জেমস বন্ড (চরিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১০ নং লাইন:
}}
 
'''জেমস বন্ড''' ({{lang-en|James Bond}}) বিখ্যাত ঔপন্যাসিক [[ইয়ান ফ্লেমিং]] কর্তৃক সৃষ্ট উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্র বিশেষ। ১৯৫৩ সালে রচিত এ উপন্যাসে জেমস বন্ড রয়েল নেভি কমাণ্ডার হিসেবে রয়েছেন। জেমস বন্ড নিয়ে সিরিজ আকারে নির্মিত অসংখ্য উপন্যাস, চলচ্চিত্র, কমিকস্‌ এবং ভিডিও গেমের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন জেমস বন্ড। লন্ডনের [[সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস]] বা এসআইএসের প্রধান গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএসের নাম পরিবর্তিত হয়ে [[এমআই৬]] নামকরণ করা হয়।
 
''০০৭'' সাঙ্কেতিক নম্বরটি জেমস বন্ড ধারণ করেছেন। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে ''ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস'' উপন্যাসটি। সেখানে তাকে অস্থায়ীভাবে ৭৭৭৭ নম্বর দেয়া হয়েছে। ''ডাবল-ও'' বা ''ডাবল-জিরো'' শব্দটির মাধ্যমে জেমস বন্ডকে তার কর্তব্য-কর্মে ''যে-কাউকে হত্যা করার জন্য অনুমতি দেয়া'' হয়েছে।
 
বন্ড নিজেকে অন্য কারো সাথে পরিচয় করেন, '''"বন্ড, জেমস বন্ড"''' হিসেবে। মার্টিনি ককটেল হিসেবে [[ভদকা|ভদকাতেই]] বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। তার সহজাত ও স্বাভাবিক পোশাক হচ্ছে একটি ''ডিনার জ্যাকেট''। সচরাচর তিনি ''রোলেক্স সাবমেরিনার'' হাতঘড়ি পড়তেই পছন্দ করেন। পরবর্তীতে তাকে ''ওমেগা সীমাস্টার'' ঘড়ি পড়তে দেখা যায়।
 
[[শন কনারি]], জর্জ ল্যাজেনবি, রজার মুরে, টিমোথি ডাল্টন, [[পিয়ার্স ব্রুসনান]] এবং [[ড্যানিয়েল ক্রেইগ]] - এ ছয় জনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে জেমস বন্ডের প্রতিকল্প হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। তবে, বন্ডকে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্ররূপ প্রদান করা হয়েছে মার্কিন টেলিভিশনে। ''ব্যারি নেলসন'' ১৯৫৪ সালে উপন্যাস হিসেবে ক্যাসিনো রয়েলে বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে ''বব হলনেসের'' পরিচালনায় দক্ষিণ আফ্রিকান রেডিওতে মুনর‌্যাকার উপন্যাস অবলম্বনে ধারাবাহিকভাবে নাটক প্রচার করা হয়।
 
== পটভূমি ==
৮২ নং লাইন:
 
== গুপ্তচর বিভাগ ==
জেমস বন্ড ব্রিটিশ রাণীর অধীনে কর্মরত একজন সরকারী চাকুরীজীবি। প্রধান কর্মকর্তা পদবীধারী হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন তিনি।<ref>Ian Fleming, ''Moonraker,'' Ch. 1</ref><ref>Ian Fleming, ''You Only Live Twice,'' Ch. 21</ref> প্রধান কর্মকর্তার পদটি রাজকীয় নৌবাহিনীর [[ক্যাপ্টেন]] পদের সমমর্যাদার অধিকারী।<ref>http://www.dasa.mod.uk/modintranet/UKDS/UKDS2010/c2/table224.php</ref>
 
বন্ড ''ক্যাসিনো রয়েল'' উপন্যাসে সাবেক ''জিরোজিরো-এজেন্ট'' হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু কখন তিনি ''ডাবল ও-এজেন্ট'' হয়েছিলেন, তা বিবৃত হয়নি। তা স্বত্ত্বেও ক্যাসিনো রয়েলের মাধ্যমে জানা যায় যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়; আবার ''গোল্ডফিঙ্গার'' উপন্যাসে তাকে ১৯৫২ সালে ''০০-এজেন্ট'' হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
৯২ নং লাইন:
''জেমস বন্ডঃ দি অদরাইজড বায়োগ্রাফী অব ০০৭'' উপন্যাসে পিয়ারসন একজন কিশোরকে প্রথম হত্যা করেছিলেন বলে জানান। বন্ডের জন্য ক্যাসিনো রয়েলে পূর্ব বরাদ্দকৃত কাজগুলো কখনও কখনও উপন্যাসের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। ঐ সময়ে বন্ডকে তার কার্যসম্পাদনের জন্য মন্টে কার্লো, হংকং, জ্যামাইকা ভ্রমণ করতে দেখা যায়। ফ্রম রাশিয়া, উইদ লাভ উপন্যাসের আলোকে ১৯৫৪ সালে সোভিয়েট দলিলপত্রাদিতে তাকে ''কম্প্যানিয়ন অব দি অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল এণ্ড সেন্ট জর্জ'' পদকে ভূষিত করা হয়, যা সাধারণত চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পরই প্রদানযোগ্য। ''দ্য ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গান'' উপন্যাসে তিনি ''নাইট কমান্ডার'' পদবীতে ভূষিত হবার প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করেন। সোভিয়েত গুপ্তঘাতক ফ্রান্সিসকো স্কারামাঙ্গাকে সফলভাবে হত্যা করার পরও তিনি সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশিত হতে চাচ্ছিলেন না।
 
