গোপীনাথ বরদলৈ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:ভারতরত্ন পদক বিজয়ী যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
৩৬ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''গোপীনাথ বরদলৈ''' (ইংরেজি:Gopinath Bordoloi ; অসমীয়া:গোপীনাথ বৰদলৈ) [[অসম|অসমের]] প্রথম মূখ্যমন্ত্রী ও [[ভারত|ভারতের]] স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] অহিংসা নীতির সমর্থক ছিলেন। [[অসম]] ও অসমীয়া জাতির জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করায় অসমের তৎকালীন রাজ্যপাল জয়রাম দাস দৌলতরাম গোপীনাথকে “লোকপ্রিয়” উপাধি দিয়েছিলেন।<ref>কুড়ি শতিকার কুড়িজন বিশিষ্ট অসমীয়া, সম্পাদক-ড: প্ৰণতি শৰ্মা, অনিল শৰ্মা; জাৰ্নাল এম্প’ৰিয়াম, ১৯৯৯</ref> ।
 
==জন্ম ও শৈশবকাল==
১৮৯০ সনের ৬ জুন তারিখে নগাও শহরের রহা অঞ্চলে গোপীনাথ বরদলৈ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতার নাম বুদ্ধেশ্বর বরদলৈ ও মাতার নাম প্রাণেশ্বরী বরদলৈ। গোপীনাথের পিতা চাকুরিজীবি ছিলেন। কর্মসূত্রে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তন হতে হত। শিশু গোপীনাথের ৭ বৎসর বয়সে তার পিতা কর্মসূত্রে রহা থেকে মঙলদৈতে স্থানান্তর হয়েছিলেন। মঙলদৈ যাওয়ার পথে শিশু গোপীনাথ মহাভারত কাব্যগ্রন্থ পড়ে সমাপ্ত করেছিলেন। ১২ বৎসর বয়সে গোপীনাথ বরদলৈ মাতৃহারা হন। মায়ের মৃত্যুর পর বিধবা দিদি শশীকলা দেবী গোপীনাথের লালন পালন করেছিলেন। [[গুয়াহাটি]] শহরের কটন কলেজিয়েট উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে গোপীনাথের নাম ভর্ত্তী করা হয়েছিল। বেমার ও জ্বরের জন্য তিনি বেশীরভাগ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকিতে পারতেন না তবুও তিনি পড়াশুনার ক্ষেত্রে ভাল স্থান লাভ করতেন।<ref name="গোপীনাথ বরদলৈ">{{cite book | title=ভারতরত্ন | publisher=অজয় কুমার দত্ত| author=সমীন কলিতা |pages=১৪৬,১৪৭,১৪৮,১৪৯,১৫০,১৫১,১৫২,১৫৩,১৫৪,১৫৫,১৫৬,১৫৭,১৫৮,১৫৯,১৬০,১৬১,১৬২,১৬৩}}</ref>
 
==কর্মজীবন==
৪৫ নং লাইন:
 
==রাজনৈতিক জীবন==
গোপীনাথ বরদলৈ ১৯২২ সনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অসম শাখায় যোগদান করে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশীদার ছিলেন। ১৯২২ সনের অসহযোগ আন্দোলনে গোপীনাথকে গ্রেপ্তার করা হয় ও ১ বৎসরের জন্য কারাবাস দেওয়া হয়। ১৯৩০ সন থেকে ১৯৩৩ সন পর্যন্ত তিনি রাজনীতির কার্য বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি [[গুয়াহাটি]] পৌরসভার সদস্য ছিলেন। তিনি অসমে বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ ন্যায়ালয় স্থাপনের দাবি করেছিলেন।<ref name="গোপীনাথ বরদলৈ"/>
 
==মূখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈয়ের অবদান==
গোপীনাথ মূখ্যমন্ত্রীর পদে নিযুক্তির পর তিনি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিরলস ভাবে কাজ করার আদেশ করেছিলেন। তিনি অন্যান্য মন্ত্রীদেরকে প্রাপ্য বেতনের কিছু অংশ কমিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মন্ত্রীদের থেকে আহরন করা অতিরিক্ত ধন তিনি বন্যাপীড়িত লোককে দান করিতেন। সেইসময়ে তিনি মাটির কড় কমিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অসমের শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নতির প্রতি সচেতন ছিলেন। অসমের শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নত করার জন্য তিনি মহাত্মা গান্ধীর প্রবর্তিত নয়ী তালীমী শিক্ষার প্রচলন করেছিলেন। তিনি অনুন্নত অঞ্চলে ৪১৯টী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৮টি বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। ভারতীয় স্বাধীনতার পরে তিনি সর্দার বল্লভ ভাই পটেলের সাহায্যে অসমে সার্বভৌম স্থাপন করিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত বিভাজনের পর সংঘর্ষে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সহস্র হিন্দু লোককে পুনস্থাপনের জন্য সাহায্য করেছিলেন। পোপীনাথ বরদলৈয়ের আপ্রান চেষ্টার ফলে অসমে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়, অসম চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, অসম পশু চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, অসম আয়ুর্বেদিক কলেজ, বন প্রশিক্ষন মহাবিদ্যালয়, অসম অভিযান্ত্রিক মহাবিদ্যালয়, কামরুপ একাডেমী, বি.বরুয়া কলেজ, শরনিয়া কস্তুরীবা আশ্রম, বকোর মৌমেন আশ্রম, অসম কৃষি মহাবিদ্যালয়, আরক্ষী প্রশিক্ষন মহাবিদ্যালয়. কো-অপারেটিভ প্রশিক্ষন, অসম রাজ্যিক সংগ্রাহালয় ও যোরহাট কারিগরী বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপিত হয়েছিল।
 
==রচনা==
৬১ নং লাইন:
 
==মৃত্যু==
১৯৫০ সনের ১৫ আগস্ট গোপীনাথ প্রচন্ড বুক ব্যাথার অনু্ভতি করলেন । চিকিৎসকেরা এই রোগের উপশম করতে পারেন নাই ফলে উক্ত রাত্র ২:৪০ মিনিটে তিনি দেহত্যাগ করেন। শ্মশান যাত্রার দিন অর্ধউত্তোলিত ভারতীয় পতাকা ও ফুলের মালা দ্বারা সুসজ্জিত গাড়িতে গোপীনাথ বরদলৈয়ের মৃতদেহ বহন করা হয়। উলুধ্বনি ও হরিনাম করে শোকযাত্রা করা হয়েছিল। সহস্র জনসাধারন, অসম পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এই শোকযাত্রায় অংশ গ্রহন করে গোপীনাথকে শেষবারের মত বিদায় জানায়। সম্পূর্ন শহর প্রদক্ষিন করার পর মৃতদেহ কংগ্রেশ কার্য্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। অবশেষে নবগ্রহ শ্মশানে নানান রাজকীয় সন্মান প্রদর্শন করার পর মৃতদেহের অন্তিম কার্য সমাপ্ত করা হয়েছিল।
 
==ভারত রত্ন সন্মান==