বাসবী নন্দী
বাসবী নন্দী (৫ ডিসেম্বর ১৯৩৯ - ২৩ জুলাই ২০১৮) একজন বাঙ্গালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। বনপলাশীর পদাবলী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন থেকে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পুরস্কার পান।[১]
জন্ম
সম্পাদনাবাসবী নন্দীর জন্ম ১৯৩৯ সালে। তার বাবা বি.এল. নন্দী ঢাকায় একজন সুপরিচিত ডাক্তার ছিলেন। নন্দী কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাসঙ্গীত
সম্পাদনাছোটবেলা থেকেই গান ও ধ্রুপদী নৃত্যে তার আগ্রহ ছিল। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আর উৎপলা সেনের কাছে তিনি বাংলা গানের তালিম নেন। তিনি ছিলেন গোবিন্দন কুট্টির ছাত্রী। তিনি আধুনিক বাংলা গান এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর নিজের সঙ্গীত রেকর্ড প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে গান করেন।
চলচ্চিত্র
সম্পাদনা১৯৫৮ সালে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। উত্তম কুমারের নায়িকা হিসেবেও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মঞ্চ নাটক
সম্পাদনাকলকাতার সব কটি মঞ্চেই অভিনয় করেন বাসবী নন্দী। স্টার থিয়েটারে ‘কারাগার’ (১৯৬২), রঙমহলে ‘সেইম-সাইড’ (১৯৬৮/৬৯), বিজন থিয়েটারে ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’ (১৯৮০) তার উল্লেখযোগ্য নাটক।
চলচ্চিত্র
সম্পাদনা- যমালয়ে জীবন্ত মানুষ (১৯৫৮)
- মৃতের মর্ত্যে আগমন
- অভয়া ও শ্রীকান্ত
- দো দিলোঁ কি দস্তান (হিন্দি)
- বাঘিনী
- নবরাগ
- কায়াহীনের কাহিনী
- বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩)
- সেই চোখ
- রাতের কুহেলি
- শত্রুপক্ষ
- গজমুক্তা
- আমি সে ও সখা
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ২৩ জুলাই ২০১৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "চলে গেলেন বাসবী নন্দী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে বাসবী নন্দী (ইংরেজি)