বিমান মল্লিক (জন্ম: ১৯৩৩) স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটগুলোর নকশাকার ছিলেন। [১]

বিমান মল্লিক
জন্ম১৯৩৩
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ Flag of Bangladesh.svg
পরিচিতির কারণবাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট নকশাকার

জন্মসম্পাদনা

কলকাতার হাওরাতে বিমান মল্লিকের জন্ম ১৯৩৩ সালে। তার পিতার নাম অজিত কুমার মল্লিক এবং মায়ের নাম সারদা দেবী। এগারো ভাইবোনের মধ্যে ১০ম তিনি।

পড়াশুনাসম্পাদনা

লন্ডনের সেন্ট মার্টিন স্কুল অব আর্টে চার বছর মেয়াদি ডিজাইনের কোর্সে ভর্তি হন মল্লিক।

কর্মজীবনসম্পাদনা

১৯৬৫ সাল বিমান মল্লিক কাজ পেয়ে যান নামকরা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসে। প্রথম ইন্ডিয়া অ্যান্ড হার নেইবারস বইটির ডিজাইনের জন্য সম্মানী পান ৭৫০ পাউন্ড।

উল্লেখযোগ্য কাজসম্পাদনা

১৯৬৯ সালে মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। আর এই ডাকটিকিটের নকশা করে আলোচনায় আসেন বিমান মল্লিক। তিনিই প্রথম এবং একমাত্র ভিনদেশি, যিনি ব্রিটিশ ডাকটিকিটের নকশা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটসম্পাদনা

১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল সাবেক ব্রিটিশ ডাক যোগাযোগ মন্ত্রী জন স্টোনহাউস বিমান মল্লিককে বাংলাদেশের ডাকটিকিট করে দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে ৩ মে হাউস অব কমন্সে ডাকটিকিট নিয়ে জন স্টোনহাউসের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন তিনি। দ্বিতীয় সাক্ষাতের সময় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে বিমান মল্লিককে পরিচয় করিয়ে দেন স্টোনহাউস। বাংলাদেশ আন্দোলনের আরেক সক্রিয় সমর্থক ব্রিটিশ দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার অন ওয়ান্ট’ প্রধান ডোনাল্ড চেসওয়ার্থ কলকাতায় গিয়ে মুজিবনগর সরকারের কাছ থেকে মূল নকশার অনুমোদন নিয়ে আসেন। তারপর স্টোনহাউসের সহযোগিতায় লন্ডনের ফরম্যাট ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেস থেকে ছাপা হয় ডাকটিকিটগুলো। এবার প্রকাশনার পালা। ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই হাউস অব কমন্সে আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ডাকটিকিটগুলো ও ফার্স্ট ডে কাভার প্রদর্শন করেন। তার পরদিন যুক্তরাজ্যের প্রায় সবকটি সংবাদমাধ্যমে এ খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। ২৯ জুলাই বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলসহ উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায় স্বাধীন বাংলাদেশের ডাকটিকিট। আটটি ডাকটিকিটের সেটের মূল্য ধরা হয়েছিল এক পাউন্ড নয় পেনি। টিকিট বিক্রির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘বাংলাদেশ ফিলাটেলিক এজেন্সি’ নামের প্রতিষ্ঠানকে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীন বাংলার ডাকটিকিট। বিভিন্ন দেশে সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে টিকিটগুলো পৌঁছায় আলোচনার ঝড় ওঠে।

বিবাহিত জীবনসম্পাদনা

১৯৬৭ সালে বিয়ে করেন অপরাজিতাকে।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "দৈনিক প্রথম আলো"। ২০১৮-১২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩ 

বহি:সংযোগসম্পাদনা