বিজয় কুমার নাগ ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের এবং অগ্নিযুগের একজন বাঙালি বিপ্লবী ছিলেন। বিজয় ছিলেন শ্রী অরবিন্দের শিষ্য। আলিপুর বোমা মামলায় ১৯০৮ সালের ২ মে ৩২, মুরারিপুকার রোড, মানিকতলা গার্ডেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দায়রা আদালতে তিনি বেকসুর খালাস পান।

বিপ্লবী

বিজয় কুমার নাগ
জন্ম১৮৯২
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ১৯৩৫
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
প্রতিষ্ঠানঅনুশীলন সমিতি
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

কলম্বোতে পালানোর চেষ্টা সম্পাদনা

এস এস ডুপ্লে নামে একটি জাহাজ ১৯১০ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৪টায় পন্ডিচেরিতে পৌঁছেছিল। পন্ডিচেরিতে শ্রী অরবিন্দের সাথে একসাথে বিজয় কুমার নাগ এসেছিলেন। তাদের কাছে জ্যোতিন্দ্রনাথ মিত্র ও বঙ্কিমচন্দ্র বসাক নামে ছদ্মবেশে কলম্বোর টিকিট ছিল। শ্রী অরবিন্দ বিজয়কুমারের সঙ্গে নেমে সোজা ঘোড়ার গাড়িতে চেপে চেট্টি স্ট্রীটের কমৌটি (কম্টি) চেট্টি স্ট্রিটের দিকে রওনা দিলেন। সুতরাং বিজয়কুমার সেই চারজনের (নলিনী, মণি, সৌরিন বসু) মধ্যে ছিলেন যারা ১৯১০ সালে পন্ডিচেরিতে শ্রী অরবিন্দের সাথে তাঁর পরিবারের সদস্য হিসাবে ছিলেন। এই পাঁচজনই ১৯১০ সালের এপ্রিল থেকে ১৯১০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সহানুভূতিশীল ব্যবসায়ী শঙ্কর চেট্টির বাড়িতে ছিলেন। ছোট্ট পরিসরে থাকতেন। কিছু টাকা বরোদা ও মাদ্রাজ (ক্যাজুয়াল) থেকে বন্ধুদের পাঠানো হয়েছিল। শ্রী অরবিন্দ তাদের তাঁর ছাত্র (সাধক) হিসাবে গ্রহণ করেননি তবে তাদের গ্রীক, ল্যাটিন এবং ফরাসি শিখিয়েছিলেন।[১]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর বিজয়কুমার আর্যদের প্রচারক হিসেবে অভিনয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে পন্ডিচেরি ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভারত প্রতিরক্ষা আইনে মাদ্রাজ প্রিসিড্যান্সের ভিল্লুপুরমে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছিল। মাদ্রাজ সরকারের অনুরোধে বাংলা সরকার বিজয় কুমারের হেফাজত গ্রহণ করে এবং যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ রাখে। মুক্তি পাওয়ার পরপরই তিনি পন্ডিচেরিতে ফিরে আসেন।[২][৩]

বিজয় ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনায় মৃত্যুবরণ করেন। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. https://sri-aurobindo.co.in/images/other/item_00923_e.htm
  2. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - সাহিত্য সংসদ 
  3. স্বাধীনতা সংগ্রামী চরিতাভিধান (যেন ভুলে না যাই) প্রথম খণ্ড পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণ - ডাঃ ননীগোপাল দেবদাস 
  4. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৮২,৪৮৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