মা (উপন্যাস): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
117.194.215.249-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে JoyBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য]]
 
 
 
মা
আনিসুল হক
 
১ম প্রকাশ ফেব্রুয়ারী বইমেলা
প্রকাশক : ফরিদ আহমেদ, সময় প্রকাশন, ৩৮/২ক, বাংলাবাজার, ঢাকা।
 
উৎসর্গ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নিযুত শহীদের প্রত্যেকের মা-কে
 
প্রথম সংস্করণের ভূমিকা
 
এই কাহিনীর সন্ধান সর্বপ্রথম আমাকে দেন মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ৷ তারপর অনেক দিন এই কাহিনী আমাকে তাড়িয়ে ফেরে ৷ অতঃপর আমি একটা উপন্যাস লেখার আশায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে শুরু করি ৷ শহীদ আজাদের আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়ার জন্যে আমি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলাম ৷ বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই শহীদ আজাদ সম্পর্কে যাঁরা জানেন, এমন অনেকের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে ৷ তাঁরা আমাকে দিনের পর দিন তথ্য দিয়ে, উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করেছেন ৷ যাঁদের সাক্ষাৎকার আমি নিয়েছি, তাঁদের নামের তালিকা এ বইয়ের শেষে সংযুক্ত করে দিলাম ৷ তাঁদের সকলের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ ৷ আর বেশ কিছু বইয়েরও সাহায্য দরকার হয়েছে ৷ সেই তালিকাটাও এই বইয়ের শেষে থাকল ৷
 
এই উপন্যাস রচনা করতে গিয়ে আমি নানা জনের কাছ থেকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা পেয়েছি ৷ ফেরদৌস আহমেদ জায়েদের কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ৷ সাপ্তাহিক ২০০০-এর সম্পাদক শাহাদত চৌধুরী আমাকে দিনের পর দিন সময় দিয়েছেন, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন এবং এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন ৷ তাঁদের কাছে আমার ঋণ জীবনেও শোধ হওয়ার নয় ৷
 
এই উপন্যাস রচনাকালে এবং ঈদসংখ্যা প্রথম আলো ২০০২-এ এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশের পর অনেকের কাছ থেকেই আমি অনেক উৎসাহ পেয়েছি ৷ বিশেষ করে পাঠকেরা, তাঁরা ঈদসংখ্যা প্রথম আলো পড়ে এবং সাপ্তাহিক ২০০০-এ ১৬ ডিসেম্বর ২০০২-এ প্রকাশিত আমার লেখা প্রচ্ছদকাহিনী শহীদ আজাদের মায়ের সন্ধানে পড়ে ফোনে, চিঠিতে ও সরাসরি কথা বলে আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন ৷ আলাদা করে আমি আর তাঁদের নাম বলতে চাই না, তাঁরা নিশ্চয়ই এই লেখা থেকেই আমার কৃতজ্ঞতাটুকু গ্রহণ করে নেবেন ৷
 
এখন একটা দরকারি কথা ৷ এই উপন্যাস সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত ৷ তবে এটা ইতিহাস নয়, উপন্যাস ৷ ইংরেজিতে যাকে বলে ফিকশন ৷ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর বেলায় সত্যতা রক্ষার চেষ্টা করেছি পুরোপুরি ৷ যেমন শহীদ আজাদের চিঠিগুলো আসল ৷ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ঘটনাগুলোর বেলায় অনেক জায়গায় কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে, এটা বোধহয় বলাই বাহুল্য ৷ সব ফিকশনেই এটা নেওয়া হয় ৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মিলি-সংক্রান্ত বিবরণগুলো পুরোটাই বানানো ৷ কিন্তু একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা আজাদ নিজেই লিখেছিলেন তাঁর মাকে লেখা চিঠিতে ৷
 
এই উপন্যাস কাউকে আঘাত দেওয়ার বাসনা থেকে রচিত নয়, বরং বাঙালির এক বীরোচিত আখ্যানকে তুলে ধরার আশায় লিখিত ও প্রকাশিত ৷ যদি কোনো অংশ কাউকে সামান্যতম অস্বস্তিতে ফেলে, তবে আমি তাঁকে বলব, ওই অংশটুকু সম্পূর্ণ কাল্পনিক ধরে নেবেন ৷
 
প্রিয় পাঠক, আপনার মঙ্গল হোক, মঙ্গল হোক এই দেশটার ৷
 
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা আনিসুল হক
২৪ জানুয়ারি, ২০০৩
 
সম্পূর্ণ উপন্যাসটি এই লিঙ্কে আছে, http://forum.banglalibrary.org/viewtopic.php?id=2132