বিভূতিভূষণ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8.5
কপিরাইট লঙ্ঘন ও অনির্ভরযোগ্য উৎস হওয়ার Siman96 এর সম্পাদনা বাতিল
২ নং লাইন:
'''বিভূতিভূষণ দত্ত''' (জন্ম: ২৮ জুন ১৮৮৮—মৃত্যু: ৬ অক্টোবর ১৯৫৮) ছিলেন একজন [[ভারতীয় গণিত|ভারতীয় গাণিতিক]] ইতিহাসবেত্তা ও সন্ন্যাসী।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ac.els-cdn.com/0315086080900336/1-s2.0-0315086080900336-main.pdf?_tid=dba69f20-e609-11e5-9916-00000aab0f6b&acdnat=1457536751_c4bd588e0345409b308b63cff33ab98b|শিরোনাম=Bibhutibhusan datta (1888–1958), historian of Indian mathematics|শেষাংশ=R. C. Gupta|তারিখ=May 1980|পাতাসমূহ=126–133|ডিওআই=10.1016/0315-0860(80)90033-6|সংগ্রহের-তারিখ=9 March 2016}}</ref>
 
== জীবনী ==
== জন্ম ও কর্মজীবন ==
দত্ত চট্টগ্রাম জেলার কানুনগোপাড়ায় একটি দরিদ্র বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি গণেশ প্রসাদের ছাত্র ছিলেন এবং তৎকালীন [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯১৪ সালে সেখান থেকেই গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯০৪ সালে ফলিত গণিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন যেখানে তিনি ইউনিভার্সিটি সায়েন্স কলেজের প্রভাষক ছিলেন এবং ১৯২৪-১৯২২ এর সময় ফলিত গণিতের রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক ছিলেন। ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে তিনি ভারতীয় গণিতের ইতিহাসের একজন কর্তাব্যক্তি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি ভারতীয় দর্শন এবং ধর্ম সম্পর্কে গভীর আগ্রহী ছিলেন। ১৯২৯ সালে তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন ও ১৯৩৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং ১৯৩৮ সালে স্বামী বিদ্যারণ্য নামে ''[[সন্ন্যাসিন|সন্ন্যাসী]]'' জীবন শুরু করেছিলেন। জীবনের শেষ বছরগুলোতে, স্বামী বিদ্যারণ্য হিসাবে তিনি মূলত রাজস্থানের [[পুষ্কর|পুষ্করে]] থাকতেন।
১৮৮৮ সালের ২৮ জুন অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কানুনগোপাড়া গ্রামে বিভূতিভূষণ দত্তের জন্ম হয়। তাঁর বাবা রসিকচন্দ্র দত্ত সাব-জজের দপ্তরে কর্মরত ছিলেন এবং চারিত্রিক দিক থেকে তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতা ও সততার উপস্থিতি ছিল। বিভূতিভূষণের মায়ের নাম মুক্তকেশী দত্ত যিনি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর প্রতিবেশীদের প্রাণ ঢেলে সাহায্য করেছিলেন। মুক্তকেশী এবং রসিকচন্দ্রের এগারোটি সন্তানের মধ্যে বিভূতিভূষণ দত্ত ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তাঁর দুই দাদার নাম যথাক্রমে রেবতী রমণ দত্ত এবং ভূপতি মোহন দত্ত। বাকি আট ভাইয়ের নাম যথাক্রমে নীরদ লাল দত্ত, বিনোদ বিহারী দত্ত, হরিহর দত্ত, প্রমথ রঞ্জন দত্ত, সুবিমল দত্ত, সুকমল দত্ত, পরিমল দত্ত এবং রঞ্জিত দত্ত।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sobbanglay.com/sob/bibhutibhusan-datta/|শিরোনাম=বিভূতিভূষণ দত্ত|তারিখ=2021-09-30|ওয়েবসাইট=সববাংলায়|ভাষা=bn-BD|সংগ্রহের-তারিখ=2021-10-07}}</ref>
 
