ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ স্থানান্তর করেছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:Q13058187 এ রয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
৬ নং লাইন:
ত্রৈলোক্যনাথ [[চুঁচুড়া]]র ডাফ সাহেবের স্কুলে এবং [[ভদ্রেশ্বর|ভদ্রেশ্বরের]] কাছে তেলিনীপাড়া বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। সংসারের অসচ্ছল অবস্থার জন্য [[১৮৬৫]] সালে বাড়ি থেকে রোজগারের জন্য চলে যান এবং নানা দেশ ভ্রমণ করেন। প্রথমে দ্বারকা ([[বীরভূম]]) উখড়া ([[রাণীগঞ্জ]]) এবং শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রভৃতি স্থানে শিক্ষকতার কাজ করেন। কিন্তু কোথাও কাজ পছন্দ না হওয়ায় কটকে চলে যান। [[১৮৬৮]] সালে কটকে জেলার পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর হন। কটকে [[ওড়িয়া]] ভাষা শিখে ওড়িয়া ‘উৎকল শুভকরী’ নামে মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। পুলিশের চাকরি করাকালীন বিখ্যাত স্যার [[উইলিয়াম হান্টার]] সাহেবের সঙ্গে পরিচিত হন। হান্টার সাহেব এঁর কথাবার্তা এবং অগাধ পান্ডিত্যে সন্তুষ্ট হয়ে [[১৮৭০]] খ্রীষ্টাব্দে [[কলকাতা|কলকাতায়]] নিজের [[বেঙ্গল গেজেটিয়ার]] সংকলন অফিসে কেরানীর পদে নিযুক্ত করেন। এরপর ইনি উত্তর পশ্চিম প্রদেশের কৃষি ও বাণিজ্য বিভাগের অফিসে প্রধান কেরানীর পদে নিযুক্ত হন। পরে বিভাগীয় ডাইরেক্টরের একান্ত সহকারী হন।
 
[[১৮৭৭]]-[[১৮৭৮]] সালে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হলে তিনি প্রান বাঁচানোর জন্য [[গাজর]] চাষ করার জন্য সরকারকে উপদেশ দেন। তাঁর কথানুযায়ী সরকার [[১৮৮৭]] সালে কয়েকটি জেলায় গাজরের চাষ করার বন্দোবস্ত করেন। এর ফলে দু বছর পরে [[রায়বেরিলী]] ও [[সুলতানপুর]] জেলায় দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর প্রস্তাবিত গাজর চাষের জন্য বহু প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল।
 
[[১৮৮১]] খ্রীষ্টাব্দে [[ভারত]] সরকারের রাজস্ব বিভাগে বদলী হন। সেই সময় ইনি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পোন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন এবং বিশেষ কৃতকার্যও হন। [[১৮৮৩]] সালে কলকাতায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কয়েকটি বিষয়ে অধ্যক্ষ ছিলেন। [[১৮৮৬]] সালে [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]] প্রদর্শনী আরম্ভ হয় তখন ত্রৈলোক্যনাথকে সেখানে পাঠানো হয়। সেই সময় তিনি [[ইউরোপ|ইউরোপের]] নানা জায়গায় ভ্রমণ করেন এবং [[এ ভিজিট টু ইউরোপ]] নামক গ্রন্থ রচনা করেন। এই বইটিতে তাঁর সমস্ত কাজ ও ভ্রমণ বৃত্তান্ত রয়েছে।
 
১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে এই বিভাগ ত্যাগ করে [[কলকাতা মিউজিয়াম|কলকাতা মিউজিয়ামে]] সহকারি কিউরেটর হন । ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে দেশীয় শিক্ষা বাণিজ্যে যাতে উন্নতি হয় তার যথেষ্ট চেষ্টা করেন। কলকাতা, [[মুম্বাই|বোম্বে]] প্রভৃতি বড় বড় শহরে এবং বড় বড় রেলস্টেশনে ভারতীয় কারুকার্যের যে সকল দোকান দেখতে পাওয়া যায় তা এঁর উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সময় ইনি সরকারের অনুমতিক্রমে [[আর্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অফ ইন্ডিয়া]] নামক একটি বই লেখেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে যে সব শিল্প দ্রব্য নির্মিত হত সেই সব শিল্প দ্রব্যের একটি তালিকা ইংরাজীতে প্রকাশ করেন। ত্রৈলোক্যনাথ [[বর্ধমান|বর্ধমানে]] থাকাকালীন [[ফার্সি]] ভাষা শিক্ষা করে অভূতপূর্ব নাম করেছিলেন।
 
== সাহিত্য জীবন ==
 
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় সাহিত্যিক হিসাবেই বিখ্যাত। তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন রকমের উদ্ভট হাস্যরসের প্রবর্তক ছিলেন। বঙ্গবাসী অফিস থেকে প্রকাশিত [[জন্মভূমি (মাসিক পত্রিকা)|জন্মভূমি মাসিক পত্রিকায়]] ইনি অনেক ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখেছিলেন। বিশ্বকোষ নামক অভিধান এঁর চেষ্টাতেই আরম্ভ হয়। বিশ্বকোষ অভিধান রচনায় ভাই রঙ্গলালকে প্রচুর সাহায্য করেছিলেন । এছাড়া জন্মভূমি সাপ্তাহিক পত্রিকাতেও ইনি নিয়মিত লিখতেন। ওয়েলথ্ অফ ইন্ডিয়া নামক মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা কাজেও তিনি সাহায্য করতেন।
 
তাঁর রচিত [[ডমরু চরিত]] এবং [[কঙ্কাবতী]] খুবই বিখ্যাত। [[কঙ্কাবতী]] উপন্যাস সম্পর্কে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ]] বলেছেন “এইরূপ অদ্ভুত রূপকথা ভাল করিয়া লেখা বিশেষ ক্ষমতার কাজ। ...এতদিন পরে বাঙ্গালায় এমন লেখকের অভ্যুদয়...যাঁহার লেখা আমাদের দেশের বালক বালিকাদের এবং তাঁদের পিতামাতার মনোরঞ্জন করিতে পারিবে।“