বিমলাপদ দত্ত (১৯০৭ – ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০) ছিলেন বৃটিশ ভারতের স্বদেশী ও কৃষক আন্দোলনের সময়কালে জাতীয়তাবাদের উদ্গাতা সংবাদপত্র সমূহের বর্ধমান জেলার গ্রামীণ সংবাদদাতা। অনুপ্রাসবহুল রচনায় তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল।[১]

জীবনী সম্পাদনা

বিমলাপদ দত্তের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার পাঁইটা গ্রামের উগ্রক্ষত্রিয় বংশের এক অবস্থাপন্ন পরিবারে। পিতা উমেশচন্দ্র দত্ত এবং মাতা রাজকুমারী। প্রথম জীবনে বিমলাপদ কলকাতায় ও পরে বর্ধমানের কানাই-এর নাটশালায় ধানভানা কল, যন্ত্রপাতির, পাম্প, চাকি ইত্যাদির ব্যবসা করতেন। তবে ব্যবসার মধ্যে থেকেও তিনি স্বদেশী বিশেষকরে কৃষক আন্দোলনে পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি যুগান্তর, আনন্দবাজার পত্রিকা, দৈনিক বসুমতী সহ বর্ধমান, বাঁকুড়া, ও ঝাড়গ্রাম অঞ্চলের সকল স্থানীয় পত্র-পত্রিকার গ্রামীণ সংবাদদাতা ছিলেন। এছাড়াও সঙ্গীতজ্ঞ ও চিকিৎসাব্রতী হিসাবে বিশেষ পরিচিতি ছিল। সেসময়ে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের চিকিৎসার একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তিনি। তিনি ব্যবসা ইত্যাদির কারণে শহরে থাকতে পারতেন সহজেই। কিন্ত গ্রামের মানুষের পাশে থাকার জন্য আজন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে অতিবাহিত করেন।

কাজের ফাঁকে লেখালেখির কাজও করতেন। 'দেহি দেবী দর্শন', 'বাণীবন্দনা', 'বিশ্বকবি বন্দনা', 'বিধানচন্দ্র বন্দনা' প্রভৃতি রচনায় তার অনুপ্রাসের ব্যবহার তার সাহিত্য দক্ষতার পরিচয় দেয়। এবিষয়ে তার একমাত্র রচিত গ্রন্থটি হল- অনুপ্রাসমালা[২]

বাংলার গ্রামের দরদী মানুষ বিমলাপদ দত্ত ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৬৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য সম্পাদিত "বঙ্গসাহিত্যাভিধান", ফার্মা কে এল এম প্রা.লি কলকাতা,১৯৯০ প্রকাশিত আইএসবিএন ৮৭৯০৪৮১০ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: দৈর্ঘ্য