বাহরাইনের স্বাধীনতা আন্দোলন

বাহরাইনের স্বাধীনতা আন্দোলন (আরবি: حركة أحرار البحرين الإسلامية, ইংরেজি: Bahrain Freedom Movement; সংক্ষেপে বিএফএম) হল বাহরাইনের লন্ডন-ভিত্তিক একটি বিরোধী দল।[১] দলটির সদর দপ্তর উত্তর লন্ডনের একটি মসজিদে অবস্থিত। এর আন্দোলনের প্রধান মাধ্যম হলো ভয়েস অব বাহরাইন নামক ওয়েবসাইট। বাহরাইনের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাহরাইনের একমাত্র ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি বাটেলকো ওয়েবসাইটটি কয়েক বছর ধরে বাহরাইনে নিষিদ্ধ করেছিল।

বাহরাইনের স্বাধীনতা আন্দোলন
Bahrain Freedom MovementMovement
حركة أحرار البحرين الإسلامية
নেতাসাইদ আল-শেহাবি
প্রতিষ্ঠা১৯৮২
সদর দপ্তরলন্ডন, যুক্তরাজ্য
ভাবাদর্শসাংবিধানিকতা
ইসলামবাদ
ধর্মশিয়া ইসলাম
ওয়েবসাইট
ভয়েস অব বাহরাইন

ইতিহাস সম্পাদনা

বিএফএম (BFM) বাহরাইনে ১৯৯০-এর দশকের বিদ্রোহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।

এর নেতৃত্বে আছেন সাইদ আল শেহাবি, যিনি পূর্বে বাহরাইনের প্রধান শিয়া ইসলামি দল আল ওয়েফাক ইসলামিক ন্যাশনাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০০৫-এ সংসদীয় নির্বাচন বর্জন করে অন্যান্য সদস্যদের সাথে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। শেহাবি লন্ডন ভিত্তিক আরব সংবাদপত্র আল কুদস আল আরাবির একজন লেখক।

২০০১ সালে বাহরাইন সরকারের রাজনৈতিক সংস্কারের ফলে BFM-এর দুইজন বিশিষ্ট নেতা আন্দোলন ত্যাগ করে। সংস্কারের অধীনে, সমস্ত নির্বাসিতকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য বাহরাইনে ফিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং নেতৃস্থানীয় সদস্যরা তাদের স্বদেশে ফিরে আসেন। যদিও এর সকল সদস্য রাজনৈতিকভাে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছে এবং অধিকাংশই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য বাহরাইনে ফিরে এসেছে। বেশ কয়েকজন লন্ডনে রয়ে গেছে যেখানে তারা আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা ধারণ করে আছে।

৭ মার্চ, ২০১১-এ আল শেহাবি হক আন্দোলনের নেতা হাসান মুশাইমা এবং ওয়াফা আন্দোলনের নেতা আবদুল ওয়াহাব হোসেন একসাথে সুন্নি সরকারকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়ে "প্রজাতন্ত্রের জন্য জোট সরকার" গঠন করেন। এরপর থেকে দলটি "বাহরাইনের স্বাধীনতা আন্দোলন" নামক আন্দোলনটি পরিচালনা করছে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Frederic M. Wehrey (২০১৪)। Sectarian Politics in the Gulf: From the Iraq War to the Arab Uprisings। Columbia University Press। আইএসবিএন 978-0231165129 
  2. "Hardline Shi'ite groups demand republic in Bahrain"Reuters। মার্চ ৮, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা