বাকু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
৫৩ নং লাইন:
}}
 
'''বাকু''' ([[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি ভাষায়]]: Bakı) আজারবাইজানের [[রাজধানী]] ও বৃহত্তম [[শহর]]। শহরটি [[আজারবাইজান|আজারবাইজানের]] দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে আবসেরোন উপদ্বীপে [[কাস্পিয়ান সাগর|কাস্পিয়ান সাগরের]] পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। শহরটির কাছেই কাস্পিয়ান সাগরে অনেকগুলি তৈলক্ষেত্র রয়েছে। তৈল পরিশোধন তাই শহরটির প্রধান শিল্প। বাকুর নিকট থেকে উৎসারিত পাইপলাইন দিয়ে সুপসা, [[জর্জিয়া]], নভোরসিয়িস্ক ও [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] কৃষ্ণ সাগর-তীরবর্তী বন্দরগুলিতে এবং [[তুরস্ক|তুরস্কের]] [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরীয়]] বন্দর সেইহানে তেল সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও বাকুতে লোহার কেবল, তুলা, চামড়া ও খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত কারখানা আছে।
 
 
== ইতিহাস ==
বাকু শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এলাকাটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর নাম ইচেরি শেহ্‌র অর্থাৎ ভেতরের শহর। ২০০০ সালে [[জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা|ইউনেস্কো]] ইচেরি শেহ্‌রকে একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে মর্যাদা দেয়। এই এলাকাটিতে জরুথুষ্ট্র, [[সসনিয়ন সাম্রাজ্য|সসনিয়]], [[আরবি]], [[পারস্য|পারসিক]], শির্বানি, [[উস্‌মানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয়]] ও [[রাশিয়া|রুশ]] সংস্কৃতির চিহ্ন বহনকারী স্থাপত্য ও বসতিবিন্যাসের এক অদ্বিতীয়, দুর্লভ সম্মিলন ঘটেছে। ইচেরি শেহ্‌রের প্রতিরক্ষা প্রাচীরগুলি ১২শ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখানকার সরু ঘোরানো রাস্তাগুলি দিয়ে অনেকগুলি ঐতিহাসিক স্থানে যাওয়া যায়, যাদের মধ্যে আছে ১২শ শতকে নির্মিত একটি মিনার, উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি বড় পাথরের [[দুর্গ]], [[১৫০০|১৫শ]] শতকে নির্মিত শির্ভান শাহ প্রাসাদ (বর্তমানে একটি জাদুঘর), এবং [[১১০০|১১শ]] শতকের সিনিক-কালা [[মিনার]] ও [[মসজিদ]]। ইচেরি শেহ্‌রের প্রাচীরের বাইরে পাহাড়ের ঢালে কাস্পিয়ান সাগরের দিকে মুখ করে অনেক আধুনিক দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। আধুনিক বাকু শহরের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাকু সরকারী [[বিশ্ববিদ্যালয়]], একটি অপেরা ভবন, এবং অনেকগুলি নাট্যমঞ্চ ও জাদুঘর। ১৯৬৭ সালে শহরে একটি পাতাল রেল ব্যবস্থা চালু করা হয়।
 
প্রাচীনকালে রেশম পথের উপর অবস্থিত একটি বন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে বাকুর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এটি [[পারস্য|পারস্য সাম্রাজ্যের]] অংশে পরিণত হয়। [[৭০০|৭ম]] শতকের শেষ পর্যায়ে আরবেরা অঞ্চলটি দখল করে এবং সেখানে [[ইসলাম]] প্রবর্তন করে। [[১২০০|১২শ]] শতকের শুরুর দিকে বাকু শিরভান রাজ্যের শাসক শাহদের রাজধানীতে পরিণত হয়। কিন্তু [[সেলজুক সাম্রাজ্য|সেলজুক]] ও [[মঙ্গোল সাম্রাজ্য|মঙ্গোলেরা]] ক্রমাগত তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালায়। [[১৫০০|১৫শ]] শতকে শির্ভান শাহেরা বাকুতে একটি বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
[[১৬০০|১৬শ]] শতকের শুরুতে বাকু সাফাভিদ রাজত্বের অধীনে আসে। সাফাভিদেরা ইরান শাসন করতেন। [[১৭২৩]] সাল পর্যন্ত বাকু সাফাভিদদের দখলে ছিল। ঐ বছর রুশেরা শহরটি দখলে নেয়। [[১৭৩৫]] সালে শহরটি সাফাভিদদের ফেরত দেয়া হয়, কিন্তু শিঘ্রই তাদের পতন ঘটে এবং বাকুতে একটি [[তুরস্ক|তুর্কি]] মুসলিম খানাত প্রতিষ্ঠিত হয়। [[১৮০৬]] সালে বাকুকে আবারও রুশ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। [[১৮৭০]]-এর দশকে এখানে বড়-আকারের তেল উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১৯শ শতকের শুরুতে শহরটি রাশিয়ার প্রায় সমস্ত তেলের সরবরাহ করত। রাশিয়ার তেল শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে বাকু দ্রুত শিল্পায়িত হয় এবং এখানকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শহরে প্রচুর রুশ ও আর্মেনীয় অভিবাসী হন এবং শহরের জনগণ জাতিগতভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। [[১৯০৫]] সালে শহরের আজারবাইজানি ও আর্মেনীয় জাতির লোকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
 
[[১৯১৮]] থেকে [[১৯২০]] সাল পর্যন্ত বাকু স্বাধীন আজারবাইজানের রাজধানী ছিল। স্বাধীন আজারবাইজান ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার বলশেভিক শাসনের বিরোধী। ১৯২০ সালে সোভিয়েতরা শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। [[১৯২২]] থেকে [[১৯৩৬]] সাল পর্যন্ত বাকু নবসৃষ্ট আন্তঃককেশীয় [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের]] রাজধানী ছিল। এরপর এটি আজারবাইজান সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হয়। [[১৯৯১]] সালে আজারবাইজান একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হলে বাকু এই নতুন [[রাষ্ট্র|রাষ্ট্রেরও]] রাজধানী হয়। ১৯৯৪ সালে বাকু সন্ত্রাসী হামলা ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তেল শিল্পের প্রসারের সাথে সাথে শহরটির দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
 
== বাকুর দৃশ্যাবলি ==
৮৬ ⟶ ৮৫ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/বাকু' থেকে আনীত