মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
→‎সাহিত্যচর্চা: বট বানান ঠিক করেছে
৮ নং লাইন:
১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এ পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছর ৩ ডিসেম্বর [[বাংলা একাডেমী]] প্রতিষ্ঠিত হলে এর বিশেষ কর্মকর্তা (পরিচালক) তথা প্রধান নির্বাহ হিসাবে দায়িত্বভার প্রাপ্ত হন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। "রবীন্দ্রসঙ্গীত পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী" - এরূপ মত প্রকাশ করে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন জাতীয় পরিষদে বা পার্লামেন্টে [[পাকিস্তান]] কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রী [[খাজা শাহাবুদ্দিন]] রেডিও টেলিভিশন থেকে এই সঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন আরো অনেকের সাথে।
== সাহিত্যচর্চা ==
সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত থাকলেও তিনি একজন সৃজনশীল গদ্যশিল্পী। বাংলা ভাষায় দার্শনিক ও চিন্তামূলক প্রবন্ধ রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। ''পারস্য প্রতিভা'' (প্রথম খণ্ড ১৯২৪ ও দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৩২) এবং ''মানুষের ধর্ম'' (১৯৩৪) তাঁর বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ। পারস্য প্রতিভায় ইরানের খ্যাতনামা কবিদের জীবনী ও তাদের সাহিত্যকর্ম, ফারসিফার্সি সাহিত্যের প্রেক্ষাপট, সুফিমত ও বেদান্ত দর্শন এবং মানুষের ধর্মে জগৎ ও জীবন, ইহলোক ও পরলোক, জড়প্রকৃতি ও মনোজগৎ, জীবনপ্রবাহ ও আত্মা ইত্যাদি দুরূহ তত্ত্ব ক্লাসিক্যাল বাংলা গদ্যে উপস্খাপিত করে গেছেন। তাঁর বিরচিত অপরাপর গ্রন্থ : ''কারবালা ও ইমাম বংশের ইতিবৃত্ত'' (১৯৫৭), ''নবীগৃহ সংবাদ'' (১৯৬০), ''নয়া জাতির স্রষ্টা হজরত মোহাম্মদ'' (১৯৬৩), ''হজরত ওসমান'' (১৯৬৯), ''বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ধারা'' (১৯৬৯)। প্রবন্ধে [[বাংলা একাডেমী পুরস্কার]] (১৯৬০) এবং নয়াজাতির স্রষ্টা হজরত মোহাম্মদ গ্রন্থের জন্য [[দাউদ পুরস্কার]] (১৯৬৩) লাভ করেন। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক "সিতারা-ই-ইমতিয়াজ" উপাধিতে ভূষিত (১৯৬২) হন ও "প্রেসিডেন্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড" পদক লাভ (১৯৭০) করেন।
== মৃত্যু ==
তিনি ২ নভেম্বর, ১৯৭৪ ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।