চন্দননগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
wikify
১ নং লাইন:
== প্রেক্ষাপট ==
একসময় চন্দননগর ছিল ফরাসি উপনিবেশ. ইংরেজশাসিত কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ফরাসিশাসিত চন্দননগর. কলকাতার মতো চন্দননগরেও আছে স্ট্র্যান্ড, বড়বাজার, বাগবাজার, বউবাজার. ফরাসি আমলে স্বীকার করতেই হবে চন্দননগরের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল. রাস্তাঘাট, নিকাশি সবেতেই ফরাসি দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়. ফরাসি উপনিবেশ হওয়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীরা এখানে আশ্রয় নিতেন. আলিপুর বোমার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে অরবিন্দ ঘোষ ও অন্যান্য বিপ্লবী এখানে আশ্রয় নেন. ফরাসি উপনিবেশ, তাই ব্রিটিশ পুলিশকে অনুমতি নিয়ে এখানে ঢুকতে হতো. সেই সুযোগে বিপ্লবীরা পালাতেন. শহীদ কানাইলাল বসুর শৈশব কেটেছে এই শহরে তাঁর নামাঙ্কিত একটি বিদ্যালয় ও ক্রীড়াঙ্গন এই শহরে রয়েছে।বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর পৈতৃক ভিটে এই শহরে ফটোকগোড়া এলাকায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধিকবার এই শহরে এসে থেকেছেন। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত পাতালবাড়ি স্ট্রান্ডের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত। তাঁতবস্ত্রের কেন্দ্র হিসেবেও চন্দননগরের নামডাক ছিল. চন্দননগরের আরেক নাম ফরাসডাঙা. এখানকার কাপড়ের খ্যাতি অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল.
 
== জগদ্ধাত্রী পুজো ==
কৃষ্ণনগরের আদলে এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয় অন্তত তিনশো বছর আগে. কালে কালে এই পুজো হয়ে ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ. তার ওপর আলোর ব্যবহারে অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছে চন্দননগর. সব মিলিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই এখন দর্শনার্থীদের ঢল নামে. দুর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে ঠিক একমাস পর আসে জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী. দুর্গাপুজোর মতোই চারদিন ধরে পুজো হয়. শেষ দিন প্রায় ৩৫ ফিট উঁচু প্রতিমা বিসর্জন করা হয় বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট রানিঘাটে. প্রতিবছরই দশমীর রাতে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা হয়. তা দেখতে দেশবিদেশ থেকে বহু মানুষ জড়ো হন. চন্দননগর কর্পোরেশন, পুলিশ, পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের নিয়ে তৈরি সেন্ট্রাল কমিটি জগদ্ধাত্রী পুজোর দায়িত্বে থাকে. শহরের প্রায় দেড়শো পুজোয় নজরদারির দায়িত্বও এই কমিটির. এখানকার পুজো অত্যন্ত সুশৃঙ্খল.
 
 
তথ্যসূত্র- রবীন্দ্রনাথ ও চন্দননগর- হরিহর শেঠ
 
<!-- See [[Wikipedia:WikiProject Indian cities]] for details -->{{তথ্যছক ভারতের নগর এলাকা |
৩৪ ⟶ ৩০ নং লাইন:
 
== ভৌগোলিক উপাত্ত ==
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল {{coor d|22.87|N|88.38|E|}} ।<ref name="geoloc">{{cite web | accessdate = সেপ্টেম্বর ২৫ | accessyear = ২০০৬ | url = http://www.fallingrain.com/world/IN/28/Chandannagar.html | title = Chandannagar | work = Falling Rain Genomics, Inc}}</ref> সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১০&nbsp;[[মিটার]] (৩২&nbsp;[[ফুট]])।
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে চন্দননগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৬২,১৬৬ জন।<ref name="census">{{cite web | accessdate = সেপ্টেম্বর ২৫ | accessyear = ২০০৬ | url = http://web.archive.org/web/20040616075334/www.censusindia.net/results/town.php?stad=A&state5=999 | title = ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি}}</ref> এর মধ্যে পুরুষ ৫২%, এবং নারী ৪৮%।
 
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৮%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮২%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চন্দননগর এর সাক্ষরতার হার বেশি।
 
এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
== প্রেক্ষাপট ==
একসময় চন্দননগর ছিল ফরাসি উপনিবেশ. ইংরেজশাসিত কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ফরাসিশাসিত চন্দননগর. কলকাতার মতো চন্দননগরেও আছে স্ট্র্যান্ড, বড়বাজার, বাগবাজার, বউবাজার. ফরাসি আমলে স্বীকার করতেই হবে চন্দননগরের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল. রাস্তাঘাট, নিকাশি সবেতেই ফরাসি দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়. ফরাসি উপনিবেশ হওয়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীরা এখানে আশ্রয় নিতেন. আলিপুর বোমার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে অরবিন্দ ঘোষ ও অন্যান্য বিপ্লবী এখানে আশ্রয় নেন. ফরাসি উপনিবেশ, তাই ব্রিটিশ পুলিশকে অনুমতি নিয়ে এখানে ঢুকতে হতো. সেই সুযোগে বিপ্লবীরা পালাতেন. শহীদ কানাইলাল বসুর শৈশব কেটেছে এই শহরে তাঁর নামাঙ্কিত একটি বিদ্যালয় ও ক্রীড়াঙ্গন এই শহরে রয়েছে।বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর পৈতৃক ভিটে এই শহরে ফটোকগোড়া এলাকায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধিকবার এই শহরে এসে থেকেছেন। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত পাতালবাড়ি স্ট্রান্ডের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত। তাঁতবস্ত্রের কেন্দ্র হিসেবেও চন্দননগরের নামডাক ছিল. চন্দননগরের আরেক নাম ফরাসডাঙা. এখানকার কাপড়ের খ্যাতি অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল.
 
== জগদ্ধাত্রী পুজো ==
কৃষ্ণনগরের আদলে এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয় অন্তত তিনশো বছর আগে. কালে কালে এই পুজো হয়ে ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ. তার ওপর আলোর ব্যবহারে অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছে চন্দননগর. সব মিলিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই এখন দর্শনার্থীদের ঢল নামে. দুর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে ঠিক একমাস পর আসে জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী. দুর্গাপুজোর মতোই চারদিন ধরে পুজো হয়. শেষ দিন প্রায় ৩৫ ফিট উঁচু প্রতিমা বিসর্জন করা হয় বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট রানিঘাটে. প্রতিবছরই দশমীর রাতে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা হয়. তা দেখতে দেশবিদেশ থেকে বহু মানুষ জড়ো হন. চন্দননগর কর্পোরেশন, পুলিশ, পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের নিয়ে তৈরি সেন্ট্রাল কমিটি জগদ্ধাত্রী পুজোর দায়িত্বে থাকে. শহরের প্রায় দেড়শো পুজোয় নজরদারির দায়িত্বও এই কমিটির. এখানকার পুজো অত্যন্ত সুশৃঙ্খল.
 
তথ্যসূত্র- রবীন্দ্রনাথ ও চন্দননগর- হরিহর শেঠ
 
 
 
== তথ্যসূত্র ==