকুমার সিং, রামকৃষ্ণ ক্ষেত্রীর ১০ বছর সাজা হয়। এছাড়াও বিষ্ণু শরণ দুব্লিশ, সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৭ বছর, ভূপেন্দ্রনাথ সান্যাল, রাম দুলারী ত্রিবেদী, প্রেমকিষণ খান্না, বনোয়ারী লাল এবং পরমেশ কুমারের পাঁচ বছরের জেল হয়। এঁরা সকলেই এই অনুশীলন সমিতির সভ্য ছিলেন।<ref>[[ name="ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৪।<"/ref>
 
== তথ্যসূত্র ==