সাহিত্য ক্ষেত্রে জেমস বন্ডকে হত্যা করার অনুমতিপত্র দেয়া হয়। মাঝে মাঝে আদেশ অমান্যকারীকে হত্যা করা হয় যদিও কার্যসম্পাদন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ''অক্টোপুসি'' এবং ''দ্য লিভিং ডেলাইটস'' উপন্যাসে দেখা যায় যে, আদেশকে অমান্য করে শেষ মুহুর্তের সিদ্ধান্ত হিসেবে একজন মহিলা গুপ্তঘাতককে হত্যা করেছিলেন জেমস। তা নাহলে গুপ্তঘাতকের বন্দুকের গুলিতে নিজেই মারা পরতেন বন্ড এবং তার কার্যকালেরও সমাপণ ঘটতো। পরবর্তীতে, তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে আদেশ অমান্য করায় হয়তোবা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা "এম" রাগে অগ্নিশর্ম্মা হয়ে যাবেন।
 
ফ্লেমিংয়ের সাহিত্য-কর্মে বন্ডের মাধ্যমে নিরস্ত্র ব্যক্তিকে কাউকে হত্যা করতে দেখা যায়নি। নিরস্ত্র ব্যক্তিকে যারা হত্যা করতো বিশেষ করে মহিলাদেরকে, তাদেরকে বন্ড প্রচণ্ডভাবে ঘৃণা করতেন। এছাড়া কেবলমাত্র প্রয়োজন পড়লেই সাধারণতঃ তাকে হত্যা করতে দেখা যায়।
 
যে-কাউকে হত্যা করা ছিল তাঁর পেশার একটি অংশ। তিনি কাউকে হত্যা করতে মোটেই পছন্দ করতেন না। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কেন হত্যা করেছেন - এ বিষয়টি যতদ্রুত সম্ভব ভুলে যাবার চেষ্টা করতেন।
 
বন্ডকে নিজের মৃত্যু ভয় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বরঞ্চ যদি তিনি ধৃত হবার পরিবেশের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন, তাহলে তিনি মরে যেতেই বেশী পছন্দ করবেন কিংবা এমআই৬ থেকে তাকে দূরে রাখা হবে। তাকে 'ক্যাসিনো রয়েল' উপন্যাসে কোনরূপ জবানবন্দী বা কথাবার্তা ছাড়াই অমানুষিক নির্যাতনের মুখোমুখি করানো হয়েছে।
 
'জেমস বন্ডঃ দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব ০০৭' ছবিতে বলা হয়েছে যে, তিনি একজন জুডুকা বা জুডু খেলায় পারদর্শী। এছাড়াও, বন্ড [[মার্শাল আর্ট]] জানেন। 'ফ্রম রাশিয়া, উইদ লাভ' উপন্যাসের ৪র্থ পরিচ্ছেদে "মৃত্যু পরওয়ানা" জারী করা হয় বন্ডের উপর। এবং প্রথমেই নিশ্চিত করা হয় যে, "জেমস বন্ড জুডুতে পারদর্শী"।
১১৫ নং লাইন:
 
== বন্ডের চলচ্চিত্রায়ণ ==
{{মূল|জেমস বন্ড (চলচ্চিত্র)}}<br />
 
১৯৫৪ সালে প্রথমবারের মতো জেমস বন্ডকে চলচ্চিত্ররূপ প্রদান করা হয়। এক ঘন্টাব্যাপী ক্যাসিনো রয়েলের আমেরিকান সংস্করণে ''ব্যারী নেলসন'' 'জিমি বন্ড' নামে অভিনয় করেছিলেন। ''ইয়ন প্রোডাকশনের'' ব্যানারে নির্মিত জেমস বন্ড চরিত্রে ''প্যাট্রিক ম্যাকগুহানকে'' আমন্ত্রণ জানানো হলেও, পরবর্তীতে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
১২১ নং লাইন:
১৯৬২ সালে ''ড. নো'' চলচ্চিত্রে স্যার [[শন কনারি]] প্রথমবারের মতো জেমস বন্ডের নাম ভূমিকায় অংশ নেন। পরবর্তীতে জেমস বন্ড সিরিজে তিনি আরো চারটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
 
