বায়েজিদ পাশা

উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৮ম উজিরে আজম

বায়েজিদ পাশা (মৃত্যু: জুলাই ১৪২১) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন উজিরে আজম। তিনি ১৪১৩ থেকে ১৪২১ সাল পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[]

বায়েজিদ
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৮ম উজিরে আজম
কাজের মেয়াদ
১৪১৩ – জুলাই ১৪২১
সার্বভৌম শাসকপ্রথম মুহাম্মদ
দ্বিতীয় মুরাদ
পূর্বসূরীইমামজাদা খলিল পাশা
উত্তরসূরীপ্রথম চান্দারলি ইব্রাহিম পাশা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআমাসিয়া, উসমানীয় সাম্রাজ্য (বর্তমান তুরস্ক)
মৃত্যুজুলাই ১৪২১
সাজলিদেরে, কেশান, এদির্নে, উসমানীয় সাম্রাজ্য (বর্তমান তুরস্ক)
জাতীয়তাউসমানীয়
সম্পর্কহামজা বে (ভাই)
পিতামাতাআমাস্যালি ইয়াহশি বে (পিতা)

১৫শ শতাব্দীর বাইজেন্টাইন ইতিহাসবিদ ডকাস বায়েজিদকে আলবেনীয় বংশোদ্ভূত বলে বর্ণনা করেছেন। আধুনিক ইতিহাসবিদ উজুনসারসিলি লিখেছেন যে, তিনি ইয়াহসি বে এর পুত্র ছিলেন।[][][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] তিনি রাজকীয় প্রাসাদে বেড়ে ওঠেন। প্রথম বায়েজিদ সুলতান থাকাকালে তিনি বিভিন্ন সামরিক পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম বায়েজিদের পুত্র অর্থাৎ ভবিষ্যতের সুলতান প্রথম মুহাম্মদ (তখন মুহাম্মদ চেলেবি নামে পরিচিত) যখন প্রাদেশিক গভর্নর ছিলেন, তখন বায়েজিদ পাশা তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

১৪০২ সালে আঙ্কারার বিপর্যয়কর যুদ্ধের পর যখন তৈমুর লং উসমানীয় সাম্রাজ্যকে পরাজিত করেন এবং সুলতান প্রথম বায়েজিদকে বন্দী করেন। তখন বায়েজিদ পাশা ১৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ চেলেবিকে তৈমুর লং এর বাহিনী থেকে উদ্ধার করে তার নিজ শহর আমাসিয়ায় নিয়ে আসেন। ১৪১৩ সালে উসমানীয় অন্তবর্তীকালের পর যখন মুহাম্মদ চেলেবি সিংহাসনে বসেন তখন বায়েজিদ পাশা উজিরে আজম হয়েছিলেন।

প্রথম মুহাম্মদের অধীনে বায়েজিদ পাশা ১৪২০ সালে শাইখ বদর উদ্দিনের বিদ্রোহ দমন করেছিলেন।

১৪২১ সালের ২৬ মে প্রথম মুহাম্মদের মৃত্যুর পর বায়েজিদ পাশা সুলতানের মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। কারণ সুলতান মৃত্যু বরণ করার আগে বায়েজিদ পাশাকে বলেছিলেন, তার সন্তান দ্বিতীয় মুরাদ যদি রাজধানীর বাহিরে থাকে তাহলে তার মৃত্যুর বিষয়টি যেনো গোপন থাকে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মুরাদ রাজধানীতে আসতে প্রায় ৪০ দিন লেগেছিল।

দ্বিতীয় মুরাদের রাজ্যাভিষেকের মাত্র দুই মাস পর ১৪২১ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় মুরাদের চাচা মোস্তফা চেলেবির বিদ্রোহের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বায়েজিদ পাশাকে পাঠানো হয়। বায়েজিদের বাহিনী মধ্য থ্রেসের এদির্নের একটি এলাকায় মোস্তাফার সাথে সাক্ষাৎ করে। যুদ্ধের মাঝখানে বায়েজিদ পাশার বাহিনী তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং মোস্তফা চেলেবির বাহিনীর সাথে যোগ দেয় এবং তাকে মোস্তফার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। বায়েজিদের প্রতি অবিশ্বাসী মোস্তাফার মিত্র জুনায়েদ বে আল-আয়দিনী মোস্তফাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আহ্বান জানান। তখন মোস্তফা তৎক্ষণাৎ তার শিরশ্ছেদ করেছিলেন। অন্যদিকে বায়েজিদের ভাই হামজা বেকে রেহাই দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৪২৫ সালে হামজা বে তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জুনায়েদ বে আল-আয়দিনী ও তার পরিবারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। বায়েজিদ পাশার কবর সাজলিদেরে অবস্থিত।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. İsmail Hâmi Danişmend, Osmanlı Devlet Erkânı, Türkiye Yayınevi, İstanbul, 1971, p. 9. (Turkish)
  2. Stavrides, T. (২০০১)। The Sultan of Vezirs: The Life and Times of the Ottoman Grand Vezir Mahmud Pasha Angelović (1453-1474)। Brill। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 9789004121065। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২৬ 
  3. Wittek, P.; Heywood, C. (২০১৩)। Rise of the Ottoman Empire: Studies in the History of Turkey, thirteenth–fifteenth Centuries। Taylor & Francis। আইএসবিএন 9781136513183। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-২৬ 
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ইমামজাদা খলিল পাশা
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
১৪১৩ – জুলাই ১৪২১
উত্তরসূরী
প্রথম চান্দারলি ইব্রাহিম পাশা