মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Masum-al-hasan-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikitanvirBot I-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
পুনর্লিখন + তথ্যসূত্র
১ নং লাইন:
[[File:Mujibnogor smritisoudho.jpg|thumb|মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ]]
{{orphan|date=ডিসেম্বর ২০০৮}}
'''মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ''' [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর জেলায়]] অবস্থিত। [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধকালীন]] সময়ে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয় সেখানে এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তোলা হয়েছে। এর স্থপতি তানভীর করিম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ|url=http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTBfMTNfMV8zNF8xXzM5Mzkw|website=ইত্তেফাক|accessdate=১৭ জানুয়ারি ২০১৫}}</ref>
 
'''মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ''' [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর জেলায়]] অবস্থিত। [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধকালীন]] সময়ে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয় সেখানে এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তোলা হয়েছে। এর স্থপতি তানভীর করিম।
 
== স্থাপত্য তাৎপর্য ==
===লাল মঞ্চ ===
[[File:Mujibnogor smritisoudho lal monch.jpg|thumb|লাল মঞ্চ]]
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যে স্থানে শপথ গ্রহণ করে ঠিক সেই স্থানে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্থ সিরামিকের ইট দিয়ে একটি আয়তকার লাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের ভিতেরে মাঝখানে।
 
===২৩টি স্মৃতি স্তম্ভ===
স্মৃতিসৌধটি ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। যা বৃত্তাকার উপায়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ২৩ টি দেয়াল [আগষ্ট ১৯৪৭] থেকে [র্মাচ ১৯৭১]- এই ২৩ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম দেয়ালটির উচ্চতা ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। পরবর্তী প্রতিটি দেয়ালকে ক্রমান্বয়ে দৈর্ঘ্য ১ ফুট ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চি করে বাড়ানো হয়েছে। যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিল। শেষ দেয়ালের উচ্চতা ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট। প্রতিটি দেয়ালের ফাঁকে অসংখ্য ছিদ্র আছে যেগুলোকে পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচারের চিহ্ন হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
 
===এক লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলি===
স্মৃতিসৌধটির ভূমি থেকে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচু বেদীতে অসংখ্য গোলাকার বৃত্ত রয়েছে যা দ্বারা ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলিকে বোঝানো হয়েছে।
 
===ত্রিশ লক্ষ শহীদ===
স্মৃতিসৌধের ভূমি থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বেদীতে অসংখ্য পাথর রয়েছে যা দ্বারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও মা-বোনের সম্মানের প্রতি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হয়েছে। পাথরগুলো মাঝখানে ১৯টি রেখা দ্বারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের ১৯টি জেলাকে বুঝানো হয়েছে।
 
===এগারোটি সিঁড়ি===
স্মৃতিসৌধের বেদীতে আরোহণের জন্য ১১টি সিঁড়ি রয়েছে। যা দ্বারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সমগ্র বাংলাদেশকে যে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল তা বুঝানো হয়েছে।
===বঙ্গোপসাগর===
স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশের আম বাগান ঘেঁষা স্থানটিতে মোজাইক করা আছে তার দ্বারা বঙ্গোপসাগর বোঝানো হয়েছে। [[বঙ্গোপসাগর]] যদিও বাংলাদেশের দক্ষিণে, কিন্তু শপথ গ্রহণের মঞ্চটির সাথে স্মৃতিসৌধের সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এখানে এটিকে উত্তর দিকে স্থান দেয়া হয়েছে।
 
===একুশে ফেব্রুয়ারির প্রতীক===
স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের রাস্তাটি মূল স্মৃতিসৌধের রক্তের সাগর নামক ঢালকে স্পর্শ করেছে। এখানে রাস্তাটি ভাষা আন্দোলনের প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
===রক্তের সাগর===
স্মৃতিসৌধের পশ্চিম পাশে প্রথম দেয়ালের পাশ দিয়ে শহীদের রক্তের প্রবাহ তৈরি করা হয়েছে যাকে রক্তের সাগর বলা হয়।
 
===সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতা===
লাল মঞ্চ থেকে যে ২৩টি দেয়াল তৈরি করা হয়েছে তার ফাঁকে অসংখ্য নুরি-পাথর দ্বারা মোজাইক করে লাগানো হয়েছে। যা দিয়ে ১৯৭১ সালের সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতাকে প্রতীক আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
 
==আরও দেখুন==
*[[১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার]]
 
== তথ্যসূত্র ==
স্মৃতিসৌধটি ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। যা বৃত্তাকার উপায়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ২৩ টি দেয়াল [আগষ্ট ১৯৪৭] থেকে [র্মাচ ১৯৭১]- এই ২৩ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
{{Reflist}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ]]