আমর ইবনে হিশাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাবুজ্জামান-এর করা 4267818 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: কপিরাইটযুক্ত, https://bangla393.rssing.com/chan-63757403/all_p64.html থেকে অনুলিপি করা হয়েছে।।
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত পুনর্বহালকৃত
Ryan Mahmud (আলোচনা | অবদান)
ZI Jony (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4530178 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত পুনর্বহালকৃত
১৩ নং লাইন:
| children = [[ইকরামাহ ইবনে আবু জাহল|ইকরামাহ]] <br> জাহারা <br> তামিমি <br> শাখরা <br> আসমা <br> জামিলা <br> উম্মে হাকিম <br> উম্মে সাঈদ <br> জুয়াইরিয়া <br> হুনফা <br> উম্মে হাবিব
}}
'''ʿআমর ইবনে হিশাম''' ({{lang-ar|عمرو إبن هشام|Amr ibn Hishām}}) (৫৫৬ – ১৩ মার্চ ৬২৪), '''আবু আল-হাকাম''' ({{lang-ar|أبو الحكم|link=no}}) অথবা '''আবু জাহল''' ({{lang-ar|أبو جهل|link=no}}) হিসাবেও ডাকা হয়, ছিলেন [[মক্কা]]র একজন বহুঈশ্বরবাদী [[পৌত্তলিক]] বা মূর্তিপূজারী কুরাইশ নেতা, একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামের শেষ নবী [[মুহাম্মাদ]]ের প্রতি ঘোরতর শত্রুতা ও মক্কার প্রাথমিক মুসলমানদের প্রতি ব্যপক বিরোধিতারবিদ্বেষ পোষণের জন্য তিনি পরিচিত।পরিচিত ও ঘৃণিত। নবী মুহাম্মদেরমুহাম্মাদের নবুয়াত ও ইসলাম প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ইসলামের ঘোর বিরোধিতা, ঘৃণ্য চক্রান্ত, বিদ্বেষ ছড়ানোইসলামীইসলামের অনুসারীদের প্রতি অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন।
 
তিনি [[উমর ইবনে আবু রাবিয়াহ]]র ভাই <ref>''Ibn Khallikan's Biographical Dictionary'', trans. by Bn Mac Guckin de Slane, Oriental Translation Fund (Series), 57, 4 vols (Paris: Printed for the Oriental translation fund of Great Britain and Ireland, 1842-71), I 373.</ref> এবং [[উমর ইবনুল খাত্তাব]]ের চাচা। তিনি মুহাম্মাদের অন্যতম ঘুরবিরোধীঘোরবিরোধী এবং ইসলাম ও মক্কার প্রাথমিক মুসলমানমুসলমানদের বিরোধীদেরশত্রুদের প্রথম সারির পতাকাবাহী।লোক ইসলামছিলেন। তাকেইসলামের এতোআবির্ভাবের দূর্ভাবপর আল্লাহর শত্রুএকত্ববাদ হিসাবে(তাওহীদ) দেখেএর যেপ্রতি মুহাম্মাদদাওয়াত তাকেআসার "এইপরও উম্মতেরসে ফেরাউন"জাহেলী উপাধিযুগের দিয়েছিলেন,।মুর্তি মুহাম্মাদপূজাকেই বলেন,আকড়ে “যেধরে আবুরাখে জাহলকেএবং 'আবুবিভিন্ন হাকাম'ঘৃণ্য বলেউপায় ডাকেইসলাম সে মারাত্মকমুসলিমদের ভুলনিয়ে করেছে।মিথ্যা, এজন্যঅমূলক তাঁর উচিতনোংরা আল্লাহরকথার কাছেদ্বারা ক্ষমাকূৎসা প্রার্থনা করা।”<ref>''Theবিদ্বেষ Lifeছড়াতে ofঅন্যান্য Muhammad:কুরাইশদের Aনেতৃত্ব Translationদিয়েছিলো। ofবিভিন্ন ibnসময়ে, Isḥāq’sবিভিন্ন Sīratউপায়ে Rasulসে Allāh''রাসূলাল্লাহ withসাল্লাল্লাহু introductionআলাইহি &ওয়া notesসাল্লামকে byহত্যার Alfredজন্য Guillaume,ন্যক্কারজনক Oxfordষড়যন্ত্রও Universityকরেছিলো। Press,তাই তাকে "আবু জেহেল" বা মূর্খদের পিতা ডাকা 1955.</ref>হয়।
 
সাধারণ ভ্রান্ত ধারণার বিপরীতে ইবনে হিশাম মুহাম্মাদের চাচা ছিলেন না (যেমন আবু লাহাব ছিলেন) বা অন্যকোনো রক্তের আত্মীয়। মুহাম্মাদ কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রের এবং ইবনে হিশাম কুরাইশের বানু মাখজম গোত্রের। আমর ইবনে হিশাম আসাদ আল-আহলাফ নামেও পরিচিত ছিলেন, কারণ তিনিতসে বিরোধীইসলামের শত্রু ও বিদ্বেষী দলগুলোর সিংহনেতা ছিলেনছিলো, যারা ইসলাম ও মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহেলী করারমূর্খতার শপথমূখপাত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন।করেছিলো।<ref>Letter No.28, 2nd paragraph, Peak of Eloquence (Page-575), {{ISBN|0-941724-18-2}}; retrieved 11 January 2015</ref>
 
