বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি টাঙ্গাইল সদরে ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
১৯০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°১৫′১১″ উত্তর ৮৯°৫৫′০১″ পূর্ব / ২৪.২৫৩১৩০° উত্তর ৮৯.৯১৬৮২৪° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৮২ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
বিদ্যালয় জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
সেশন | জানুয়ারি |
ইআইআইএন | ১১৪৬৮১ |
বিদ্যালয়ের প্রধান | কানিজ সালমা |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৫৫ |
কর্মচারী | ১০ |
শ্রেণি | ১ম-১০ম |
লিঙ্গ | বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | আনু. ২০০০ |
শিক্ষায়তন | ১.২৯ একর |
ওয়েবসাইট | bbgovghs |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাত্রী এক মহীয়সী নারী। এতদঞ্চলের নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে পৃথিবীকে জানতে, নিজের মেধা, সত্ত্বা, চিন্তা-চেতনা সুশিক্ষায় আলোয় আলোকিত করে সমাজে, দেশে, বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাওয়ার পথকে সহজ করে দেবার লক্ষে পরম মমতায় শিক্ষার প্রতি পরম শ্রদ্ধায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।এই মহীয়সী নারী সন্তোষের (টাঙ্গাইলের) পাঁচ আনির জমিদার শ্রী দ্বারকানাথ রায় চৌধুরীর স্ত্রী এবং সুসাহিত্যিক শ্রী প্রমথ নাথ রায় চৌধুরী ও স্যার মন্মথনাথ রায় চৌধুরীর মাতা রানী বিন্দুবাসিনী চৌধুরাণী। বিদ্যালয়ের জন্য এই বিদ্যুতসাহী রমনী ০.৮২ একর জমি সহ একটি একতলা ভবন দান করেছিলেন। বর্তমানে এখানে ১.২৯ একর জমির উপর সরকারি সহায়তায় দুইটি তিনতলা ভবন ও একটি দুই তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্নে এটি ছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পর্যায়ক্রমে ১৯২২ সালে মাধ্যমিক স্তরে এবং ১৯৩৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃত লাভ করে। এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিকে ১৯৬৮ সালে ১৫ই নভেম্বর জতীয়করণ করা হয়। [১]
অবস্থান
সম্পাদনাটাঙ্গাইল জেলা সদরের পুরাতন বাসস্টপ থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে টাঙ্গাইল কালিবাড়ির বিপরীত দিকে আকুর টাকুর পাড়ায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুই শিফটে প্রায় ২০০০ ছাত্রী অধ্যায়নরত এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ৫৫ জন। এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন শাখা বর্তমানে চালু রয়েছে। টিফিনের জন্য আছে সুব্যবস্থা। বিদ্যালয়ে দুইটি আধুনিক বিজ্ঞানাগার, সুসজ্জিত অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ও একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার রয়েছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছেন নিগার সুলতানা ।
সহ-শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম
সম্পাদনাপড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে নানান প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে অনেক বিজয় এনে দিয়েছে। বাৎসরিক মিলাদ মাহফিল, জাতীয় দিবস যেমন ভাষা শহীদদের স্মরণে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও অন্যান্য দিবস ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়। এছাড়া ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, বিতর্ক সভার আয়োজনসহ জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে থাকে। গার্ল গাইডসের মেয়েরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে রেলী ও শোভাযাত্রায় নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে আসছে।
ফলাফল
সম্পাদনাপ্রতি বৎসর প্রাইমারী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাই সর্বাধিক টেলেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি পেয়ে আসছে। এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল ও সন্তোষজনক। ১৯৯৪ সালে বিজ্ঞানে ১৬তম স্থান লাভ, ১৯৯৫ সালে একই বিভাগে ৫ম, ৮ম ও ১০ম স্থান লাভ বিদ্যালয়ের সুনাম উজ্জ্বলতর করেছে। প্রতি বছর এস.এস.সি পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক ছাত্রী জিপিএ ৫ (গোল্ডেন সহ) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম কে অক্ষুণ্ণ রাখছে। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭ সালে এই বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসাবে স্বীকৃতি লাভের গৌরভ অর্জন করে । ২০১২ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে জে এস সি পরীক্ষায় ১০ম স্থান ২০১৩ সালে ২০ তম স্থান এবং ২০১৪ সালে ১১ তম স্থান লাভ করে ।