বাংলার চালচিত্র হল আবদুল জব্বার রচিত দক্ষিণ বাংলার গ্রামজীবনের রেখাচিত্র বা কথাচিত্র।[] হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের জীবন ও কর্মের অন্তরঙ্গ পরিচয় উপস্থাপিত হয়েছে সমকালীন দেশজ তথা দক্ষিণ বাংলার ভূমিজ উপকরণের প্রাচুর্যে আর প্রান্তিক শব্দ ব্যবহারে।

বাংলার চালচিত্র
লেখক আবদুল জব্বার
প্রচ্ছদ শিল্পীপূর্ণেন্দু পত্রী
দেশভারত
ভাষাবাংলা
প্রকাশিত১৯৭০
পৃষ্ঠাসংখ্যা২৯২
আইএসবিএন ৮১-৭৯৩-৪৪৭-৫ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: দৈর্ঘ্য

প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

দক্ষিণ বাংলার হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নানা বৃত্তির গাঁয়ের মানুষ, খেতখামারে, কলে কারখানায় কাজ করা অন্ধকারের প্রাণীদের জীবন ও কর্মের তথ্যভিত্তিক রচনা গল্পের আকারে মেলে ধরেছেন। জেলে, সাপুড়ে, কাঠুরে, দর্জি, কসাই, তাঁতি, কুমোর, মদের ভাটিওয়ালারাও নিজের নিজের অপরিহার্য উপকরণ নিয়ে এসেছেন তাদের জীবনের গল্প কথায়। লেখকও যথাযথ প্রান্তিক শব্দ ব্যবহার করে এঁকেছেন তাদের জীবনের রেখাচিত্র।

নামকরণ ও প্রকাশনা

সম্পাদনা

গ্রন্থে সন্নিবেশিত গল্পগুলি ধারাবাহিক ভাবে বাংলা সাহিত্য পত্রিকা দেশ-এ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই হতে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। নামকরণ করেছিলেন পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ। পুস্তকাকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বিখ্যাত 'মিত্র ও ঘোষ' প্রকাশনা সংস্থা হতে। বইটি তিনি আরণ্যকের অবিনশ্বর সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘ ছাব্বিশ বৎসর পর ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ হতে 'দেশ' পত্রিকার পরিবর্তে নবকল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয় আরও কিছু তথ্যভিত্তিক রচনা, যেগুলি পরবর্তীতে বাংলার চালচিত্র (উত্তরপর্ব) নামে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও কলকাতার দক্ষিণ অঞ্চলের বিশেষকরে সুন্দরবন এলাকার চারপাশের বাস্তবচিত্র ও নিসর্গচেতনা প্রভাব বিস্তার করেছে।

বিদ্বজনের প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বইটিকে 'সত্য জীবনচিত্র' উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগের ক্ষেত্রে </ref> ট্যাগ যোগ করা হয়নি
সৈয়দ মুজতবা আলি উত্তরপর্বে লিখেছেন—

দেশ পত্রিকায় আপনার রচনা পড়ে তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম। মাটি থেকে উৎসাহিত আপনি, কবিগুরু যা আকাঙ্খা করেছিলেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. শিশির কুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ১৪১। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9