১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা জর্জ ল্যাজেনবি ''অন হার ম্যাজিস্টিজ সিক্রেট সার্ভিস'' ছবিতে দ্বিতীয়তম বন্ড হিসাবে বন্ডের চরিত্রে অংশ নেন।এটি ল্যাজেনবির একমাত্র বন্ড ফিল্ম ,তিনি প্রথম থেকেই ঠিক করেছিলেন যে তিনি মাত্র একবারই চলচ্চিত্রে বন্ড হবেন।
 
জর্জ ল্যাজেনবি পরের ছবিতে অংশগ্রহণ না করায় শন কনারি ১৯৭১ সালে নির্মিত ''ডায়মণ্ডস আর ফরএভার'' ছবিতে পুণরায় বন্ড হিসেবে ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সালে ইয়ন প্রোডাকশনের বাইরে ''নেভার সে নেভার এগেইন'' ছবিতেও কনারি অভিনয় করেছিলেন। এর ফলে তিনি ২১ বছর যাবৎ ''সবচেয়ে দীর্ঘদিনের বন্ড'' হিসেবে নিজেকে বিশ্বে তুলে ধরেন।তিনি সর্বমোট সাতটি (ইয়ন প্রোডাকশনের ছয়টি ও ইয়ন প্রোডাকশনের বাইরে ১৯৮৩ সালের "নেভার সে নেভার এগেইন" যা তারই অভিনিত চতুর্থতম চলচ্চিত্র "থান্ডারবল" এর রিমেক।) চলচ্চিত্রে বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
১৩১ নং লাইন:
দীর্ঘ ছয় বছর পরে চলচ্চিত্রে ফের বন্ডের প্রত্যাবর্তন ঘটে।এবার রুপোলী পর্দায় [[পিয়ার্স ব্রুসনান]] পঞ্চমতম বন্ড হিসাবে বন্ডের নাম ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালের "গোল্ডেন আই" চলচ্চিত্রের থেকে শুরু করে ২০০২ সালের "ডাই এনাদার ডে" পর্যন্ত চারটি চলচ্চিত্রে তিনি বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
 
এরপর আবার চার বছর পর সাম্রতিকতম ষষ্ঠ বন্ড [[ড্যানিয়েল ক্রেইগ]] এর অভিষেক ঘটে। ২০০৬ সালে তার অভিনিত প্রথম চলচ্চিত্র "ক্যাসিনো রয়েল" এর মাধ্যমে বন্ড সিরিজ রিবুট বা পুনরায় শুরু করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে "ক্যাসিনো রয়েল" এর সিক্যুয়েল "কোয়ান্টাম অব সোলেজ" মুক্তি পায়।এর আবার চার বছর পরে ২০১২ সালে মুক্তি পায় [[স্কাইফল]]। ক্রেইগ আরো দুটি চলচ্চিত্রে বন্ডের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০১৪ সালে তার পরবর্তী বন্ড ফিল্ম মুক্তির সময় হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
== শন কনারি ==
{{মূল|শন কনারি}}
 
গুপ্তচর হিসেবে জেমস বণ্ডের নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের নজরে আসেন স্যার শন কনারি। ১৯৬২ সালে ''ড. নো'' চলচ্চিত্রে [[শন কনারি]] প্রথমবারের মতো জেমস বন্ডের নাম ভূমিকায় অংশ নেন। পরবর্তীতে জেমস বন্ড সিরিজে তিনি আরো চারটি - ফ্রম রাশিয়া উইদ লাভ (১৯৬৩), গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪), থাণ্ডারবল (১৯৬৫) এবং ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭১ সালে নির্মিত ''ডায়মণ্ডস আর ফরএভার'' ছবিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি পুণরায় বন্ড হিসেবে ফিরে আসেন।
 
১৯৮৩ সালে ইয়ন প্রোডাকশনের বাইরে ''নেভার সে নেভার এগেইন'' ছবিতেও কনারি অভিনয় করেছিলেন। এর ফলে তিনি ২১ বছর যাবৎ ''সবচেয়ে দীর্ঘদিনের বন্ড'' হিসেবে নিজেকে বিশ্বে তুলে ধরেন। তাঁর অভিনীত বণ্ড সিরিজের সাতটি চলচ্চিত্রই বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল।
২৩৮ নং লাইন:
{{reflist}}
 
{{টেমপ্লেট:জেমস বন্ড অভিনেতাগণ}}
{{জেমস বন্ড}}