প্রুশিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Flag of Preussen 1701-1918.jpg|thumb|200px|প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের পতাকা, ১৮৯৪ - ১৯১৮]]
[[চিত্র:Image:Wappen_Deutsches_Reich_Wappen Deutsches Reich -_Königreich_Preussen_ Königreich Preussen (Grosses).png|thumb|200px|প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের প্রতীক, ১৭০১ - ১৯১৮]]
 
'''প্রুশিয়া''' ({{Audio-de|Preußen|De-Preußen-2.ogg}}; [[ল্যাটিন]]: ''Borussia'', ''Prutenia''; {{lang-lv|Prūsija}}; {{lang-lt|Prūsija}}; {{lang-pl|Prusy}}; [[পুরাতন প্রুশিয় ভাষা|পুরাতন প্রুশিয়]]: ''Prūsa'') অতি সাম্প্রতিককালের একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্র যা [[ব্রান্ডেনবার্গ]] অঞ্চলে গড়ে উঠছিল। এই অঞ্চলটি [[জার্মানি|জার্মান]] এবং ইউরোপীয় ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছিলো। প্রুশিয়ার শেষ রাজধানী ছিল [[বার্লিন]]।
৬ নং লাইন:
"প্রুশিয়া" শব্দটি [[পুরাতন প্রুশিয় ভাষা]] থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার সাথে [[লিথুয়ানিয়া]] এবং [[লাটভিয়া]] সহ অন্যান্য [[বাল্টিক]] রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর মেলবন্ধন ছিল। পরবর্তীতে প্রুশিয়া [[টিউটোনিক নাইট|টিউটোনিক নাইটদের]] দ্বারা অধিকৃত হয় এবং আরও পরে একসময় [[জার্মানকরণ|জার্মানকরণের]] মাধ্যমে আধুনিক জার্মানির অন্তর্ভুক্ত হয়। অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দীতে প্রুশিয়া ইউরোপের একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তখন এই সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন [[ফ্রেডেরিক ২ (প্রুশিয়া)|ফ্রেডেরিক ২]] ([[১৭৪০]] - [[১৭৮৬]])। উনবিংশ শতাব্দীতে [[চ্যান্সেলর]] [[অটো ফন বিসমার্ক]] সমগ্র জার্মান জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে এক করার কথা বলেন এবং এর মাধ্যমে [[Kleindeutsche Lösung|সংকুচিত জার্মানি]] গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই সংকুচিত জার্মানি থেকে [[অস্ট্রিয় সম্রাজ্য|অস্ট্রিয় সম্রাজ্যকে]] বাদ দেয়া হয়।
 
[[প্রুশিয়ান সম্রাজ্য]] জার্মানির উত্তরাংশকে রাজনীতি, অর্থনীতি, জনসংখ্যা ইত্যাদি সব দিক দিয়েই ব্যাপকভাবে প্রভাবান্বিত করেছিল। [[১৮৬৭]] সালে যখন [[উত্তর জার্মান কনফেডারেশন]] গঠিত হয় তখন প্রুশিয়াই ছিল এর মূল শক্তি। এই কনফেডারেশনটিই [[১৮৭১]] সালে [[জার্মান সম্রাজ্য|জার্মান সম্রাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত হয় যার অপর নাম ছিল ''[[Deutsches Reich]]''।
 
[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পর জার্মানিতে [[হোহেনজোলেন]] রাজত্বের অবসান হলে পর [[১৯১৯]] সালে প্রুশিয়া [[উইমার প্রজাতন্ত্র|উইমার প্রজাতন্ত্রের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। [[১৯৩৪]] সালে [[নাজি|নাজিদের]] মাধ্যমে প্রুশিয়া দেশটি বিলুপ্ত হয় এবং [[১৯৪৫]] সালে [[মিত্র শক্তি]] দ্বারা আবারও দেশ হিসেবে এর স্বকীয়তা কেড়ে নেয়া হয়। তখন থেকেই প্রুশিয়া একটি সংস্কৃতি হিসেবে টিকে আছে। বর্তমানকালেও ''প্রুশিয়ান গুণ'' নামে একটি নৈতিক শব্দ প্রচলিত আছে যার অর্থ সঠিক সংগঠন, আত্মত্যাগ, আইনের শাসন, আনুগত্য, নির্ভরশীলতা, সংযম, বিনয় এবং অধ্যাবসায়।