পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
Subhrasundar Mukherjee (আলোচনা | অবদান)
৬২ নং লাইন:
 
=== পঞ্চায়েত সমিতি ===
"১৯৭৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন" অনুসারে পঞ্চায়েত সমিতি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় বা মধ্যবর্তী স্তর। এই স্তর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক স্তরে গঠিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্লকের নামানুসারে প্রত্যেক ব্লকে একটি করে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মোট ৩৪১টি ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি বিদ্যমান। পঞ্চায়েত সমিতিগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের মতোই এক-একটি নিগমবদ্ধ সংস্থা, যার একটি সাধারণ সিল রয়েছে ও যারা মামলা করতে পারে বা যার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে।
* '''সদস্য''' – পাঁচ প্রকার সদস্য নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত। এঁরা হলেন (১) ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানগণ (এঁরা পদাধিকার বলে সদস্য); (২) প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত অনধিক তিনজন সদস্য; (৩) ব্লক এলাকা থেকে নির্বাচিত সভাধিপতি বা সহকারী সভাধিপতি নন এমন জেলা পরিষদ সদস্য; (৪) ব্লক এলাকা থেকে নির্বাচিত মন্ত্রী নন এমন [[লোকসভা]] বা বিধানসভা সদস্য; এবং (৫) মন্ত্রী নন অথচ ভোটার তালিকায় নাম আছে এমন রাজ্যসভা সদস্য। এঁরা প্রতি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে সরকারি কর্মচারী বা পঞ্চায়েতের কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা [[পুরসভা|পুরসভায়]] চাকুরিরত ব্যক্তিরা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হতে পারেন না।<br /> এছাড়াও মোট জনসংখ্যার অনুপাতে প্রত্যেক পঞ্চায়েত সমিতিতে তফশিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ১/৩ ভাগ আসন তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য এবং সর্বমোট আসনের ১/৩ ভাগ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
* '''সভাপতি ও সহকারী সভাপতি''' – পঞ্চায়েত সমিতির প্রথম সভায় নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি ও একজন সহকারী সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁদের দপ্তরের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে সাংসদ, বিধায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা জেলা পরিষদের সদস্য এমন পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করতে পারেন না। এছাড়াও সভাপতি ও সহকারী সভাপতির পদগুলি তফশিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলা জনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত এবং সংরক্ষিত আসনের ২/৩ অংশ আবার ওই সম্প্রদায়গুলির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাছাড়া সর্বমোট সভাপতি ও সহকারী সভাপতি পদের ১/৩ অংশ আবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।<br /> সভাপতি বা সহকারী সভাপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন অথবা পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ সদস্য প্রস্তাব গ্রহণ করে তাঁদের অপসারিত করতে পারেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট কারণে তাঁদের অপসারিত করার ক্ষমতা রাখেন। অপসারণ, পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের পদ শূন্য হলে পঞ্চায়েত সমিতি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে অপর কাউকে শূন্যপদে অধিষ্ঠিত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নবনিযুক্ত সভাপতি বা সহকারী সভাপতি তাঁর পূর্বতনের অবশিষ্ট মেয়াদকালের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।