অ্যানাটিডি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৯ নং লাইন:
}}
 
'''অ্যানাটিডি''' একটি [[গোত্র (জীববিদ্যা)|জীববৈজ্ঞানিক গোত্র]] যার মধ্যে [[হাঁস]], [[রাজহাঁস]] ও [[মরাল]], এই তিন ধরনের পাখি অন্তর্ভুক্ত। এই গোত্রের সদস্যদেরকে পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে [[অ্যান্টার্কটিকা|অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ]], নির্দিষ্ট কিছু মরু অঞ্চল এবং বেশিরভাগ দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জে এদের দেখা যায় না। বহু বছরের [[বিবর্তন|বিবর্তনের]] ফলে এসব পাখি পানিতে সাবলীলভাবে [[সাঁতার|সাঁতরাতে]], ভেসে থাকতে ও প্রয়োজনবোধে অগভীর পানিতে ডুব দিতে সক্ষম। এরা মাঝারি থেকে বড় আকারের গোলগাল জলার পাখি; পা খাটো ও চ্যাপ্টা; ঠোঁট ছোট, শক্তিশালী; প্রজনন ঋতুর শেষে ওড়ার পালক খসে পড়ে ও কয়েক সপ্তাহ উড়তে পারে না। এই গোত্রে মোট ৪০টি৪৩টি [[গণ (জীববিদ্যা)|গণে]] ১৪৬টি১৪৮টি এবং বাংলাদেশে ১৩ গণে ২৯ [[প্রজাতি|প্রজাতির]] পাখি অন্তর্ভূক্ত।<ref>জিয়া উদ্দিন আহমেদ অ অন্যান্য সম্পাদিত; বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি; খণ্ড- ২৬; পৃষ্ঠা-১৪।</ref> এরা মূলত [[তৃণভোজী]] ও প্রজননের দিক থেকে [[একগামী]]। সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ সাংবাৎসরিক [[পরিযায়ী পাখি|পরিযায়ী]], অর্থাৎ বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। অল্প কিছু প্রজাতিকে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মানুষ পুষে থাকে। এদের মাংস ও ডিম বিশ্বব্যাপী পুষ্টির বিশাল চাহিদার কিছু অংশ পূরণ করে। মাংস ও বিনোদন, এই দুই কারণে এদের ব্যাপকভাবে শিকার করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে সপ্তদশ শতাব্দী থেকে অ্যানাটিডি গোত্রের অন্তর্ভূক্ত পাঁচটি প্রজাতি পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ [[বিলুপ্ত]] হয়ে গেছে আর বেশ কিছু প্রজাতি বর্তমানে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।
 
==অন্তর্ভূক্ত গণসমূহ==