বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত
বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত (ইংরেজি: International Center for Settlement of Investment Disputes; সংক্ষেপে ICSID) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সালিশী সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগগ্রহীতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরীর জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা হিসাবে কাজ করে। সংস্থাটি বাংলায় সংক্ষেপে ইকসিড নামেই বেশি পরিচিত। এটি বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের পাঁচটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি।[৩]
সংক্ষেপে | ইকসিড |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৪ অক্টোবর ১৯৬৬ |
ধরন | বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান |
উদ্দেশ্য | বিরোধ নিষ্পত্তি |
সদরদপ্তর | ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র[১] |
সদস্যপদ | ১৫৮ দেশ [২] |
ওয়েবসাইট | icsid |
ইতিহাস
সম্পাদনাসরকার ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজি বিনিয়োগজনিত বিরোধ সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করার লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ১৪ অক্টোবর ইকসিড প্রতিষ্ঠিত হয়। ইকসিড কনিভেনশনটি ১৫৮ স্বাক্ষরিত দেশ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।[৪]
বাংলাদেশ ও ইকসিড
সম্পাদনা২০০৩ সালে নাইকো-বাপেক্স যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ছাতকের টেংরাটিলায় গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাইকোর অবহেলায় ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণে দেশের আর্থিক ও পরিবেশগত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ পুঁজি বিনিয়োগজনিত বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে মামলা দায়ের করে। ইকসিড ট্রাইব্যুনাল নাইকোকে দায়ী করে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন। [৫]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Headquarters"। worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১।
- ↑ "Member States"। worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১।
- ↑ "World Bank Group Members"। worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১।
- ↑ "ICSID Convention"। worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১।
- ↑ "নাইকোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১।