আবু জাহল [[মুআউয়াজ ইবনে আমর|মুয়াউয়াজ ইবনে আফ্রি]] এবং [[মুয়াজ ইবনে আমর|মুয়াদ ইবনে আমর ইবনে আল জামুহ]] কর্তৃক গুরুতরভাবে আহত হন এবং অবশেষে ৬২৪ সালের ১৩ ই মার্চ বদরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থায় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক নিহত হন।
 
==নাম ও উপাধি সমূহ==
তাঁর উপাধিটি ছিল আবু আল-হাকাম (أبو الحكم) (আক্ষরিক অর্থে "জ্ঞানী বিচারের জনক") কারণ তিনি গভীর জ্ঞানের মানুষ হিসাবে বিবেচিত ছিলেন, কুরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষ্ণতা ও উপলব্ধির জন্য তারা তাঁর মতামতকে বিশ্বাস করেতেন এবং তাদের সভার একজন অভিজাত সদস্য হিসাবে তারা তাঁর উপর নির্ভর করতেন। এমনকি তিরিশ বছর বয়সেই তিনি দার-আন-নাদ্বায় অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, যে বাড়ি [[হাকিম ইবনে হিজাম]]ের মালিকানাধীন, যদিও এই গোপন সম্মেলনে প্রবেশের বয়স ছিল কমপক্ষে চল্লিশ বছর।{{citation needed|date=May 2020}} এতদসত্বেও তার ডাক উপাধী পরিবর্তন করে হয়ে যায় "আবু জাহল" বা মূর্খদের পিতা। কারণ একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামের আহ্ববান আসার পরও যেসকল কুরাইশ গোত্রপতি সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো ও সত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলো, আবু জাহল ছিলো তাদের নেতাদের মধ্যে অন্যতম।
 
‘আমর ইবনে হিশাম মুহাম্মাদেরমুহাম্মাদ ের প্রতি কঠোরভাবে শত্রুতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাঁর বাণী(সাল্লাল্লাহু প্রত্যাখ্যানআলাইহি করেছিলেন।ওয়া সাল্লাম) সত্য পথের আহ্ববানে সাড়া দেয় নি। অতএব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে "আবু জাহল" (أبو جهل) (আক্ষরিক অর্থে "অজ্ঞতার জনক বা অজ্ঞ/মূর্খদের পিতা বা নেতা") হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আমর ইবনে হিশামকে তাঁর মায়ের দিক থেকে ইবনে আল-হানাজালিয়াও ডাকা হতো।<ref>Guillaume, p. 298</ref>
 
==পরিবার==
৭২ নং লাইন:
 
==মৃত্যু==
বদরের ময়দান।
আমর ইবনে হিশাম [[বদর যুদ্ধ|বদরের যুদ্ধে]] আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ কর্তৃক নিহত হন।
 
একদিকে মুসলমান। আরেক দিকে কাফের। মুসলমানদের দলে আছেন স্বয়ং রাসূলে করীম (সাঃ)। আরো আছেন সাহাবীগণ। কাফেরদের দলে রয়েছে মক্কার বড় বড় কাফের সর্দার। বহুদিন পর্যন্ত যেসব কাফের মক্কায় মুসলমানদের কষ্ট দিয়েছে, নির্যাতন করেছে, রাসূল (সাঃ)-কে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাঁদের অনেকেই এই যুদ্ধে এসেছে। বদর যুদ্ধ হলো কাফেরদের সাথে মুসলমানদের প্রথম প্রকাশ্য #জিহাদ।
 
তুমুল যুদ্ধ চলছে। চারিদিকে শত্রুকে খুঁজে চলেছে সবাই। কেউ কারো দিকে নজর দিতে পারছেনা। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করেছিলেন, শত্রুকে কিভাবে ঘায়েল করা যায়। হঠাৎ দেখলেন, তার দু’পাশে এসে দাঁড়ালো দুটি বালক। দু’জনই মুসলিম।
 
আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) বালক দু’জনের দিকে তাকালেন। মনে মনে তিনি হতাশ। এরা তো নিতান্তই বালক! এরা যুদ্ধ করবে কিভাবে! তিনি ভাবছিলেন, যদি তার আশে-পাশে আরো শক্তসমর্থ মুসলমান থাকতেন, তাহলে কাফেরদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর সময় একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করতে পারতেন; কিন্তু সেই কাজ কি এই বালক দু’জনকে দিয়ে সম্ভব?
 
বালক দু’জন সম্পর্কে তিনি যখন এ ধরনের ভাবনা ভাবছিলেন, তখনই এক বালক এসে তার হাত জড়িয়ে ধরলো। তারপর বল—চাচাজান! আপনি আবু জেহেল কে চিনেন?
 
আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ জবাবে বললেন—হ্যাঁ, চিনি। কিন্তু আবু জেহেলকে তোমার কী প্রয়োজন?’
 
