নিকারাগুয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য |
||
২৫ নং লাইন:
|area_rank = 97th
|area_magnitude = 1 E11
|area_km2
|area_sq_mi
|percent_water = 7.14
|population_estimate = 5,603,000
৬২ নং লাইন:
==নিকারাগুয়া নামের উদ্ভব==
নিকারাগুয়া নামের উদ্ভব নিয়ে একাধিক কাহিনী প্রচলিত আছে। তার মধ্যে তিনটি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। অনেকের মতে এই নামটি এসেছে স্থানীয় এক উপজাতিপ্রধানের নাম থেকে। জনশ্রুতি অনুযায়ী স্পেনীয় কঙ্কুইস্তাদোর গিল গঞ্জালেস দাভিলা এই অঞ্চলে আজকের সান হোর্খে বা রিভাসে এসে উপজাতিপ্রধান নিকারাও [[Nicarao]]'এর দেখা পান। দিনটি ছিল ১৫ অক্টোবর, ১৫২৩। তাঁর নাম থেকেই দেশটির নাম হয় নিকারাগুয়া। অন্যদের মতে নিকান শব্দের অর্থ স্থানীয় নাহুতল [[Nahuatl]] ভাষায় 'এখানে', আরাহুয়াক মানে 'মানুষ'। এই দুটি শব্দ থেকেই এসেছে নিকারাগুয়া শব্দটি। <ref>[https://de.wikipedia.org/wiki/Nicaragua]</ref> আরেকটি মত হল, এই অঞ্চলে স্পেনীয়দের আগমনকালে যে আমেরিন্ডিয়ান উপজাতি বাস করতো তাদেরই নাম ছিল নিকারাও। গিল গঞ্জালেস দাভিলা এই নিকারাও শব্দের সাথে স্পেনীয় শব্দ আকুয়া অর্থাৎ জল যুক্ত করে নিকারাগুয়া শব্দটি তৈরি করেন। এই অঞ্চলে দুটি বৃহৎ অন্তর্দেশীয় হ্রদ লেক মানাগুয়া [[Lake Managua]] ও লেক নিকারাগুয়া [[Lake Nicaragua]]'র অবস্থানই হয়তো তাঁর এমন নামকরণের কারণ। <ref>[http://www.manfut.org/monumentos/nicarao.html নিকারাও'এর ঐতিহাসিকতা সম্পর্কিত ফের্নান্দো সিলভা লিখিত প্রবন্ধ]</ref>
==ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য==
নিকারাগুয়া মধ্য আমেরিকা যোজকে অবস্থিত সবচেয়ে বড় দেশ। উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এই দেশটির অবস্থান ১১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা থেকে ১৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে। অর্থাৎ দেশটি ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। প্রাকৃতিকভাবে দেশটিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা যায় - পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি, মধ্যভাগের আর্দ্র ও ঠাণ্ডা উচ্চভূমি ও পূর্বদিকের ক্যারিবীয় নিম্নভূমি।<br />
প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্ন-সমভূমি অঞ্চলটিতেই দেশের বেশিরভাগ জনবসতি অবস্থিত। এই অঞ্চলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য হল মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুটি অন্তর্দেশীয় হ্রদের উপস্থিতি - লেক নিকারাগুয়া (লাগো কোকিবোলকা) ও লেক মানাগুয়া। এর মধ্যে লেক নিকারাগুয়া দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ও আয়তনে অপেক্ষাকৃত বড়। এই হ্রদটি থেকেই দেশের প্রধান নদী রিও সান হুয়ান নদীর উৎপত্তি, যা দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর পূর্বমুখে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে ক্যারিবীয় উপসাগরে পড়েছে।<br />▼
===প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি===
▲পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয়
===মধ্যভাগের উচ্চভূমি===
মধ্যভাগের উচ্চভূমির সর্বোচ্চ শিখর হল পিকো মোগোটোন। দেশের উত্তরসীমায় অবস্থিত এই শিখরের উচ্চতা ২৪৩৮ মিটার। উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত এই সমগ্র অঞ্চলটির গড় উচ্চতা ৬১০ - ১৫২৪ মিটার। মধ্যভাগের এই উচ্চভূমিতে পশ্চিমের সমভূমি অঞ্চলের তুলনায় জনবসতি বেশ কম। কিন্তু এই উচ্চভূমির উত্তর-পশ্চিমের উপত্যকা অঞ্চলটি যথেষ্ট উর্বর। দেশের মোট কৃষিকার্যের এক চতুর্থাংশই এই অঞ্চলে হয়ে থাকে। পাহাড়ের উঁচু ঢালু অংশে কফি চাষ হয়। এই অঞ্চলের অরণ্যে ওক, পাইন, নানারকমের মস, ফার্ন আর অর্কিড প্রচূর পরিমানে দেখতে পাওয়া যায়।<br />
===ক্যারিবীয় নিম্নভূমি===
অপরদিকে পূর্ব ও দক্ষিণদিকের ক্যারিবীয় উপকূলীয় নিম্নভূমি মূলত ছোটবড় অনেক নীচু বালিয়াড়িতে পূর্ণ। এই অঞ্চলটি আসলে একটি বৃহৎ বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল। মেস্কিটো উপজাতির নামানুসারে এই অঞ্চলকে অনেকসময় মেস্কিটো উপকূল বলা হয়ে থাকে। মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে বড় নদী রিও কোকোও এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নিকারাগুয়া ও হন্ডুরাসের সীমা অনেকাংশে এই নদীর গতিপথ বরাবরই চিহ্নিত হয়েছে। অপেক্ষাকৃত সরলরৈখিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল রেখার তুলনায় ক্যারিবীয় উপকূল রেখা অত্যন্ত ভগ্ন। এই অঞ্চলে প্রচূর ব-দ্বীপ ও লেগুনের দেখা পাওয়া যায়।<br/>
এই অঞ্চলে স্বভাবতই জনবসতিও যথেষ্টই কম। কিন্তু এর আয়তন দেশের প্রায় ৫৭ শতাংশ। এই অঞ্চলটি দেশের খনিজ সম্পদেরও মূল ভাণ্ডার। এই অঞ্চলের সিউনা, রোসিটা ও বোনানজা 'খনি ত্রিভূজ' নামে পরিচিত। এর মধ্যে বোনানজায় একটি চালু স্বর্ণ খনি খুব বিখ্যাত। সিউনা ও রোসিটায় অবশ্য এখন আর কোনো খনি চালু অবস্থায় নেই। তবে বোনানজার খনিকে কেন্দ্র করে এই দুই জায়গাতেও সোনার পাত তৈরির শিল্প যথেষ্ট বিকাশ লাভ করেছে।
==তথ্যসূত্র==
|