তিনি গণেশ প্রসাদের ছাত্র ছিলেন এবং তৎকালীন [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯১৪ সালে সেখান থেকেই গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯০৪ সালে ফলিত গণিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন যেখানে তিনি ইউনিভার্সিটি সায়েন্স কলেজের প্রভাষক ছিলেন এবং ১৯২৪-১৯২২ এর সময় ফলিত গণিতের রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক ছিলেন। ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে তিনি ভারতীয় গণিতের ইতিহাসের একজন কর্তাব্যক্তি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি ভারতীয় দর্শন এবং ধর্ম সম্পর্কে গভীর আগ্রহী ছিলেন। ১৯২৯ সালে তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন ও ১৯৩৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং ১৯৩৮ সালে স্বামী বিদ্যারণ্য নামে ''[[সন্ন্যাসিন|সন্ন্যাসী]]'' জীবন শুরু করেছিলেন। জীবনের শেষ বছরগুলোতে, স্বামী বিদ্যারণ্য হিসাবে তিনি মূলত রাজস্থানের [[পুষ্কর|পুষ্করে]] থাকতেন।
 
== রচনা ==
''হিন্দু গণিতের ইতিহাস: একটি উৎস বই'',<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=History of Hindu Mathematics: a Sourcebook|শেষাংশ=Bibhutibhushan datta and Awadhesh Narayan Singh|তারিখ=1962|প্রকাশক=Asia Publishing House}}</ref> অভধেশ নারায়ণ সিংহের (১৯০১-১৯৫৪) সাথে যৌথভাবে রচিত এই বইটি ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে একটি আদর্শ রেফারেন্স হয়ে উঠেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.maa.org/press/periodicals/convergence/mathematics-in-india|শিরোনাম=Mathematics in India|শেষাংশ=Frank J. Swetz|তারিখ=February 2010|ডিওআই=10.4169/loci003292|সংগ্রহের-তারিখ=9 March 2016}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=L G Simons, Review: History of Hindu Mathematics – A Source Book. Part I. Numeral Notation and Arithmetic|শেষাংশ=L. G. Simons|তারিখ=1936|পাতাসমূহ=367–368|ডিওআই=10.2307/2301803}}</ref> তিনি [[সূলবা সূত্র|সূলবা সুত্রে]] একটি মনোগ্রাফও লিখেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.512150|শিরোনাম=The Science of the Sulba. A study in early Hindu geometry|শেষাংশ=Bibhtibhushan Datta|তারিখ=1932|প্রকাশক=University of Calcutta}}</ref> তাঁর রচিত ‘History of Hindu Mathematics’ এবং ‘প্রাচীন ভারতের ভাগবত কাহিনী দুটি পরিচিত গ্রন্থ। তিনি ভারতীয় গণিতের ইতিহাস সম্পর্কিত ৭০ টিরও বেশি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/history/Extras/Datta_publications.html|শিরোনাম=Publications of Bibhutibhusan Datta|শেষাংশ=J J O'Connor and E F Robertson|ওয়েবসাইট=MacTutor History of Mathematics archive|প্রকাশক=University of St Andrews, Scotland|সংগ্রহের-তারিখ=10 March 2016|আর্কাইভের-তারিখ=১০ মার্চ ২০১৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160310073919/http://www-groups.dcs.st-and.ac.uk/history/Extras/Datta_publications.html|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> ভারতে শূন্য আবিষ্কারের ইতিহাস, বর্গমূলের ধারণার জন্ম, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পাই-এর গুরুত্ব, জৈনদের মহাকাশ চর্চা এমনকি আরবিদের গাণিতিক প্রতীকের ব্যাখ্যা ইত্যাদি বহুধা বিস্তৃত বিষয়ে একজন বাঙালি সন্তান হয়ে এমন দুঃসাধ্য গবেষণা তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল। বিভূতিভূষণের আগে কিংবা পরে কোনো বাঙালি গণিতবিদ এত বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে গবেষণায় অগ্রণী হননি। প্রায় সত্তরটির বেশি গবেষণাপত্র লিখেছেন বিভূতিভূষণ দত্ত। এগুলির মধ্যে কয়েকটি হল – ‘আর্যভট্ট এবং তৎপ্রণীত পৃথিবীর গতিতত্ত্ব’ (১৯৩৫-৩৬), ‘আচার্য আর্যভট্ট এবং তাঁর শিষ্য ও অনুগামীরা’ (১৯৩৩-৩৪), ‘জৈন সাহিত্যে সংখ্যাতত্ত্ব’ (১৯৩০-৩১) ইত্যাদি সবই বাংলায় লেখেন তিনি। এছাড়াও ইংরাজি ভাষায় লেখা বিখ্যাত গবেষণাপত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – ‘On mula, the Hindu term for 'root' (১৯২৭), ‘The present mode of expressing numbers’ (১৯২৭), ‘The Hindu solution of the general Pellian equation’ (১৯২৮), ‘The Jaina School of mathematics’ (১৯২৯) ইত্যাদি। <ref name=":0" /> 
 
== আরো দেখুন ==