সেই বালক বললো—“আমরা শুনেছি, আবু জেহেল আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)-কে গালা গালি করে। নবীজীর নামে আজে-বাজে কথাবার্তা বলে বেড়ায়। আল্লাহর কসম! যদি আবু জেহেলকে দেখতে পাই, তবে তার জীবন খতম করার আগে আমি ক্ষ্যান্ত হবো না। যদি তাঁকে খতম করতে না পারি তবে নিজেই শহীদ যাবো।”
 
বালকের কথা শুনে আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) অবাক হয়ে গেলেন। অল্প বয়সী বালক! অথচ কী অসামান্য সাহস!
 
এসময়ের অপর বালকটিও তাঁকে জিজ্ঞাসা করল—আবু জেহেল কে, কোথায় পাওয়া যাবে, জানতে চাইলো। আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) তাঁকেও প্রশ্ন করলেন—“আবু জেহেলকে তোমার কী প্রয়োজন?”—এই বালকটিও আগের বালকের মতই জবাব দিল। আবু জেহেলকে যেখানেই পাওয়া যাবে, তাঁকে হত্যা করবোই, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করল।
 
পাশে দাঁড়ানো দুই কিশোরের কথায় আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) যখন বিস্মিত হচ্ছিলেন; অবাক হয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই দেখলেন, যুদ্ধের ময়দানে ঘোড়ায় চড়ে ছূটে বেড়াচ্ছে আবু জেহেল। কিশোর দু’জনকে দেখিয়ে দিলেন তিনি। বললেন-“তোমরা আমার কাছে যার পরিচয় জানতে চাচ্ছ, ঐ যে সেই লোকটা যাচ্ছে।”
 
আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ)-এর মুখের কথা শেষ হতে না হতেই বালক দু’জন ছুটলো। তীরের মত ছুটতে ছুটতে গিয়ে আবু জেহেলের সামনে হাজির হলো দু’জনই।
 
আবু জেহেল ঘোড়ায় চড়ে ছুটছিল। বালক দু’জনের পক্ষে ঘোড়ায় চড়ে থাকা আবু জেহেলের শরীরে সরাসরি আঘাত করা ছিল অসম্ভব। একজন আক্রমণ করল আবু জেহেলের ঘোড়ায়। আরেকজন আবু জেহেলের পায়ে খোলা তলোয়ার দিয়ে আঘাত করল।
 
মুহূর্তের মধ্যেই কাফের সর্দার আবু জেহেল মাটিতে গড়িয়ে পড়ল। মাটিতে পড়েই ছটফট করতে লাগল আবু জেহেল। বালক দু’জন সমানতালে তাঁকে আঘাত করে চলল।
 
আবু জেহেলের পাশে পাশে যুদ্ধ করছিল এক ছেলে। হঠাৎ করেই বাবার এই করুণ দশা হতে দেখে সে থমকে গিয়েছিল প্রথমে। এরপর সে বালক দু’জনের একজনের উপর তরবারী চালিয়ে দিল। বালকের মাথা লক্ষ্য করে তরবারীর আঘাত করেছিল আবু জেহেলের ছেলে। কিন্তু সেই আঘাত এসে লাগল বালকের হাতে। হাতটি শরীর থেকে আলাদা হয়ে একটি চামড়ায় ঝুলে রইল।
 
আবু জেহেলের ছেলে ভেবেছিল আক্রমণ করে সে বালকের হাত যখন কেটে ফেলতে পেরেছে, তখন আর বালক দু’জনকে ধরাশায়ী করা কোন ব্যাপারই নয়। কিন্তু তার এই ভাবনার মৃত্যু হলো সামান্য সময়েই।
 
যেই বালকের হাত কেটে ঝুলে গেছে, যুদ্ধ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে সে পায়ের নিচে হাত রেখে একটানে নিজের হাতটা ছিঁড়ে ফেললো। তারপর ছিঁড়ে ফেলা হাত দূরে নিক্ষেপ করে আবারো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
 
এই অবাক করা কাণ্ড দেখে আবু জেহেলের ছেলে দ্রুত সেখন থেকে সটকে পড়ল।
 
বালক দু’জন আবারো আবু জেহেলের শরীরের উপর চড়ে বসলো। এখনো আবু জেহেল মরেনি। দূরথেকে বালকদের অভাবনীয় আক্রমণে আবু জেহেলের এই মরণ দশা দেখে আব্দুর রহমান ইবনে আ’উফ (রাঃ) এগিয়ে এলেন। এক কোপে আবু জেহেলের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেললেন।
 
রাসূলের এক ভয়ানক দুশমনকে খতম করল দুই কিশোর। সাহসী কিশোর দু’জনের একজনের নাম মা’আয। এর হাত কাটা গিয়েছিলো। অপর জনের নাম মুআ’ও ওয়ায।
 
রাসূল (সাঃ)-এর কিশোর সাহাবী এরা। এদের সাহস ও বীরত্ব দেখে শেষ পর্যন্ত বদর প্রান্তরের সবাই অবাক হয়ে গেলো।
 
==তথ্যসূত্র==