মহাজাতি সদন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
৩৩ নং লাইন:
[[চিত্র:1920 subhash chandra bose as student.png|thumb|মহাজাতি সদনের পরিকল্পনাকারী [[সুভাষচন্দ্র বসু]]।]]
[[চিত্র:Tagore3.jpg|thumb|মহাজাতি সদনের নামকরণ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]।]]
১৯৩৭ সালের মে মাসে [[সুভাষচন্দ্র বসু]] ও তাঁর বন্ধু অ্যাডভোকেড নৃপেন্দ্রচন্দ্র মিত্র সুভাষচন্দ্রের এলগিন রোডের [[নেতাজি ভবন|বাড়িতে]] স্থানীয় যুবকদের একটি সভা ডেকেছিলেন। এই সভায় সুভাষচন্দ্র কলকাতার নাগরিকদের সভাসমিতি ডাকার উপযুক্ত একটি বড়ো প্রেক্ষাগৃহ স্থাপনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। এর কিছুদিন পর সুভাষচন্দ্র মধ্য কলকাতায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ (অধুনা [[চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, কলকাতা|চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ]]) ও হ্যারিসন রোডের (অধুনা মহাত্মা গান্ধী রোড) সংযোগস্থলের কাছে [[কলকাতা পৌরসংস্থা|কলকাতা পৌরসংস্থার]] ৩৮ কাঠা জমির সন্ধান পান। এই স্থানটিই সুভাষচন্দ্র প্রস্তাবিত প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের জন্য নির্বাচন করেন। তাঁর আবেদনে পৌরসংস্থা ১ টাকা লিজে জমিটি সুভাষচন্দ্রকে দিয়ে দেয়।<ref name = banglaroitihyo>''বাংলার ঐতিহ্য কলকাতার অহংকার'', পল্লব মিত্র, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ২০৪-০৮</ref>
 
সুভাষচন্দ্র প্রস্তাবিত প্রেক্ষাগৃহের নামকরণের জন্য অনুরোধ করেন [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে]]। রবীন্দ্রনাথ প্রেক্ষাগৃহের নামকরণ করেন "মহাজাতি সদন"। [[শান্তিনিকেতন|শান্তিনিকেতনের]] বিশিষ্ট স্থপতি সুরেন্দ্রনাথ কর মহাজাতি সদনের নকশা তৈরির দায়িত্ব পান। সুভাষচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকেই এই প্রেক্ষাগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুরোধ জানান।<ref name = banglaroitihyo/>
 
১৯৩৯ সালের ১৯ অগস্ট সুভাষচন্দ্র, [[বিধানচন্দ্র রায়]] প্রমুখ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।<ref name = banglaroitihyo/> ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন:<ref name="Bose2004" />
৪৪ নং লাইন:
১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু দেশত্যাগ করলে মহাজাতি সদন নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে এবং তাঁর নামে থাকা মহাজাতি সদনের জমিখণ্ডটির লিজ বাতিল করে দেয়। সুভাষচন্দ্রের দাদা [[শরৎচন্দ্র বসু]] ও নৃপেন্দ্রচন্দ্র মিত্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন। আদালতের রায় লিজ বাতিল বেআইনি ঘোষিত হয়।<ref name = banglaroitihyo/>
 
১৯৪৭ সালে [[ভারত]] স্বাধীন হয়। ১৯৪৮ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা|পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়]] "মহাজাতি সদন বিল" পাস হয়।<ref name="Mahajati Sadan" /> এরপর তদনীন্তন [[পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী|মুখ্যমন্ত্রী]] বিধানচন্দ্র রায় মহাজাতি সদন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ১৯৫৮ সালের ১৯ অগস্ট তিনিই মহাজাতি সদনের দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেছিলেন, <ref name = banglaroitihyo/>
{{Quote|এই গৃহ হোক সমগ্র জনসমাজের সকল শুভকর্মের প্রাণকেন্দ্র। তাঁরা যেন এখানে ভারতের মনুষ্যত্ব এবং জাতীয়তার সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের জন্য জ্ঞান ও আলোক খুঁজে পান। তাহলেই এর মহাজাতি সদন নাম হবে সার্থক।}}
 
৫৪ নং লাইন:
 
== প্রকাশনা ==
১৯৬৬ সালে মহাজাতি সদনের অছি পরিষদ সদনের সংগ্রহে রক্ষিত বিপ্লবীদের ছবি থেকে ২১৩ জন বিপ্লবীর ছবি বেছে নিয়ে সচিত্র জীবনী ''মৃত্যুঞ্জয়'' প্রকাশ করে।<ref name = banglaroitihyo/>
 
== অনুষ্ঠান ==
মহাজাতি সদনে চারটি বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়: <ref name = banglaroitihyo/>
 
* [[পঁচিশে বৈশাখ|২৫ বৈশাখ]] – [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] জন্মদিন